পতেঙ্গা নেভালের কিছু সময় কাটানো মুহূর্ত ।। 10 % Beneficiary @shy-fox
হ্যালো ,
“আমার বাংলা ব্লগের“বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমি ও ভগবানের অশেষ কৃপায় আপনাদের দোয়া আগে চেয়ে একটু ভাল আছি । প্রতিদিনে মত আমি আজ হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে ।
বেশ কিছুদিন আগে ভাবি আর আমি প্লান করছিলাম ঘুরতে যাব ,দূরে কোথায়ও কিন্তু ঘুরতে যাওয়া হয় না । মন চাইলে ভাবি আর আমি যাইতে পারিনা দুইজনের দুইটা বাচ্চা ।বাচ্চা বাবাদের মাস্টবি লাগে ।কাছের জায়গা গুলো দুইজনে মিলে প্রায় যায় । আমাদের বাসা থেকে হেঁটে সি বিচ যাওয়া ।মাঝে বিকালে হলে বাচ্চা নিয়ে হাঁটতে যায় বেশ কয়েকজন ভাবিরা মিলে ।
বাচ্চাদের একটু খেলা করতে পারে এই আর কি ।প্রতিদিনের মত করে তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করে বসে আছি ।ভাবি আমাকে বলে কি চল নেভাল যায় ,আপনার ভাই ও বাসায় আছে । তখন প্রায় বিকাল ৫.১৫ টা বাজে । আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম এবং মেয়ে কে রেডি করালাম ।
মেয়ে বাহিরে যাওয়া জন্য সব সময় রেডি থাকে ,বাহিরে গেলে অনেক খুশি হয় । রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম অটো জন্য অপেক্ষা করতেছি । সি এন জি একটা ও আসতেছে না ।পরে অনেকক্ষণ পরে অটো আসলো এয়ারপোর্ট দিকে যাবে ।
আমরা অটোতে উঠলাম ।তখন প্রায় ৬টা বাজতেছে ।তবে আমার সন্ধ্যা টাইমে ঘুরতে ভালো লাগে । আমাদের এখান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত অটো ভাড়া ২০টাকা নেয় জন প্রতি ।আমাদেরকে মেইন রাস্তা থেকে একটু দূরে নামায় দিল ।মেইন রোড গেলে নাকি পুলিশ ধরবে তাই ।
আমরা নেমে বেশ সামনে দিকে গেলাম নেভালের দিকে ।বন্ধ দিন বাদে সি বিচ আর নেভাল প্রায় কম মানুষ থাকে বলে চলে ।বন্ধদিনে থাকে প্রচুর মানুষ ভিড় । দাদা বলে কি একদম লাস্ট মাথায় যাব রিক্সা দিয়ে যায় ।দাদা ডিউটি নেভাল এর লাস্ট মাথায় একটা বোটের । বোট টি নাকি কি জানি একটা সমস্যা হয়েছে ওটা দেখবে এবং সেই সাথে আমাদের নাকি বোটে তুলবে ।
দুইটা রিক্সা নিয়ে গেলাম এক রিক্সা ৩০টাকা করে ।গেলাম অনেকক্ষণ বসে ছিলাম যে বাতাস আমার রাতে বেলা এই সব জায়গাতে বসে হাওয়া খেতে বেশ ভালো লাগে পরে বোটে উঠা জন্য আমরা একটা ব্রিজ দিয়ে গেলাম আর একটা ফেরি মত ছিল ।ওখানে উঠে আমার মাথা ঘুরাচ্ছে । যেভাবে দুলতেছে পানি জোয়ারে ,পরে বোট টাতে উঠা হল না ।দাদা গিয়ে শুধু দেখে আসল । দাদা বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত আছেন ।
দাদা আমাদের কে বলে কি দেখ আমরা কিভাবে জাহাজে থাকি ।তোমাদের ২মিনিট বলে মাথা ঘুরাচ্ছে ।আমরা ১০/১৫ দিনে যে সাগরে যায় কিভাবে থাকি । পরে ঐখান থেকে এসে পেঁয়াজু ,চটপটি , খেলাম ।আমার নেভাল এর চটপটি অনেক ভাল লাগে । নেভাল এর পেয়াজু স্বাদ আর কোথায় ও পায় না বেশ অনেকক্ষণ ছিলাম ।
রাত ৮টা পর্যন্ত নেভালে ছিলাম ।আমি কিন্তু চটপতি তেমন খাই না কিন্তু ঐদিনে চটপটি এমন মজা পাইছি খেতে খেতে দুই প্লেট খেয়েছিলাম ।খাওয়া দাওয়া পরে বেশ আরো একটু বসে ছিলাম আর ও মন আসতে চায়ছে না নেভাল থেকে, বাতাস আরাম বসে থাকতে
অনেক ভালো লাগাতেছে ও মানুষ নাই ।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল চলে আসবো কিভাবে এতদুর থেকে হেঁটে কিভাবে আসবো গাড়ি নাই ,রিক্সা নাই । একটু হেঁটে আসলাম অনেক খুঁজাখুঁজি পর একটা রিকশা পেলাম । এক রিক্সা করে পাঁচ জনের আসলাম এয়ারপোর্ট পর্যন্ত । এরপর থেকে অটো করে বাসায় আসলাম । মেয়ে অনেক টায়ার্ট ছিল বাসায় আসা মাত্র ২০মিনিট পরে ঘুমিয়ে গেছে ।
এই ছিল আমার পতেঙ্গা নেভালে কাটানো কিছু মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি ।আজকে মত এইটুকু ছিল ।পরে হাজির হব অন্য কোন বিষয় নিয়ে দেখা হবে ।সবাই ভালো থাকবেন ,এই প্রত্যশা বিদায় ।
ছবির বিবরণ
ডিভাইজ | রিয়েল মি৫ আই |
---|---|
লোকেশন | নেভাল ,পতেঙ্গা,চট্টগ্রাম ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @shipracha |
পতেঙ্গা নেভাল বীচে বাচ্চাদের ও ভাবীর সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আমার কাছে মনে হয় যারা বীচের আশেপাশে থাকে তারা অনেক ভাগ্যবতী চাইলেই বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন।কিন্তু আমরা যারা দূরে থাকি চাইলেও বাচ্চাদের খোলা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতে পারি না।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু ভাগ্যবতী কিনা জানি আপু।কাছে আশে বলে মন চাইলে যাইতে পারি এই আর কি।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে না যেতে দেখতে দেখা আগ্রহ টা কমে যায় কয়েক গেলে আবার যেতে মন চাই। অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাহ্ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো দেখে। কখনো তো যাওয়া হয় নি। তাই পোস্টের মাধ্যমেই দেখা হলো । আপনার যেমন মাথা ঘুরছিল জলের ঢেউ দেখে,, আমি হলে তো অজ্ঞান হয়ে যেতাম 😊, ভীষণ ভয় পাই।
তবে দিদি পুরো লেখাটা আবার একটু পড়বেন। ছোট ছোট বেশ মিসটেক আছে লেখায়। খুব চোখে লাগছিল । ওগুলো ঠিক করে দিলে আরো মজা পাওয়া যাবে ব্লগ টা পড়ে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
বাহ বেশ ভালই লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। আপনার মেয়ের মত আমার মেয়েও বাইরে যাব বললেই হল। একদম বাহিরে দেওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া। কিন্তু দেখলাম বেশ ভালোই আনন্দ করলেন। আবার চটপটি খেতেন না কিন্তু এত মজা লাগলো দুই প্লেট শেষ করে দিলেন। এটা শুনেও বেশ ভালো লাগলো। এক রিক্সায় পাঁচজন এটা শুনে তো অবাক লাগলো। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে বাচ্চারা আবার একটু ক্লান্ত হয়ে পড়ে । তবে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
সেদিন খুব ভালো লাগছিল প্রায় ধরতে গেলে সন্ধ্যা পর গেছি।রাতে পর্যন্ত একবার থাকি নাই তাই মনে হ্য বেশি ভাল লাগছিল আর ঠান্ডা বাতাস। আপু আপনাকে নিয়ে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথম ছবি গুলো দেখে আমি ভেবেছি ইউরোপের কোন বন্দর বুঝি।মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে যাওয়া উচিৎ। নেভালের পেয়াজুর সুনাম আমিও আমার এক বন্ধুর থেকে শুনেছি।আর ভাগনী কিন্তু অনেক কিউট।ধন্যবাদ আপনার কাটানো সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে পেয়াজুর সেই মজা ছিল একবার খেলে বার খেতে মন চাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার কাটানো সময়টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ভালো লাগল জেনে আমার আরো বেশি ভালো লাগল।
এক রিকশায় পাঁচজন, এটা কিভাবে সম্ভব। পাঁচজনে রিক্সা ওঠার ফটোটা তোলেন নি কেন। হা হা হা... দেখতাম এক রিকশায় পাঁচজন কি করে ধরে। আর একা যে দুই প্লেট চটপাটি খেয়েছেন, পরে বাড়ি গিয়ে পেটে কোন সমস্যা হয়নি তো। যাই হোক সব মিলিয়ে পোস্ট টা খুব সুন্দর ছিল। লেখার কোয়ালিটিও খুব ভালো ছিল।
ছবি তুলছি ঝপসা রিকশা চলতি অবস্থা। বাচ্চা গুলো সহ পাঁচ জন।চটপটি জাল কম ছিল। চটপটি ওয়ালা কে বলছি মরিচ কম দিতে আমি যা যা বলছি তাই দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছে এজন্য মনে হয় বেশি ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এক রিকশা ৫জন .।
রিকশাওয়ালার জন্য আমার খুব কষ্ট লাগছে। বেচারা মনে হয় ঘরে গিয়ে কান্না করছে পা এর ব্যাথায়।
ইঞ্জিন চালিত রিকশা তো রিকশাওয়ালা কস্ট হয় নাই।
আপু আমি যখন চিটাগং ছিলাম তখন গিয়েছিলাম।জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল। কিন্ত আপন ৪৫ মিনিট পরে অটো পেয়েছেন সেটা অনেক কষ্টের ছিল।দাদার কারণে নৌ বাহিনীর জাহাজে উঠেছেন সেটা কিন্তু দারুন উপভোগ্য ছিল।ধন্যবাদ এমন একটি সুখময় মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু পতেঙ্গাতে এত বড় জাহাজ আমি তো বিশ্বাস করতে পারতেছি না। আর পতেঙ্গা এত সুন্দর পরিবেশ। মনটা পতেঙ্গা চলে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।