আজ বা নৌ জা পতেঙ্গা হসপিটালে গিয়ে কিছু চিন্তা আর অনুভুতির কথা||10 % Beneficiary @shy-fox
হ্যালো ,
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমি ও ভগবানে অশেষ কৃপায় ,আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদে ভালো আছি । আজ হসপিটালের গিয়ে মাথায় বিভিন্ন চিন্তা এসেছে ।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আমার মনটা একটু হালকা হবে তাই ,আমার বাংলা ব্লগ মানে আমরা এক পরিবারের লোক যাদের সাথে সু্খ, দুংখ ,আবেগ অনুভুতি কথা গুলো মন প্রাণ খুলে আনায়াসে প্রকাশ করা যায় ।
ক্যামেরাঃরিয়েল মি৫ আই
লোকেশনঃ বা নৌ জা পতেঙ্গা
তাই আমার মাথা আসা চিন্তাগুলো শেয়ার করব আপনাদের সাথে ।বেশ কয়েক দিন হয়ে যাচ্ছে আমার মেয়ে গায়ে আর হাতে রেস মত উঠেছে, আমি মনে করছিলাম প্রথমে হয়ত ঘামাচি হবে তাই এতদিন ডাক্তার কাছে যায় নাই । এতদিন ভাল হবে আশা যায় নাই ,কিন্তু ভাল হচ্ছে না । ডাক্তার দেখানো অনেক সিরিয়াল ছিল প্রায় ১.৩০ ঘণ্টা পর সিরিয়াল পেলাম ।ডাক্তার রুমে দরজায় ঢুকার সাথে যে কান্না থামানো যাচ্ছে না পরে দেখালাম ডাক্তার ওষুধ দিল আবার সিবিসি টেস্ট দিল আগে রক্তেশুন্যতা ছিল তাই ।দেখানো পরে গেলাম আবার ব্লাড দিতে সিবিসি টেস্ট জন্য ওখানে সেই সিরিয়াল কি করব থাকতে হবে সব এমার্জেন্টসি রোগী ব্লাড টেস্ট ।এখন করোনা থেকে ডেঙ্গু রোগী বেশি যে হারে বাড়ছে । অপেক্ষা করা পরে আমার সিরিয়াল আসল মেয়ে অনেক ভয় পাই রুমে ঢুকতে কান্না শুরু করে দেয় ২/৩ জন ধরা ।আগে অনেকবার টেস্ট করা লাগছে ।রক্তশূন্যতা কি কারণে হয়েছে সেই টেস্ট করতে হয়েছে অনেক বার তাই সব চিনে গেছে ।প্রথম বার নেয়ার সময় ব্লাড আসে নাই অনেক নাড়াচাড়া করে এজন্য আর ও একটা হাতের করা লাগছে ।আমার আগে একটা বাচ্চা এক বছর হয় নাই ,তার থেকে নিচ্ছে ,সেই বাচ্চাটা কি কান্না বলার মত । আসলে আমরা বড়রা অসুস্ত হলে বলতে পারি ছোটরা কিছু বলতে পারে আমার অনেক কষ্ট হয় এই গুলো দেখলে ।আমাদের মানব জীবন অনেক কষ্টের সবসময় একটা না একটা রোগ লেগে থাকে এমন কোন মানুষ নাই কোন অসুখ নাই ।যত প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে ততই আমাদের রোগ ব্যাধি বাড়তেছে রোগ এর কোন অভাব নাই ।নিত্য নতুন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে । এই সব রোগের কারণ কি ফরমালিন খাবার নাকি অন্য কিছু ।আগে দিনে মানুষগুলো নীরোগী বললে চলে ।এদের নেই কোন মাথা ব্যাথা ,প্রেসার ,হাতু ব্যাথা কোমর ব্যাথা ,নেই চোখের সমস্যা তেমন এত বুড়ো বয়সে এসে ও ভাল মত দেখে ।আর এখনকার মানুষের সেই ছোট থেকে কম দেখে আর নানা রোগে ভুগে ।আজ মনে মনে চিন্তা করলাম কি কারণের এত রোগ ব্যাধি ?
ক রিয়েল ক্যামেরাঃরিয়েল মি৫ আই
লোকেশনঃ বা নৌ জা পতেঙ্গা
কোন হসপিটাল নাই একজন ও রোগী নাই সবসময় রোগী ভর্তি ।ডাক্তার দেখাতে গেলে সেই লম্বা লাইনে থাকা লাগা ।আগে ছিল না কোন উন্নত মানে হসপিটাল আর ছিল না কোন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ।তারপর সুস্ত ছিল আগেকার দিনের মানুষগুলো ।এখন প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্ত হচ্ছে প্রতি ঘরে প্রায় একজন হলে অসুস্ত থাকতেছে ।ব্লাড টেস্ট দেয়ার পর আবার ওষুধ নেয়ার জন্য গেলাম সেখানে লম্বা লাইন ওষুধ জন্য অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমার সিরিয়াল আসল ওষুধ নিতে প্রায় দুপুর ২টা বেজে গেছে ।সেই গেছিলাম সকাল ৯.৩০ টা দিকে বাসায় আসলাম ৩টা দিকের ।
এই ছিল আমার আজকে পোস্ট ।যদি ভুল ক্রটি হয় ক্ষমা সুন্দরদৃষ্টিতে দেখবেন ।
"ধন্যবাদ সবাইকে"
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ডাক্তারের কাছে গেলে প্রায় এক দু'ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন বড়রা অসুস্থ হলে বলতে পারে, কিন্তু অসুস্থ হলে কিছুই বলতে পারেনা তখন অনেক কষ্ট হয়। আমাদের মানব জীবন অনেক কষ্টের সবসময় একটা না একটা রোগ লেগে থাকে এমন কোন মানুষ নাই কোন অসুখ নাই । আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করাব জন্য।
আসলে আপু ডাক্তারের কাছে গেলে সিরিয়াল এই অনেক সময় পর্যন্ত বসে থাকতে হয়। আপনি একেবারে দেড় ঘন্টা পর নিজের সিরিয়াল পেলেন। আসলে আপু ছোট বাচ্চারা একটু ভয় পেয়ে যায়। আর এখনকার বাচ্চাদের যে অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ব্লাড নেওয়ার সময় পাওয়াই যায় না। যেমনটা আপনার মেয়ের ক্ষেত্রে হয়েছে। আসলেই এখন ফরমালিনের কারণেই বেশ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
আগেকার দিনের মানুষগুলো বেশ ভালই ছিল তাদের রোগও ছিল না আর এতগুলো হসপিটাল ডাক্তার কিছুই ছিল না।
গুছিয়ে মন্তব্য করাব জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই কথাটা আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। অতি দ্রুত আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সে ভালো হয়ে যাবে। তবে এখন যেহেতু চারপাশের ডেঙ্গু হচ্ছে সুতরাং এ দিক থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করে থাকতে হবে আমাদের সবাইকে। ও আর একটা কথা পারলে লেখাগুলো একটু পার্ট পার্ট করে দেবেন। তাতে করে পোষ্টের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়, পড়তেও সুবিধা হয়।