আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমি ও ভগবানে অশেষ কৃপায় ,আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদে ভালো আছি । আজকে আমি হাজির হয়েছি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আশা করি সবার ভাল লাগবে। হলুদ ফুল আমরা আদিবাসীরা মাছ দিয়ে রান্না করে খায় ।হলুদ চাষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে হ্লুদ থেকে ফুল হয় ।আমরা কচি ফুল গুলো রান্না করে খায় ।আপনারা খান কিনা জানি না ।হ্লুদ ফুল কিন্তু মজা একটা খাবার ,আমার খুব ভাল লাগে মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে । হ্লুদ ফুল শরীর জন্য অনেক খুব উপকারি ।হ্লুদ ফুল দেখতে বেশ সুন্দর ।বিভিন্ন রঙের হয় হ্লুদ ফুল ।আমরা ধবধবে সাদা হ্লুদ ফুল টা খায় ।আরেক টা আছে সাদা উপর বেগুনি কালার ঐ ফুলটা খায় না । এই বাটা মাছ দিয়ে হলুদ ফুলের রান্না রেসিপি খেতে বেশ মজাদার আর সুস্বাদু । একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে ।তাহলে শুরু করি আমার রান্না রেসিপি ব্লগটি ।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✦ক্রমিক নং | ✦উপকরন | ✦পরিমাণ✦ |
১ | বাটা মাছ | ৪পিস |
২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমত |
৩ | হলুদ | পরিমাণ মত |
৪ | লবণ | স্বাদ মত |
৫ | পেঁয়াজ কুচি | ১/২কাপ |
৬ | রসুন বাটা | ১/২ চামচ |
৭ | আদা বাটা | ১/২ চামচ |
৮ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মত |
➤প্রথমে হলুদ ফুল এর পাপড়ি গুলো আলাদা করে নিব এবং ভালোভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিব ।আদা আর রসুন গুলো বেঁটে নিব ।
➤এরপরে চুলাই কড়াই বসিয়ে দিব কড়াই গরম হয়ে আসলে প্রয়োজনমত তেল দিয়ে দিব ।
➤তেল গরম হয়ে আসলে মরিচ, হলুদ, আদা বাটা,রসুন বাটা, পিস করে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিব আর নেড়ে দিব।
➤এভাবে রান্না হতে থাকবে বেশ কিছুক্ষণ, যখন মাছ হয়ে আসবে তখন মাছ থেকে কাটাগুলো আলাদা করে নিব।একটা চামচ সাহায্যে কাটা গুলো আলাদা করে নিব।
➤আলাদা করবার পরে একটু নেড়ে দিয়ে হলুদ এর পাপড়ি গুলো দিয়ে দিব নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিব ।
➤এরপরে পরিমাণমত পানি দিয়ে দিব এভাবে রান্না হতে থাকবে বেশ ২/৩মিনিট এর মত । যখন রান্না হয়ে আসবে ,একটা কাঠের লাঠি সাহায্য মাছ আর হলুদ এর পাপড়িগুলো বেঁটে নিব ।
➤সর্বশেষ ধাপের রান্না সম্পূর্ণ হয়ে আসলে পরিবেশন এর জন্য রেডি করব ।
এই ছিল আমার রেসিপি ব্লগ ।যদি কারো আমার রান্না রেসিপিটি ভাল লাগে জানাবেন আজকের মত আমার রান্না রেসিপি পর্বটি এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
রেসিপি ছবির বিবরণ
ডিভাইজ | রিয়েল মি৫ আই |
বিষয় | বাটা মাছ দিয়ে হলুদ ফুল রান্না রেসিপি |
লোকেশন | কাটগড়,পতেঙ্গা সি বিচ,চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @shipracha |
কাঁচা হলুদ বা গুঁড়ো হলুদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটা আমি জানতাম। সম্ভবত আমরা সবাই এই দুই রকম করেই হলুদ খেতে অভ্যস্ত। হলুদ ফুল যে ঔষধি গুণসম্পন্ন এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়। তবে হলুদের ফুল যে খাওয়া যায় এটা কোনদিন শুনিনি। জীবনে প্রথমবার দেখলাম। তবে রান্নার প্রসেসটা যেহেতু অন্যান্য রেসিপির মতোই নরমাল, দেখি যদি আমাদের এখানে কোনদিন হলুদের ফুল কিনতে পাওয়া যায় তাহলে রান্না করে খাব। আমি তো খুবই ইন্টারেস্টেড রেসিপি টা নিয়ে।
মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে বেশি মজা।যদি হলুদ পান তাহলে খেয়ে দেখিয়েন।আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ দাদা।
ওয়াও আপু ইউনিক একটি রেসিপি শিখে নিলাম। হলুদ গাছের ফুল দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি এই প্রথম দেখলাম। আগে কখনো জানা ছিল না এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হলুদের ফুল যে কখনো রান্না করে খাওয়া যায় এটা আগে জানতাম না আপু। সত্যি আপু এই রেসিপি একেবারেই ইউনিক ছিল। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার পর থেকেই ভিন্ন ধরনের সব রেসিপিগুলো দেখতে পাচ্ছি। আসলে সবাই সব সময় নিজের সেরাটাই এখানে উপহার দেয়। অনেক ভালো ছিল আপু।
ঠিক বলছেন আপু আমার বাংলা ব্লগ নিজের সৃজনশীলতা ও ঞ্জান কাজের লাগিয়ে নিজের সেরা টা উপহার দিতে। আমরা ভালোবাসি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারকে নিত্যনতুন কিছু দেখতে এবং শিখতে সবার ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করাব জন্য।
আপু ধারুন একটি রেসিপি দেখলাম। এই প্রথম আমি দেখলাম এই ফুল গুলো রান্না করতে। এগুলোর বিষয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই। বাটা মাছ দিয়ে হলুদ ফুল রেসিপিটা টোটালি নতুন দেখলাম । ভাল লাগলো ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার ভালো লাগাটা বেড়ে গেল। আপনারা খান না হয়তো এজন্য এই বিষয় জানা ছিল না।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
হলুদের ফুল যে কখনো রান্না করে খাওয়া যায় এটা আগে জানতাম না আপু আজকে প্রথম দেখলাম এবং শুনলাম। ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু দেখে ভালো লাগলো।বাটা মাছ অনেক খেয়েছি অনেক সুস্বাদু একটি মাছ। রেসিপি প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। জানিনা কেমন হয়েছে। জানাবেন কেমন হয়েছে আপু।
এই হলুদ ফুলের রান্না রেসিপি সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগল আপনারা জানতে পারতেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করাব জন্য।
হলুদ ফুল আমি কখনো দেখিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখলাম। হলুদ ফুল রান্না করে খায় তাও জানতাম না। আপনি খুব ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বাটা মাছ মজার মাছ। আমার মনে হচ্ছে খুব ভাল একটি রান্না হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই ফুল কখনও দেখি নি। মাছটা বাটা মাছ বুঝতে পারি নি। সাইজটা অনেক বড় মনে হচ্ছে। রান্নাটা দেখে বেশ লাইট রান্না হয়েছে মনে হচ্ছে।আর শেষে কি ওটা বিলেতি ধনেপাতা দিয়েছেন?
বিলেতি ধনিয়া পাতা আপু।ধন্যবাদ আপু
আমি তো আজকে প্রথম শুনলাম এই ফুলের নাম এবং রেসিপি। আমাদের এই দিকে এরকম কিছু নেই। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু হয়েছে আপনার আজকের এই রেসিপি। আপনি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে এরকমই অনেক রেসিপি ভীষণ ভালো লাগে।