💕 ভালোবাসার মিষ্টি গল্প 💕 --" সেই তুমি " | | আমার বাংলা ব্লগ [ 10 % @shy-fox ] | ১৩| ০১| ২৩ ইং | |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌷 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভাল আছি।আমি শিমুল আক্তার @shimulakter,আমি বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এ ব্লগিং করি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে।বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আমি আজও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি ভালোবাসার গল্প শেয়ার করব।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার শেয়ার করা গল্পটি।
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করিঃ
Canva দিয়ে বানানো
প্রায় ৫ বছর পর অনিক বাংলাদেশে এসে পৌঁছলো। এতদিনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন অনিক দেখতে পেলো। অনিক ভাড়া করা একটি গাড়িতে উঠে রওনা দিল।গাড়িতে বসে বসে অনিক ভাবছে,নিশিকে এবার দেখবে সে,না দেখে সে যাবে না।নিজের ফ্ল্যাটে উঠার পর বোনকে ফোন দিল দেখা করার জন্য।কিছু সময়ের মধ্যে বোনও চলে এলো।বোনকে দেখে তার খুব ভাল লাগলো।মা - বাবার কথা জানতে চাইলো কেমন আছে,বোন বলল ভালো আছে।বোন বাসায় যাওয়ার জন্য বলল কিন্তু অনিক বাসায় যাবে না তেমনটাই বলল।অনিক এবার বলল ,"নিশি কেমন আছে ? অনিকের বোন অনন্যা বলল," তুমি চলে যাবার পর ভাবীকে আর দেখিনি,কোথায় আছে তাও জানিনা।তুমি চাইলে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।" অনিক বলল, " তুই খুঁজে বের কর,আমিও খুঁজব।" অনন্যা বলল, " তুমি কি এখনো ও ভাবীকে ভালোবাস ভাইয়া? যদি ভালোই বাস তবে কেন ছেড়ে গেলে ? অনিক কিছুই বলল না,মুখ নিচু করে বসে রইলো।তখন বোন বলল,তুমি দেশে এসে বাসায় উঠলে না,ভাবীকে রেখে চলে গেলে আমেরিকায় আবার সেই ভাবীকেই খুঁজে বের করতে বলছো,কেন ভাইয়া ? আজ সব আমায় বলবে।"
অনিক ৫ বছর আগের সেই দিনগুলোতে চলে গেল।নিশিকে ভালোবেসে একদিন বিয়ে করেছিল অনিক।অনিকের বাবা খুব রাগী মানুষ,তাই বউ নিয়ে বাসায় না গিয়ে বন্ধুর ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠেছিল দুজন।বন্ধু লিমনের বাবা-মা আমেরিকা থাকে।লিমনদের অনেকগুলো ফ্ল্যাট আছে।তাই বারিধারার এই ফ্ল্যাটে ওদের যতদিন ইচ্ছা থাকতে বলে, লিমন নিজের ফ্ল্যাটে চলে গেল।এই ফ্ল্যাট খুব সাজানো গোছানো দেখে নিশির খুব ভাল লাগে ফ্ল্যাটটি।অনিক কে নিশি বলে," আমাকে এমন একটি ফ্ল্যাট কিনে দেবে।" অনিক বলল, তোমার এমন ফ্ল্যাট পছন্দ যখন আমি কিনে দেব।আমাকে একটু সময় দাও।" নিশি বলল ঠিক আছে। অনিক একটি জব করে স্যালারি ভালোই পায়।এভাবেই খুব সুন্দর সময় কেটে যাচ্ছিল দুজনের।অফিসে কাজের চাপ বেশি হওয়াতে অনিককে প্রায় দিন একটু দেরি করে বাসায় আসতে হয়,নিশি মন খারাপ করে একা একা এত সময় বাসায় থাকে ভালো লাগে না নিশির।নিশি বলে অনিককে, " সবাইকে ছেড়ে আমি তোমার কাছে এসেছি ,আমাকে কখনো একা করে চলে যাবে না তো,তুমি ছাড়া আমার কিন্তু কেউ নেই।" অনিক নিশিকে বলে," কি বলছো এসব ?"
এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিলো তাদের দুজনের।সুখ-হাসি-আনন্দে দিনগুলো ভালোই কেটে যাচ্ছিলো।একদিন সকাল বেলা অনিকের মা অনিককে ফোন দেয়,ফোন দিয়ে অনিককে বলে,ঘর তার ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।একা একা তার ভালো লাগছে না।অনিক ও নিশিকে বাসায় যেতে বলে।নিশির সাথেও কথা বলে অনিকের মা।নিশি তার কথাকে উপেক্ষা করতে পারলো না।নিশি বলল, " আমরা আসব মা,আপনি মন খারাপ করবেন না। " এরপর অনিক তার মা কে বলে," বাবা কিছু বলবে না ?" অনিকের মা বলে, " তোরা আয় আমি দেখব ।"পরের দিন বন্ধু লিমনকে ফোন দেয় বাসায় আসার জন্য।লিমনের হাতে ঘরের চাবি দিয়ে ওরা দুজন বাসার দিকে রওনা দিল।বাসায় গিয়ে অনিক মা- বাবা দুজন কেই বাসায় দেখতে পেলো।নিশিকে পরিচয় করিয়ে দিল।নিশি সালাম করে পাশে বসলো।তখন অনিকের বাবা বললেন," নিশির মা-বাবাকে এখানে আসতে বলো,এখানে দুজন একসাথে এভাবে থাকতে পারবে না।আমি বিয়ে দেব তোমাদের।এই এলাকার মানুষের কাছে আমি ছোট হতে পারব না।" অনিক এই কথা শুনে দাঁড়িয়ে যায়।কারন নিশির মা-বাবাকে কোন মুখে সে আসতে বলবে।তারাতো নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করেছে।নিশির হাত ধরে অনিক বাসা থেকে বের হতে যাচ্ছিলো,এমন সময় অনিকের মা বলে উঠল," বাবা তুই বউকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস ? যাস নে তুই ?
আবার সেই লিমনকে ফোন দিয়ে এনে সেই ফ্ল্যাটে আবার থাকতে শুরু করল ওরা দুজন।ভালবাসার মধুর বন্ধনে খুব সুন্দর সময় তাদের কেটে যাচ্ছিলো। প্রতিদিন সকালে অনিকের অফিসে যাওয়া।আর নিশি অনিকের পছন্দের খাবার রান্না করে অনিকের অপেক্ষায় বসে সময় গোনা,এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো তাদের দুজনের ।বন্ধের দিনগুলোতে দুজন মিলে ঘোরাফেরা,বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা এভাবেই সুন্দর সময় কেটে যাচ্ছিলো তাদের।একদিন লিমন তাদের দেখতে বাসায় আসে।এসে দেখে অনিকের শরীর খুব গরম।তখন নিশি বলে," ওর প্রায় বেশ কিছুদিন ধরে শরীর গরম দেখছি।আপনি অনিক কে একজন ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যান।তখন অনিক বলে, " আরে কিছু না,এমনি হাল্কা গরম,এজন্য আবার ডাক্তার দেখাতে হবে না।লিমন বলল, "অনিক চল তো ডাক্তার কাছে চল।"
ভেবেছিলাম শেষ করতে পারব,কিন্তু বড় হয়ে যাবে তাই পরবর্তী পর্বের দিকে চোখ রাখুন। আশাকরি আমার ভালোবাসার মিষ্টি গল্প " সেই তুমি " আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে আমি পরবর্তী পর্বটি লেখার উৎসাহ পাব।আজ এ পর্যন্তই আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
🎀 আমার লেখা এই ভালোবাসার মিষ্টি গল্পটি "সেই তুমি "পড়ার জন্য সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।🎀
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
বর্তমান সমাজে প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে তার বাবা-মার বিরুদ্ধে আচরণ করে এবং বিয়ে-শাদী করে। আরে প্রতিফলন বিপরীতে ঘটে বেশি ক্ষেত্রে। অনেক পাঁচ বছর দেশের বাইরে ছিল। আরে পাঁচ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। নিশিরকে বিয়ে করার ফলে অনওক যখন বাহিরে কাজে থাকতো তখন আসতে দেরি হতো বেশি খারাপ লাগবে কারনে একা একটা বাসায় থাকা অনেক কঠিন ব্যাপার একটা মেয়ের জন্য। যাহোক আপু আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো, কিন্তু শেষে কি হলো সেটা জানা হলো না, অপেক্ষায় থাকলাম।
শেষ পর্বটি খুব শীঘ্রই দিব, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সেই তুমি গল্পটি বেশ ভালই ছিল কিন্তু। আমার কাছে গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে তাই তো আপনার গল্পটি পড়ার সময় গল্পের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছিলাম। এরকম ঘটনা তো আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করে এভাবে সংসার করতে শুরু করে। মনে হচ্ছে পাঁচ বছরে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে। পরে বেশ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার লেখা গল্পটি পড়ার জন্য।
বেশ জটালো গল্প,নেক্সট সিন আন্দাজ করা একটু কঠিন।
তবে টাইটেল বুঝাচ্ছে গল্পটা হয়তো প্যাথেটিক হবে।অধীর আগ্রহে থাকলাম,বিচ্ছদের কারণ জানতে।
বেশী অপেক্ষায় থাকতে হবে না। খুব শীঘ্রই দিব, ধন্যবাদ আপনাকে।