অনেকদিন পর আমার রান্না পোলাও

সোহানার বাংলা ব্লগ এ আপনাদের স্বাগতম। আজকের আলোচ্যে বিষয় হচ্ছে আমার রান্না করা পোলাও। ঈদের দিন রান্না করেছিলাম পোলাও আর হাঁসের ডিম।

এই ব্লগের প্রথম ছবিটা ঈদের পরের দিনের পরের দিন এর রান্না। ঈদের দিনের পোলাওটা এভাবে স্মাইল ফেস সজ্জা করা হয়নি তবে এ ব্লগের ২য় ছবিটি হবে ঈদের দিনের পোলাও।

আমার রান্না পোলাও সজ্জা

শুনে হয়তো অবাক হবেন আমি নারী হয়ে জন্মেও এমন একজন নারী যে রান্না বান্না মোটেই পছন্দ করে না। আর আমি বেশির ভাগ সময় রান্না করতে গিয়ে হাত এ আগুনের ছ্যাকা খাই আর সম্ভবত এটাই আমার রান্নার প্রতি অনাগ্রহের কারণ । রান্নার নাম শুনলে আমার পায় কান্না।

নিতান্তই দায় ঠেকে রান্না করেছিলাম ঈদের সময় ৫ দিন কারণ আমাদের বুয়া ছুটিতে ছিলেন। ঈদের দিন এ পোলাও টা আমার একটু লবণ কম মনে হলেও পরে যেদিন রান্না করেছি বেশ হয়েছিল খেতে।

কোন প্রকার মসল্লা ছাড়াই, সাদামাটা ভাবে রান্না করেছিলাম। শুধুমাত্র তেল,নুন, ঝাল দিয়েই রান্না করেছিলাম আমার প্রিয় অ্যারোমেটিক পোলাও, ঘ্রাণটা সত্যিই অনেক সুন্দর যদিও সাদামাটা। পরবর্তীদিন অবশ্য রসূন দিয়েছিলাম আর পিয়াজ তো দিতেই হয় এটা তো সবারই জানা।

আমার প্রতিবেশী এক বোনকে উপরের ছবিটার মত ফুড ডেকরেশন করে দিয়েছিলাম। শাসা স্লাইস দিয়ে চোখ, লেমন স্লাইস এক টুকরো দিয়ে নাক আর স্মাইল টা রান্না করা কাঁচা মরিচ। আস্তো কাঁচা মরিচ পোলাও এ একটি সুন্দর ফ্লেভার নিয়ে আসে, যারা খান তারা নিশ্চয়ই এটা জানেন। দুইটা মরিচ দিয়েছিলাম কারন আমি আবার বেশি ঝাঁল খেতে পারিনা।

ঈদের দিনের সকালের নাশতা

পোলাও আর হাঁসের ডিম দিয়ে সেরে ফেলেছিলাম সকালের নাশতা। অনেক মজা করেই খেয়েছি যদিও রান্না করলে আমার খিদে মরে যায় তারপরও খেয়েছি আর পোলাও অল্প খেলেই পেট ভরে যায় আর এটা অয়েলি এর রিচ ফুড এর অন্তর্ভুক্ত।

এই পোলাও আমি অনেকদিন বা বলতে পারি অনেক বছর পর রান্না করলাম, কিছুটা শখ করেই। আমার প্রতিবেশী বোন কিছুটা প্রশংসা করেছে যদিও আমি এটা আশা করিনি। আমার রান্না খাওয়া গেলেই আমি খুশি কারণ আমি খুশি মনে রান্না করিনা 😛😜

অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য

cc:
@rme
@rex-sumon
@amarbanglablog

©@Shohana1 ২০২১
সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
আমি সোহানা এটা নিশ্চিত করছি যে, উপর্যুক্ত লেখা এবং আলোকচিত্র আমার নিজের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম :
ফেসবুক পেজ| টুইটার | ইউটিউব চ্যানেল