বিষয় -- " ছোট্ট রামিনের কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার কিছু মুহূর্ত " | | (10 % Beneficiary @shy-fox ) | | ৩১।১০। ২২ ইং । ।
আসসালামু আলাকুম / আদাব
হ্যালো,
" আমার বাংলা ব্লগবাসী " কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আর আপনাদের ভালবাসা ও শুভকামনায় আমি অনেক ভাল আছি।আমি শিমুল আক্তার,আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা নিজের মধ্যে আমি অনুভব করি।
কোভিড - ১৯ ভ্যাকসিন দিতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত |
---|
বন্ধুরা, টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমি আমার ছেলে রামিনের Covid 19 vaccine দেয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। বৃহস্পতিবার ছিল ভ্যাকসিন দেয়ার তারিখ। আমি প্রথমে আমার ছেলের নামটি বলছি।আমার ছেলের নাম রিদওয়ান মেজবাহ রামিন। রামিন ক্লাস টু তে পড়ে। যদিও টিচার বলেছে সকাল ৮ টায় যেতে।কিন্তু শুরু হয়েছে ৯.৩০ মিনিটে।কারন সেদিন শিক্ষক দিবস ছিল,তাই শিক্ষক- শিক্ষিকারা তখন শিক্ষক দিবসের ব্যানার নিয়ে ছবি তুলছিল।আমি রামিন কে নিয়ে সকাল ৮ টায় স্কুলে চলে যাই।এরপর ওর ফ্রেন্ড রা এলো, আমি ওদের কিছু ছবি তুলি।রামিন যাতে ভয় না পায়,তাই ওর বন্ধুদের সহ ওকে বুঝাচ্ছিলাম,একটু ও ব্যথা লাগবে না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।তোমরা তো অনেক সাহসী,এসব বলছিলাম।
ম্যাডাম এলে,শুনলাম কিছু দেরি হবে।আমি তাই রামিন কে নিয়ে ওদের স্কুল ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলাম।ওকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা আর কি।রামিনদের স্কুল ক্যাম্পাস কিন্তু অনেক বড় আর অনেক সুন্দর ও। বাচ্চাদের জন্য এখানে অনেক খেলার ব্যবস্থা আছে।যা কিনা বাচ্চারা খুব বেশি পছন্দ করে।আমি চাইছিলাম,রামিন যাতে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ভুলে থাকে। যাই হোক, আমি রামিন ও ওর স্কুল ক্যাম্পাসটি দেখাতে কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
এরপর এমনি করে ৯.৩০ মিনিট হয়ে গেল।আমি ওকে নিয়ে ক্লাস রুমে চলে এলাম।ম্যাডাম এলো, এসে সব ছাত্র - ছাত্রীদের বুঝাচ্ছিল বলল “পিঁপড়ের কামড়ের মত লাগবে “ ভয় পাওয়ার কিছু নেই।ছেলেদের বাংলা ভার্সন হল রুমে নিয়ে যাবে। আর মেয়েদের ইংলিশ ভার্সন হল রুমে নিয়ে যাবে। প্রথমে ছেলেদের লাইন করে নিয়ে চলল।আমরা মায়েরাও গেলাম পাশে হেঁটে। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল এত এত বাচ্চা আর মায়েরা কিন্তু কোন হট্টগোল বা ধাক্কাধাক্কি ছিল না।
ম্যাডামরা বাচ্চাদের এত সুন্দর ভাবে নিয়ে গেল। আর ভ্যাকসিন দেয়ার দৃশ্যটি ছিল আরও সুন্দর।সেখানে মায়েরা না গেলেও ম্যাডামদের আন্তরিকতা দেখে সত্যি ই আমি মুগ্ধ হয়েছি।বাচ্চারা বুঝতেই পারেনি তাদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। প্রথমে কেজি,তারপর ওয়ান ,এরপর টু। খুব সুন্দরভাবেই ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হল। স্কুলের ম্যাডামদের উপর আমি সত্যি ই সেদিন মুগ্ধ হলাম। একজন নয় বরং ৪/৫ জন ম্যাডাম সব বাচ্চাদের সেদিন সাহস দিয়ে পাশে ছিল মায়ের মত করে।তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। খুব ভাল লাগা মন নিয়ে রামিনকে নিয়ে এরপর বাসায় চলে আসি।আল্লাহর রহমতে কোন অসুস্থতা অনুভব করেনি। খুব সুন্দরভাবে দিনটি কেটে গেল।
ফটোগ্রাফির তথ্য
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
আজ এ পর্যন্তই। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন। আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন,যেন সত্যিকারের একজন ভাল মানুষ হয়ে বড় হতে পারে।
বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এমন উদ্যোগ সরকারের সত্যি একটা যেন স্বস্তির নিশ্বাস।রামিন বাবা তো ভ্যাকসিন দিয়ে দিলো যাক ভালোই হলো।আমার মেয়েকে দিলাম স্কুল থেকে গত ২৩ তারিখ।আপনি ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে অনেক বুঝিয়েছেন ভয় না পাওয়ার জন্য।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপু। ব্লগটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ভাল লাগলো।
আসলে স্কুল টা বেশ সুন্দর, ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। অনেক খেলার জন্য অনেক কিছু রয়েছে। যাই হোক
বাচ্চারা অনেক ভয় পায় ভ্যাকসিন দিতে। তাদের কে ম্যাডাম রা সুন্দর করে বুঝিয়ে জেনে ভালো লাগলো।আপু আপনার ছেলের নামটা বেশ সুন্দর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপু আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ব্লগটি পড়ে মন্তব্য দিয়েছেন,বেশ ভাল লাগলো।
রামিন বাবুর ভ্যাকসিন হয়ে গেলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভ্যাকসিন দেওয়া সবার জন্য জরুরি। বাচ্চারা দিতে গেলে একটু ভয় পায় দেওয়ার পর আর কিছু মনে হয় না। রামিন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা রইল 🧡🧡🧡
ভয় তো আমি নিজের বেলায়ই প্রথম পেয়েছিলাম। এটা ভেবে, কি হয় দিলে পরে।😅যাই হোক, রামিন ভালোই ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু। 🥰
আপু প্রথমেই বলি আপনার ছেলের নামটা কিন্তু খুবই সুন্দর। আপনার ছেলের স্কুলটাও খুবই সুন্দর। যাক আপনার ছেলের ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগছে। আসলে বাচ্চারা ভ্যাকসিন নিতে খুবই ভয় পায়। আপনি আপনার ছেলে এবং ওর বন্ধুদের খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। ওদের স্কুলে খুব সুন্দর নিয়ম শৃঙ্খলের ভিতর ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পূর্ণ করেছে দেখে ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ছেলের নামটি আমি ই রেখেছি। অনেক অভিনন্দন আপু আপনাকে।
বাচ্চাদের স্কুলের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়টি খুব ভালো করেছে। আমার ছেলেকেও সেদিন দিয়েছি। আপনি তো বাচ্চার সঙ্গে ছিলেন আমার ছেলের স্কুলে গার্জিয়ানদের সঙ্গে যেতে দেয়নি। বাচ্চাদেরকে নিয়ে টিচাররাই খুব সুন্দর করে ভ্যাকসিন দিয়ে পাঠিয়েছে। সব বাচ্চারা এক সঙ্গে নেওয়ার কারণে বাচ্চারা ভয় পায়নি। আসলেই অনেক সুন্দর স্কুল ক্যাম্পাসটি। দোয়া রইল আপনার ছেলের জন্য।
আপু এত এত বাচ্চা আবার মায়েরা তারপরেও কেউ কারো গায়ে ধাক্কা লাগেনি। অনেক ভাল ছিল পরিবেশ।আমি রামিনের ভ্যাকসিন পুশ করার ছবিও নিয়েছিলাম কিন্তু ৪/৫ জন ম্যাডাম চারিদিকে দাঁড়িয়ে থাকাতে ওকে দেখা যাচ্ছিল না,তাই দিলাম না। অনেক ধন্যবাদ আপু।
তাহলে রামিনের ভ্যাকসিন স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে দিয়ে এসেছেন। সত্যি বলতে বাচ্চাদের একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে তারপর দিতে হয়। কারণ তারা ভ্যাকসিন দিতে বা সুই দিতে ভয় পায়। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
আপনার ছেলের নামটা আগে জানতাম না। বেশ সুন্দর নাম তো। প্রথম করোনা ভ্যাকসিন এর কথা শুনে আমার নিজের মধ্যেই বেশ ভীতির সঞ্চার হয়েছিল। আর ওরা তো একেবারে বাচ্চা। আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে ঘুরে তাকে আতঙ্ক মুক্ত রেখেছেন এটা এবং ম্যাডামদের অবদান এটাও আমার বেশ ভালো লেগেছে।।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক ভাল লাগলো।
স্কুলের বাচ্চাদের ভ্যাক্সিন এর আয়তায় আনা হয়েছি বিষয়টা ভালো। আপনার ছেলে ভ্যাক্সিন দিয়েছে এর অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। ওর স্কুলের শিক্ষক দের আন্তরিকতা দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ। বাচ্চারা একটু সুই জাতীয় জিনিশ ভয় ভাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনারা যেভাবে ওদের বুঝিয়ে ভ্যাক্সিন দিয়েছেন এটা সত্যি দারুণ।
বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেবার চমৎকার কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপু। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তারা অনেক সুন্দর ভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বাচ্চাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগটিকে আমি সাধুবাদ জানাতে চাই, কারণ তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের সকল মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।