নাটক রিভিউ-বিনি সুতোর টান|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। তো বন্ধুরা চলুন আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
নাম | বিনি সুতোর টান |
---|---|
পরিচালনা | শিহাব শাহীন |
সম্পাদনা | রমজান আলী |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,জাকিয়া বারী মম, আয়াশ ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ৩১ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৪ আগস্ট ২০১৮ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
- জাকিয়া বারী মম
নাটকের শুরুতে দেখা যায় একটি সুখী পরিবারের ছবি। আবির ঘুমাচ্ছে আর মম তার ছেলেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে। কারণ তার ছেলে স্কুলে যাবে। একজন মা তার সন্তানকে আদর যত্নে সব কাজগুলো করিয়ে দিচ্ছে এবং স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করছে। এরপর আবির তার ছেলে ধ্রুবকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়। এরপর নিজের অফিসে চলে যায়। মম বাসায় একাই ছিল। সে নিজের সংসারের কাজগুলো করছিল। এমন সময় বাড়িতে একটি দুর্ঘটনা ঘটে আর। গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে মম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এই খবর পেয়ে আবির অফিস থেকে ছুটে আসে। এরপর আবিরকে দেখানো হয় মমদের বাড়িতে। মমর মৃত্যুতে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। এমনকি মমর বাবা-মা নিজের মেয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো মনে করছে। আর আফসোস করছে। এটাও বলছে মম আবিরকে বিয়ে করে ভুল করেছে। আর ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কথাগুলো শুনে আমি রেগে যায় আর সেখান থেকে চলে আসে।
আবির তার ছেলে ধ্রুবকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। নিজের বাসায় ফেরার পর আবিরের শূন্য শূন্য লাগছিল। কারণ মম বাড়িতে ছিল না। মম আর আবির ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। আবির কে তার বাবা-মা খুব একটা পছন্দ করত না। মম তার বাবা-মার অমতে আবিরকে বিয়ে করেছিল। তাই তাদের সাথে আবিরের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। আবির যখন ধ্রুবকে নিয়ে বাড়ি ফিরে তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে। আর ধ্রুবকে কিভাবে বোঝাবে তার মা বেঁচে নেই এই কথা ভাবতেই তার খারাপ লাগছিল। ধ্রুব কিছু বুঝতে পারছিল না। কারণ ধ্রুব অনেক ছোট ছিল। এরপর বাবা ছেলের কিছু কষ্টের মুহূর্ত কাটে। আবির ধ্রুবকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিল।
আবির কখনো ধ্রুবর কোন কাজ করতো না। তাই কিভাবে কি সামলাবে বুঝতে পারছিল না। মম মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা ছেলে একা হয়ে পড়েছিল। আবির চেষ্টা করছিল তার মায়ের মত করে তার যত্ন নেওয়ার। আবির চেষ্টা করছিল ধ্রুবকে ঘুম থেকে তুলে ফ্রেশ করতে শুরু করে। সবকিছুই নিজেই করছিল। অন্যদিকে ধ্রুবর নানা-নানী সেখানে ধ্রুবকে দেখতে আসলেও আবির খুব একটা ভালোভাবে কথা বলে না। এরপর কেটে যায় কিছুদিন। অন্যদিকে আবির তার অফিসে মনোযোগ দিতে পারছিল না। আবির অফিসের কাজের পাশাপাশি দ্রুবকে সময় দিচ্ছিল। বারবার ফোন করে খবর নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। অন্যদিকে অফিসের বস তার এই কাজকর্মে বিরক্ত হচ্ছিল। কিন্তু তার কিছুই করার ছিল না।
অন্যদিকে ধ্রুবর নানা আসে। তিনি ধ্রুবকে নিজেদের কাছে রাখতে চাইছিলেন। কারণ ধ্রুব হঠাৎ একদিন খুব অসুস্থ হয়ে পরে। বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে তার এই সমস্যা হয়েছে। তাই ধ্রুবর নানা-নানী যখন ধ্রুবকে চাইছিল তখন আবির ভীষণ রেগে যায়। এরপর উনারা আইনের আশ্রয় নেয় এবং ধ্রুবকে তারা লালন পালনের দায়িত্ব পেয়ে যায়। ধ্রুবর এক বন্ধু মিথ্যে সাক্ষী দিয়েছিল বলে আবির তার সন্তানের দায়িত্ব পায় না এবং ধ্রুবর নানা তাকে নিয়ে চলে যায়। ধ্রুবকে হারিয়ে আবির ভেঙে পড়েছিল। ধ্রুবর সাথে দেখা করতো মাঝে মাঝে। এরপর তার নানা বাড়ির খুবই কাছে একটি বাসা ভাড়া নেয়। হঠাৎ একদিন ধ্রুব রাতের বেলায় কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপ করে আবিরের কাছে চলে যায়।
আবির তার সন্তানকে এভাবে চলে আসতে দেখে অবাক হয়ে যায়। এরপর আবির আবারও ধ্রুবর নানার বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে ধ্রুবকে তাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর আবারো তাদেরকে নিয়ে জজ সাহেব বসেন। তখন আবারও ধ্রুবর নানা-নানি ধ্রুবর দায়িত্ব পেয়ে যায়। আবির খুবই কষ্ট পায়। এরপর ধ্রুবর নানা নানীকে বলে আমি জানি আপনারা মমকে অনেক ভালোবাসতেন। আর ধ্রুবকেও অনেক ভালোবাসেন। তবে আমার ধ্রুব ছাড়া আর কেউ নেই। যেহেতু আপনারা ধ্রুবকে নিয়ে যাচ্ছেন তাই আমি খুবই কষ্ট পাবো। সেই কথা বলে সেখান থেকে চলে আসে।
আবির খুবই কষ্ট পায়। একদিকে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়েছে অন্যদিকে তার সন্তানের কাছেও থাকতে পারছে না। সবকিছু চিন্তা করছিল আবির। আর মন খারাপ করছিল। এমন সময় দরজায় কলিংবেলের শব্দে আবির তাড়াতাড়ি ছুটে যায়। আর সেখানে গিয়ে দেখে তার ধ্রুব দাঁড়িয়ে আছে। এরপর ধ্রুব বলে তার সাথে তার নানা নানি এসেছে। এরপর ধ্রুবর নানা-নানি এসে বলে আমরা ধ্রুবকে জোর করে রাখতে চাই না। তোমার কাছে ফিরিয়ে দিতে এসেছি। এই কথা শুনে আবির খুবই খুশি হয়। এরপর ধ্রুবর নানা নানীকে ভেতরে আসতে বলে আর সবার সব অভিমান শেষ হয়ে যায়।
নাটকটি অনেক পুরনো হলেও নাটকের গল্পটি আমার ভালোই লেগেছে। তবে মমর মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছিলাম। আর মা হারিয়ে একজন সন্তান কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে একজন বাবা নিজের সংসার, সন্তান, অফিস সবকিছু কিভাবে সামলানোর চেষ্টা করেছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। অবশেষে আবির আবারও ধ্রুবকে ফিরে পেয়েছে এটা দেখে ভালো লেগেছে।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹
আমি মো: স্বপন। আমি একজন বাংলাদেশী। ব্যক্তিজীবনে আমি আইন পেশার সাথে জড়িত। এছাড়াও ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং ও ব্লগিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
https://x.com/shopon799/status/1809867180802212128
ভাইয়া নাটকটা আমিও দেখেছিলাম অপূর্ব আর মমর নাটকগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। এই নাটকটিতে অপূর্বর ছেলেও অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। একটি মা হারা সন্তানের কষ্ট অপূর্বর ছেলের চরিত্রে অপূর্বর আসল ছেলে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে। নাটকটা আসলে অনেক সুন্দর ভাইয়া। আর তার পাশাপাশি নাটকটির রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
জ্বী আপু নাটকটা সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আপনিও এই নাটকটি দেখেছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকটা আগে আমি দেখেছিলাম। সত্যিই এই নাটকের গল্পটা অসাধারণ। নাটকের নামটা যেমন সুন্দর তেমনি নাটক টাও সুন্দর। মাকে হারানোর পর একটা সন্তানের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী আপু মাকে হারানোর পর সন্তানের অসহায়ত্বের চিত্র এই নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জেনে অনেক ভালো লাগলো এই নাটকটি আপনি ইতিপূর্বে দেখেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
আমি প্রায় সময় নাটক দেখার চেষ্টা করি। তবে এই বিনি সুতোর টান নাটকটি দেখা হয়নি। ১৮ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, তারমানে দর্শক ভালোই দেখেছে। অপূর্বের নাটক এমনিতেও আমার কাছে ভালো লাগে। নাটকটি ২০২৮ সালে রিলিজ হলেও গল্পটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া এই নাটকের গল্পটা দারুন ছিল। সময় করে দেখবেন আশা করছি ভালোই লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
শিক্ষানীয় এবং সুন্দর একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নাটকের মধ্যে মা হারানোর পর বাচ্চাদের কেমন অবস্থা হয় এবং একটা ছেলেমানুষ কিভাবে ঘর সংসার বাচ্চা সামলায় তার খুবই সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছে। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার শেয়ার করা নাটকটি দেখি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী আপু মা হারানোর পর একটা বাচ্চার সত্যিই অনেক কষ্ট হয় এই নাটকে এই চিত্রই দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক পুরনো একটি নাটক। এটি আমি দেখেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। অনেকদিন পর আপনার শেয়ার করা মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু এই নাটকটি অনেক পুরনো। আপনি এই নাটকটি দেখেছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি দারুণ একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি।আপনি দারুণ ভাবে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।সময় পরে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকের গল্প গুলো অনেক ভালো। শিক্ষনীয় একটি নাটক। আশা করছি সময় পেলে আপনি এই নাটকটি দেখে নিবেন । সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রিভিউ পড়ে এই নাটকটি দেখার ইচ্ছে আপনার জেগেছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু ।সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।