🌺 " উপকারী পানীয় " 🌺 | | 10 % beneficiary for @shy-fox | | ১৩ |১১| ২২ ইং| |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো,
" আমার বাংলা ব্লগবাসী " কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আর আপনাদের ভালবাসা ও শুভকামনায় আমি অনেক ভাল আছি।আমি শিমুল আক্তার,আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা নিজের মধ্যে আমি অনুভব করি।
Canva দিয়ে বানানো
বন্ধুরা,আমি আজ ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য আমার একটাই। তা হচ্ছে সুস্থতা। হে বন্ধুরা,সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত।সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।আজকাল প্রায়ই শুনি ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ। ঋতু পরিবর্তনের কারনে ই আসলে এমনটা হচ্ছে। সুস্থতা আল্লাহর দান।তবে হে,আমরা যদি সঠিক পথে চলি,খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখি তবে আমরাও সুস্থ থাকতে পারব।আমার আজকের ব্লগের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন,আমি আজ একটি উপকারী পানীয় নিয়ে কথা বলব।আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের পানীয় পান করে থাকি।তবে আমরা মুখের স্বাদ না খুঁজে যদি শরীরের সুস্থতার কথা ভেবে উপকারী পানীয় প্রতিদিন পান করি তবে সুস্থ থাকতে পারব।
বন্ধুরা,আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আপনারা আমাকে বলতে পারেন,আপনার কেন এই পানীয় উপকারী মনে হল ? হে,তবে চলুন আমি আপনাদের বলি কেন আমার উপকারী পানীয় মনে হল।করোনার ২ বছরের কথা আশাকরি সকলেরই মনে আছে। অনেক দুঃসময় আমরা তখন পার করেছি।তখন আমি অনেক কাজের মাঝে প্রতিদিন একটা কাজ করেছি,তা হল আমি এই উপকারী পানীয় টি পরিবারের সকলকে এক বেলা করে পান করতে দিয়েছি।ভাল রাখবে ত আল্লাহ কিন্তু চেষ্টা ত আমাদের ও করতে হবে ভাল থাকার,তাই নয় কি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার কিংবা আমার পরিবারের কারো করোনার সময়টাতে জ্বর,সর্দি বা কাশি কিছুই হয়নি।আমার কেন জেনো মনে হয়েছে এই পানীয়টি আমাদেরকে ভাল রাখতে আল্লাহ সহায়তা করেছেন।
সোর্স
এই উপকারী পানীয়টিতে কি কি উপকরণ দিয়ে করেছি তা আপনাদের সাথে আমি অবশ্যই শেয়ার করব।তবে আমি বিশ্বাস করি,পানীয়টি খুব উপকারী।তাইতো আপনাদের মাঝে এই শীত আসার আগেই সবাইকে জানিয়ে দিতে আমার এই পোস্ট করা।তবে হে,শুধু শীতেই নয় সব সময় পান করলে ইনশা আল্লাহ ভাল থাকতে পারবেন। এই উপকারী পানীয়টি হচ্ছে মাসালা চা। আমি উপকরণগুলো নীচে তুলে ধরছি।
- আদা
- লং
- এলাচি
- দারচিনি
- তেজপাতা
- গোল মরিচ
- মধু
*এবার বলব কি করে করবেন।আদা আর মধু বাদে সব উপকরন বেশি করে নিয়ে বেন্ড করে মিহি করে নিবেন।এরপর আদা দিয়ে রঙ চা করে ছেকে নিয়ে তাতে হাফ চামচ মিহি গুড়ো ও ইচ্ছেমত মধু দিয়ে খেয়ে নিবেন। এখন আদা গুড়ো ও কিনতে পাওয়া যায়,শুকনো এই গুড়োর সাথে আদা গুড়ো ও মিশিয়ে নিতে পারেন।আমি যদিও দুধ চা ছাড়া চা পান করিনা।এই আমি ও করোনার সময় দুধ চা পান করলেও এক বেলা এই মাসালা চা খেয়েছি।কারন আমার ভয় ছিল খুব বেশি। আমার প্রচুর এলার্জি।সামান্য কিছু ধুলোতেই আমার হাঁচি, সর্দি হয়ে যায়।কিন্তু বিশ্বাস করেন করোনার সময় আমি অনেক বেশি ভাল ছিলাম।আমার প্রতিদিনের জীবনযাপনে তেমন কিছু পরিবর্তন এই মাসালা চা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। যাই হোক আপনারা চাইলে এটা বেশি করে বানিয়ে কৌটতে তুলে রাখতে পারেন। দিনে একবার ছোট-বড় সবাই পান করতে পারেন।আশাকরি ভাল থাকতে পারবেন।আমি আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমার ভাল থাকার অভিজ্ঞতাটাই শেয়ার করলাম। *
আশাকরি উপকারী পানীয়টি সম্বন্ধে জানতে পেরে আপনাদের অনেক ভাল লেগেছে।আজ এ পর্যন্তই।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
অনুচ্ছেদটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী। আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
সময় উপযোগী একটি রেসিপি দিয়েছেন।চারদিকে যখন রোগীর ছড়াছড়ি তখন আপনার এই পানীয় অনেক কাজে লাগবে।উপাদান সব গুলোই অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যুক্ত তাই আশা করি খুবই কার্যকর হবে। ধন্যবাদ এমন উপকারী একটি উপকারী পানীয়ের রেসিপি দেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও। ভাল থাকবেন।
এটি আসলে সকলের জন্য অনেক উপকারী একটি পানিও। যেহেতু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া সর্দির ছড়াছড়ি সেহেতু এই অবস্থায় এই পানীয় এর তুলনায়। আমি এই মসলার চা বেশ পছন্দ করি। দুধ চা আমার পছন্দ না, রং চা টাই আমি খুব পছন্দ করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তন এর সাথে সাথে সর্দি কাশি মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তবে আপনি যে মসলা চায়ের কথা বলেছেন, এটি আসলে সবার জন্য উপকারী।আর বিশেষ করে আমি নিজেও দুধ চা খাই না,সব সময় রং চা খাই। তবে আপনি যেভাবে মসলা চা এর সাজেশন দিয়েছেন এভাবে খেলে মনে হয় আরো বেশি উপকৃত হব ধন্যবাদ।
হে ভাইয়া, এভাবে করে রেখে দেবেন। চা করে পরিমান মত দিয়ে পান করবেন।ভাল হবে আশাকরি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করি এবং সঠিক মাত্রায় সবকিছু খাওয়ার চেষ্টা করি তাহলে সুস্থ থাকতে পারবো। তবে এই পানিওটি দেখে ভালো লাগলো। এভাবে তৈরি করে খেতে হবে। মনে হচ্ছে খেতে ভালই লাগবে।
হে আপু ভালো ও লাগবে উপকৃতও হবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি আমাদের সকলের জন্য খুবই উপকারী একটি পানীয়। আপনি যেভাবে মশলা চায়ের সাজেশন দিয়েছেন আমার মনে হয় সেভাবে খেলে খুবই ভালো হবে। এটা সবার জন্য উপকারী। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট করে। অনেক সময় ব্যবহার করে পোস্টটি লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি আরেকবার লিখিত ভাবে এই পানীয়র রেসিপি শেয়ার করার জন্য।এই ভাবে পানীয়টা বানিয়ে খেয়ে আমি চরম আরাম লাভ করেছিলাম আপনি যখন বলে দিয়েছিলেন। অব্যর্থ ঔষধিই বলা যায়। আমার মনে হয় সর্দি কাশি হলে যে কেউ এটা একবার ট্রাই করে দেখতেই পারে। আর ভীষণ ভালো ইমিউনিটি বুস্টার।
আপনাকে ও ধন্যবাদ। শীতে বাসায় এভাবে করে পান করবেন,ভাল থাকবেন আশাকরি।
আমাদের এখানে এই পানীয়টাকে কাড়া বলে। করোনা কালীন সময়ে এই পানীয়টা নিয়মিত খাওয়া হতো। সত্যিই বেশ উপকারী এবং কার্যকরী। তবে যারা জানেনা তাদের জন্য এই পোস্টটি বেশ সাহায্যকারী হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু খুব সুন্দর এবং উপকারি একটি পোষ্ট সেয়ার করলেন। আমারও আপনার মত ডাস্ট এলার্জি আছে। তবে আমি করোনার সময় মোটেও ভয় পায়নি। আল্লাহর উপর ভরসা করে বেঁচে আছি। তবে আপনার আজকের পোষ্টের মাসালা চা টা সত্যিই উপকারি। আমি অনেক মানুষ থেকে শুনেছি লং,এলাচি,মধু দিয়ে চা খেয়ে অনেক উপকার পেয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।