লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💖 " দারাজ যেনো নিত্যদিনের সঙ্গী "
শুভ দুপুর সবাইকে
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি আমার পোস্টের ভিন্নতা আনতে প্রতিনিয়ত নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আমি চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য।আজ তাই লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।আর সেই ভালো লাগা,মন্দ লাগা অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে বলতে পেরে নিজের ভেতর ভালো লাগা কাজ করে।আমি মনে করি আপনারা ও তেনটাই অনুভব করেন।
দারাজ যেনো নিত্যদিনের সঙ্গীঃ
বন্ধুরা,আজকাল খুব বেশী ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে।সময়কে ধরে রাখা ভীষন কঠিন মনে হচ্ছে।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে একদমই পারা যাচ্ছে না।এতো কিছুর পরেও চেষ্টা করি নিজের এক্টিভিটিজ ধরে রাখতে।আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের মাঝে আমি আমার নিত্যদিনের নানান ঘটনার মধ্যে থেকে একটি ঘটনা শেয়ার করতে আজ চলে এলাম।
আমার আজকের পোস্টের টাইটেল পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষনে বুঝে গিয়েছেন আমি আজ কি বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি।আসলে আমার মতো যারা মার্কেটে যেতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।তারাই কিন্তু অনলাইন কেনাকাটায় ভীষন অভ্যস্ত হয়ে পরেন।যেমনটা আমার বেলায় ঘটছে।আমি বাইরে না গিয়েও ঘরে বসে প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সবকিছু ই আজ কেনাকাটা করছি।আর এতে আমার খুব ভালো ই লাগে।আমার মতো আপনারা আর কে আছেন,কমেন্ট করে জানাবেন।
কিছুদিন আগে আমি নিজেই দারাজ অ্যাপে দেখছিলাম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আনবো বলে।কিন্তু পাশে এসে ছেলে তাকিয়ে আছে বুঝিনি।আমি করোনার পর থেকে সব সময় মাস্ক পরার অভ্যাস করেছি।তাই ভাবছিলাম দারাজ থেকে কিছু কালারের মাস্ক আনবো।আর এজন্য ই দেখা।এর মধ্যে এই মাস্ক চলে এলো ফোনের স্ক্রিনে।ছেলে তো দেখে ফেলেছে।কি আর করা।এখন বায়না করছে এই মাস্ক আনবে বলে।অনেক বোঝানোর পরেও তার ওটা লাগবে।আমার মনে পরে ছেলেবেলা ঢাকার শিশু পার্কে আব্বু-আম্মুর সাথে গেলে সেখান থেকে বের হলে বাঘ আর সিংহের মুখোশ ছাড়া আর তেমন কিছু আমার চোখে কখনও পরেনি।আর আজকাল তো মার্কেটে বা অনলাইন শপিং করতে গেলে নানা রকমের মুখোশ দেখা যায়।যা খুব সহজে বাচ্চাদের আকৃষ্ট করে।আর এটা তো হ্যালোইন মাস্ক ব্যাটারীতে চলে।অন্ধকারে ভুতের মতো ই মনে হয়।
আমি এতো বড় একজন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ভুতের গল্প পড়তে গেলে এখনো এড়িয়ে যাই।কেননা রাতে ভয় লাগবে বলে।আর আমার ছেলেকে আমি দেখি সে টিভি ছেড়ে আত্মার ঘটনা থাকে এমন কিছু দেখে।বাচ্চাদের আজকাল এতো সাহস সত্যি ই অবাক করে।যাই হোক ছেলের পছন্দের হ্যালোইন মাস্ক অর্ডার করে দিয়েছিলাম।আর দুই/তিনের মধ্যে ই চলে এসেছিল।আর সুখের বিষয় হচ্ছে ডেলিভারি ম্যান এখন আর কল করে আসে না।তারা চিনেই গেছে আমরা তাদের রেগুলার কাস্টমার,হিহি।
ছেলেকে মাস্ক পরিয়ে ঘর অন্ধকার করে ভুত সাজানোর চেষ্টা করলাম।আপনারাই দেখুন তো,ভুত ভুত লাগছে কিনা?এইতো গেলো আমার সাথে ঘটে যাওয়া দারাজের গল্প।এখন আপনাদের এমন সব গল্প শুনবো বলে আশারাখি।কেমন লাগলো আমার আজকের ব্লগ?? আশাকরি সবাই কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 50 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
ছেলের বায়না পূরণ করার জন্য খুব সুন্দর একটা জিনিস কিনেছেন আপু। অনলাইনে কেনাকাটা আসলেই ভালো। মার্কেটে ঘুরাঘুরি করার ঝামেলা নেই। দারাজে এই জিনিসটা দেখা হয়নি। তবে জিনিসটা কিন্তু খুবই সুন্দর। অন্ধকার ঘরে তো দেখতে ভূতের মতই লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
করোনা এসে অনেকেরই এই একটা ভালো অভ্যেস করে দিয়েছে, সবসময় মাক্স ব্যবহার করার অভ্যেসটা। এটা বেশ ভালো অভ্যাস আপু। আর ছেলের আবদারে এমন দারুণ ভুতুড়ে একটা মাক্স কিনে দিয়েছেন, যেটা আবার ব্যাটারির সাহায্যে চলে!! অন্ধকারে দারুণ জলে তো! আসলেই ভুতুড়ে ইফেক্ট দেয়ার জন্য পারফেক্ট!
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
দারাজ থেকে খুঁজে খুঁজে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যেহেতু করোনার পর থেকে মাক্স পড়ার অভ্যাস আমাদের হয়ে গেছে তাই এখন মাক্স ছাড়া ভালো লাগেনা। আর সেই সুযোগে ছেলে দেখছি নিজের পছন্দের মাক্স অর্ডার দিয়ে ফেলেছে। যাইহোক আপু আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য এবং আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু অনলাইন মার্কেটের মধ্যে চাল ডাল ডট কম আর দারাজকেই সবাই বিশ্বাস করে। এছাড়া যে গুলো আছে,সে গুলো তেমন বিশ্বাস হয় না। যায়হোক যেহেতো আপনি ছোট বেলায় শিশু পার্কে গেলে বাঘ শিংহের মুখোশ কিনতেন,সেখানে আপনার ছেলো তো আধুনিক যুগে আছে। সে হ্যালোইন মাস্ক চাইতেই পারে। তবে তাকে এটা কিনে দেওয়া কতটা ঠিক হয়েছে সেটা বলতে পারছি না। ধন্যবাদ।
এটা ঠিক বলেছেন চাল -ডাল আর দারাজ অনলাইনে পারফেক্ট বিশ্বাস যোগ্য অনলাইন শপিং।এই দুটো থেকেই আমার শপিং করা হয়।
নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনার জন্য আমরা দারাজ থেকে অতি সহজে নিতে পারি। বাইরে না গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ঘরে বসেই কিনতে পারি। কোন ঝামেলা ছাড়াই কোন কষ্ট ছাড়াই অতি সহজেই নিজের দরকারি জিনিস গুলো আমরা দারাজ থেকে পেয়ে যাই। আপনি ছেলের জন্য দারাজ থেকে জিনিস কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে শহরের প্রায় মানুষ দারাজ থেকে কেনাকাটা করে। আমাদের দিকে প্রতিবছর একটা মেলা হয়। সেই মেলাতে এবার এই মাক্স গুলো দেখলাম। আপনার ছেলেকে রাতের বেলা ভুতের মতই লাগছে,হা হা হা। ধন্যবাদ।
হিহিহি,ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপু।
আমি অনলাইন থেকে কোন কিছু কেনার জন্য অনেকটা আগ্রহ প্রকাশ করি৷ সেখান থেকে কিনে কখনো ঠকিনি৷ আর আজকে আপনি আপনার ছেলের জন্য খুবই সুন্দর একটি মাস্ক নিয়েছেন এবং ছোট মানুষ তো বায়না ধরবেই। তো আপনি তা পূরণ করেছেন এবং তা আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷