বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আমাদের এই দেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর প্রতি ভালোবাসা সবারই রয়েছে। আমরা সবাই নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে ভালোবাসি। নদীর পাড়ের খোলা হাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সকলের অনেক ভালো লাগে। আমার শহরের পাশেই একটি নদী রয়েছে। আমি আমার ছুটির দিনগুলোতে বা অবসর সময় পেলেই সেই নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আমি কয়েকদিন আগে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তাই আমি নদীর পাড়ে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমি পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই। নদীর পাড়ের নিরিবিলি পরিবেশ আমার খুবই ভালো লাগে। আমার শহরের খুব কাছেই এই নদীটি অবস্থিত। শহরের কাছাকাছি এই নদীটি হওয়ায় অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে। আসলে মানসিক প্রশান্তির জন্য নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে ভালো লাগে। নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য ও ঘাটে বাঁধা নৌকা নদীর নদীর পাড়ের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। নদীর পাড় দিয়ে গড়ে ওঠা ছোট ছোট ধানক্ষেত সব কিছুই আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি নদীর পাড়ের সেই অপরূপ সৌন্দর্য আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দি করেছি।

নদীর ধার দিয়ে ধানক্ষেত গড়ে উঠেছে। কৃষকরা নদীর ধারের সেই পলিমাটিতে ধানের চাষ করেছে। সবুজ শ্যামল এই ধান গাছগুলো নদীর পাড়ের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য যেন এই ধান গাছের সবুজ শ্যামল পাতার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। সেই সবুজ শ্যামল ধানক্ষেতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। রূপসী বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য যেন লুকিয়ে রয়েছে এই সবুজ শেমল ধানক্ষেতের পাতাগুলোতে। পড়ন্ত বিকেলে সবুজ শ্যামল এই ধান গাছ ও নদীর পাড় সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। তাই আমি এই অপরূপ সৌন্দর্য আমার ফটোগ্রাফিতে প্রকাশ করলাম।

নদীটি অনেক বড় হওয়ায় এখানে একটি সুন্দর ব্রিজ রয়েছে। আমার এই জেলা শহরটির সাথে অন্যান্য উপজেলার যোগাযোগ করতে এই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর এই নদীর উপর এই ব্রিজটি অবস্থিত। যখন নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে আমি নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখন আমার মনে হয়েছে এই ব্রিজের সৌন্দর্য নদীর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমি এই সৌন্দর্যকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি। আজ আমি সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

নিরিবিলি পরিবেশে এই নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে একটি রেস্টুরেন্ট।মনোরম পরিবেশে ও সুন্দর পরিবেশে গড়ে ওঠা এই রেস্টুরেন্টেটি নদীর পাড়ে হওয়ায় এই রেস্টুরেন্টেতে যখন মানুষ আসে তখন নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে। মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে আসে। ছোট শিশুদের বিনোদনের জন্য এখানে ছোট একটি পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীর পাড়ে নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই রেস্টুরেন্টেটি আমার খুবই প্রিয়। পড়ন্ত বিকেলে যখন চারপাশ অন্ধকারে ছেয়ে যায় তখন এই রেষ্টুরেন্টের আলোকসজ্জা সকলকে মুগ্ধ করে। আমি যখন নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম তখন এই রেষ্টুরেন্টের আলোকসজ্জা যেন আমার গায়ে এসে পড়ছিল। সেই মুহূর্তটি খুবই উপভোগ করেছি আমি।

নদীর পাড়ের অন্যতম একটি আকর্ষণ হলো বিভিন্ন দোকানপাট। আমি এই দোকানগুলো থেকে গরম গরম পিঁয়াজু ও রসুনের চপ কিনে খেয়ে ছিলাম। নদীর পাড়ের মনমুগ্ধকর পরিবেশ সেই সাথে গরম গরম পিঁয়াজু খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল। সবকিছু মিলিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছি আমি। সেই সময়টি মনে রাখতে এবং স্মরণীয় করে রাখতে আমি চেষ্টা করেছি আমার কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করার জন্য। কারণ ফটোগ্রাফি করলে এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে স্মৃতির পাতায় সেই কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো রয়ে যায়। আমিও আমার সেই স্মৃতিগুলোকে মনে রাখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।