নিজের শিকড়কে ভুলে যাবেন না
ছোটবেলায় অনেক নিশ্চিন্তে ঘুমায় শিশুরা এটা আমরা সবাই জানি। তাদের এই নিশ্চিন্তের ঘুমটা এনে দেয় তাদের নির্ঘুম বাবা-মা। কত রাত যে তাঁরা না ঘুমিয়ে আপনার ডায়পার চেঞ্জ করেছে তার হিসাবটা কিন্তু তাঁরা রাখেনি বা রাখেনা।
এই বাবা-মা হলেন আমাদের শিকড় যা আমাদের প্রতিনিয়ত প্রানবন্ত রাখে, আমাদের জীবন যাদের কাছে সবচেয়ে বেশি দামী। এই শিকড়ের অভাবে অনেক শিশুর জীবন ঝরে গেছে বা ঝরে যায়।
আপনার জীবনে যদি এই শিকড় বিদ্যমান থাকে তাহলে বিশ্বাস করুন আপনি অনেক ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। আপনার ডায়পার থেকে শুরু করে আপনার পরিনত হওয়া অব্দি সব দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন এই শিকড়। একে ভুলে যাওয়া পাপ নয়, মহাপাপ বলে বিবেচনা করেন জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ।
আমাদের যথাযথ শিক্ষাও আমাদেরকে আমাদের শিকড় উপড়ে ফেলার অনুমতি দেয়না। তারপরও জীবনের বিভিন্ন কঠিন বাস্তবতার কাছে অনেকে মাথা নত করে শিকড় থেকে নিজেকে আলাদা করে নেয়।
আমাদের আশে পাশে অনেক অণুগল্পের জন্ম হয় তো সেখান থেকেই কিছু শিকড় ভুলে যাওয়ার গল্প দেখতে পাই। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মায়ের জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। আর ভাল লাগেনা তাদের, ভাবুন তো যখন ছোট্ট অসহায় শিশু হয়ে জন্মেছিলেন, তাঁদের ঘুম হারাম করেছিলেন তখন যদি আপনার কান্নায় অতিষ্ট হয়ে আপনাকে ফেলে আসতো কোথাও? যাই হোক এটা তাঁরা পারেন না।
একজন মা তাঁর দশ সন্তানকে পালতে পারে কিন্তু দশ সন্তান এক মা কে পালতে গিয়ে হিমশিম খায়, দায়িত্ব এড়ায়। আমি কোন সিনেমার গল্প বলছিনা, আসেপাশে অহরহ এগুলো পাওয়া যাবে।
ওমুকের ছেলে বিয়ের পর শশুড়ের টাকায় বিদেশ চলে গেছে, বাপ মাকে দেখে না। মেয়েদের বেলায় এটা কম দেখা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের হাত পা বাঁধা বিয়ের পর খুব কমই সম্ভব হয় বাবা-মা এর দায়িত্ব গ্রহণ করা।
বেশিরভাগ বাব মা কিন্তু তাঁদের সন্তানদের কাছে টাকা পয়সা চায় না, চায় তাদের একটু সময়, একটু যত্ন। সারাজীবন বাব মা এর সেবা করলেও আপনার ঋণ শোধ হবার নয় আর সেখানে আমরা আমাদের শিকড়কে ভুলে যাই।
যদি জ্ঞানী হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারেন যে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিটা হচ্ছে নিজের বাবা মা এর মুখের হাসির কারণ হতে পারা, নিজের শিকড়ের যত্ন নেওয়া, খুব বেশি না পারেন অন্তত যতটুকু সম্ভব যত্ন নিন, খেয়াল রাখুন, আগলে রাখুন। তাঁদের চোখের পানি যেন আমাদের ধ্বংসের কারণ না হয়। নিজের শিকড়কে ভুলে যাবেন না, আপনি আজ যা কিছু এই শিকড়ের ই বদৌলতে।
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য
©@Shohana1 ২০২১
সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
আমি সোহানা এটা নিশ্চিত করছি যে, উপর্যুক্ত লেখা এবং ছবি আমার নিজের।
ফেসবুক পেজ| টুইটার | ইউটিউব চ্যানেল
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই আমার লেখাটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মতামত এর জন্য 😊
অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন বাবা-মাকে নিয়ে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ বোন লেখাটি পড়ার জন্য ❤️💕💖
ভালো লিখেছেন আপু।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই 🙂
খুব ভালো লিখেছেন আপু। আপনার লিখাটা পরে অনেক ভালো লেগেছে কথাগুলো।অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বোন লেখাটি পড়ার জন্য 💖
খুব ভালো লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য