আমার প্রিয় ক্যাম্পাস(চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ) কিছু অংশের ফটোগ্রাফি ।। 10 % Beneficiary @shy-fox
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদে ভালো আছি । প্রতিদিনের মত আজ হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে । আজ আমি শেয়ার করব আমার প্রিয় ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক কিছু অংশের ছবি ।
প্রায় ছয় বছর পর গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। এই ছয় বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে ।আগে থেকে অনেক গুন উন্নয়ন হয়েছে কলেজে । প্রিয় ক্যাম্পাস কে অনেক মিস করি । একটা বিশেষ কাজের জন্য গেছিলাম ।অনেকের সাথে দেখা হল আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রিয় ম্যাডামে সাথে দেখা হল কথা হল ।ম্যাম সাথে এমনি মাঝে মাঝে ফেসবুক কথা হত ।ম্যাম উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য অনেক বলল , কি করব একটা কাজের জন্য গেছি তাড়াতাড়ি করে কাজ টা সেরে আসতে হল ।মেয়ে কে রেখে গেছি বাসায় ।নতুন করে সাজিয়ে গাছপালা গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগতেছে ।
এটা হচ্ছে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মেইন গেইট।সামনে একটা রেললাইন আছে। পাশে গার্স্থত্য অর্থনীতি কলেজ ।মেইন গেইট একটা ছোট রুমটাতে মটি ভাই মানে দারোয়ান বসে থাকে।মটি ভাই আমাকে দেখে অবাক অনেক বছর পর বলল । কি জন্য গেছি জিজ্ঞেস করলেন। মটি ভাই দারোয়ান পাশাপাশি উনি আবার খাতা, কলম,বই পেন্সিল ড্রয়িং পেপার সব বিক্রি করে। একদম ছোট খাটো লাইব্রেরী দোকান। আমাদের যা কিছু লাগত সব উনার কাছ থেকে নিতাম ক্লাসের প্রয়োজনী সব জিনিস গুলো উনার দোকানে থাকত কিন্তু একটু বেশি দাম নিত ।
গেইট দিয়ে প্রবেশ করা পরে ডান সাইটে হচ্ছে শহীদ মিনার এবং বাম সাইটে ক্যান্টিন আর অভিভাবক জন্য ওয়েটিং রুম আছে । ক্যান্টিনে যাওয়া হয়নি । অনেক গাছপালা হয়েছে আমরা যখন ছিলাম তখন এই গাছ গুলো একদম ছোট ,তখন মাত্র চারা লাগিয়ে দিছে ।
এই চি এম পি আই লেখাটা পলিটেকনিক মেইন গেইট মুখের ঢুকা মাত্র বাম সাইটে ।আমরা যখন ছিলাম তখন এই লেখাটি ছিল না ।মেইন গেইট থেকে একটু হেঁটে গিয়ে পলিটেকনিক এর ভিতরে যেতে হয় ।এই হল পলিটেকনিক এর সামনে অংশ ।
মেইন গেইট দিয়ে ঢুকার পর পলিটেকনিক এর সামনে অংশ অনেক বড় একটা মাঠ আছে আর গাছ এর নিচে বসার জন্য জায়গা আছে । বসার জায়গা গুলো ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট করে ।
এই রাস্তাটা ডান সাইটে ।এই দিকে মহিলা হোস্টেলের যায় আর একটু গেলে দুই নাম্বার হোস্টেল টা । এর পরে এক নাম্বার হোস্টেল টা । পাশের একটা পুকুর আছে । এখন নাকি হোস্টেল তেমন ছাত্রীরা থাকতে চাই না ।আমরা যখন ছিল দুই নাম্বার হোস্টেল নিমার্ণ কাজ শুরু হয়ছিল । এখন নাকি খাবার মান তেমন ভাল না কড়াকড়ি নাকি শাসন করে ।আর টাকা পরিমাণ নাকি বেশি নেয় ।
পলিটেকনিক ভিতরে প্রবেশ করে । মাঝখানে একটা চারকোণা আয়তাকার মাঠ আছে সবুজ গাছে ভরা ।আমরা শীতকালের সময় বিকালবেলা এখানে খেলা করতাম ।ব্যাট মিটন,হ্যান্ডবল,ক্রিকেট খেলা এই গুলো ।বিকালে ক্লাস শেষ করে বান্দবীরা মিলে হাতে একটা খালি পানি বোতল নিয়ে আসতাম আর যাওয়া সময় পানি নিয়ে যেতাম ।খেলাধুলা করা পর প্রায় সন্ধ্যা হলে তারপর হোস্টেল রুমে চলে যেতাম ।
নিচ তলা হচ্ছে লাইব্রেরী রুম । গার্মেন্ট প্যাটার্ন মেকিং ডিপার্মেন্ট বিল্ডিং এর নিচ তলায় ।,এই লাইব্রেরী রুমের আগে তেমন বই ছিল না হাতে গনা বেশ কয়েকটি ছিল ।কিছু গল্প বই আর ডিপার্মেন্ট কিছু বই ছিল ।এখন অনেক গুলো বই অনেক উন্নত হয়েছে ।
পাঁচ তলা বিল্ডিং হচ্ছে কম্পিউটার ডিপার্মেন্ট এর ২য় তলা কম্পিউটার ল্যাব আর সাথে হেড অফ দ্যা কম্পিউটার ডিপার্মেন্ট হেডের রুম । ৩য় তলা বিল্ডিং টা হচ্ছে গার্মেন্ট প্যাটার্ন মেকিং ডিপার্মেন্ট বিল্ডিং ।
চার তলা বিল্ডিং হচ্ছে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ডিপার্মেন্ট । ২য় তলা ল্যাব আর্কিটেকচার ল্যাব ।
এই ছিল আমার প্রিয় ক্যাম্পাসে ফটোগ্রাফি । আমার প্রিয় ক্যাম্পাস(চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক) ফটোগ্রাফি কেমন লাগল ? আশা করি সবার ভাল লাগবে ।যদি ভাল লাগে কমেন্ট করে জানাবেন ।
ধন্যবাদ সকলকে
ডিভাইজ | রিয়েল মি৫ আই |
---|---|
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ,বড়পুল,হালিশহর , চট্টগ্রাম ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @shipracha |
অনেক সুন্দর পরিবেশ।দেখতে অনেক ভালো লাগছে।আজ আপনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক এর সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলাম।আপনি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি দীর্ঘ ছয় বছর পর চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ক্যাম্পাস গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। ক্যাম্পাসের ভেতরটা অনেক সুন্দর আপু। এছাড়াও আপনি প্রতিটি জায়গার সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর ক্যাম্পাসের কিছু কথা শেয়ার করার জন্য।
আপনার আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। আসলে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনেক সুন্দর। এখন গেলে একদম মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের ক্যাম্পাস টা তো দারুন।এত সুন্দর ক্যাম্পাস থাকলে তো এমনি পড়াশোনায় মনযোগ চলে আসবে।এখন সব হোস্টেলেই খাবার দাবার এর একই অবস্থা।কিছু মনে না করলে দিদি আপনি কোন ডিপার্টমেন্ট এ ছিলেন।
আমি আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ডিপার্টমেন্ট ছিলাম।আসলে আমাদের মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা।
আপনাদের ক্যাম্পাসটা দারুন। ফটোগ্রাফিগুলোও দারুন করেছেন আপু।অনেক ভালো সময় পার করছেন পড়ার সময় বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার কলেজের সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কলেজ লাইফ জীবনটা অনেক মিস করি আপু। ক্যাম্পাসে গেলে কত স্মৃতি মনে পড়ে। আবার নতুন করে সেই জীবনটা ফিরে পেতে চাই মন বার বার ।ধন্যবাদ আপু❤️
আপনার প্রিয় ক্যাম্পাসের ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে ক্যাম্পাসটি বিশাল বড়। ডিপার্টমেন্টের প্রিয় ম্যাডামের সাথে এতদিন পরে দেখা হয়ে নিশ্চয়ই আপ্লুত হয়েছিলেন এবং খুব ভাল লেগেছিল। ছয় বছর পর প্রিয় ক্যাম্পাসে গিয়েছেন মানে অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে এবং এই জন্যই এত পরিবর্তন আপনার চোখে পরেছে। তবে আমার সবচেয়ে মজা লেগেছে মাটি ভাইয়ের নাম শুনে। এই নাম আমার জীবনে প্রথম শুনলাম। উনার নাম আসলেই মাটি ভাই নাকি কোন কারনে স্টুডেন্টরা ডাকে। আপনার ক্যাম্পাসের ধারন করা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু প্রিয় ক্যাম্পাসের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
ম্যাম এর সাথে কথা বলে অনেক ভালো লেগেছিল অনেক খুশি হয়েছিলাম। ম্যাম ও নাকি আমাদের কে অনেক মিস করে বলতেছে আর সবার খবর আমার থেকে জিজ্ঞেস করলেন আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্ট যে চাকমা ছাত্রীরা ছিলাম তাদের কথা।।মাটি ভাই না আপনি ভালো করে দেখেন ভাইয়া মটি ভাই লেখা আছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর
মন্তব্য করাব জন্য ভাইয়া।
বাহ!! আপু আপনার ক্যাম্পাস টা তো দারুন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ক্যাম্পাসটি বেশ সুন্দর এবং বড়সড়। বিভিন্ন রকম ডিপার্টমেন্ট আছে দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। এবং ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে ক্যাম্পাসটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সবুজ শ্যামল মনোরম পরিবেশের।
আপু অনেক বড় আর মনোরম পরিবেশ। শান্ত পরিবেশ পড়াশোনা জন্য বেশ উপযোগী। টোটাল ৪টা ডিপার্টমেন্ট আছে। তবে নতুন কিছু ডিপার্টমেন্ট অ্যাড হয়েছে কিনা আপু আমি সিউর জানি না। সুন্দর মতামতের অনেক ধন্যবাদ আপু।
ক্যাম্পাসে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো তোলার পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনাগুলো উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।