জেনারেল রাইটিং -- 💕 " দাদার আদর " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulaktet,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মত আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্টের ভিন্নতা এনে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে।তাই আজ একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করছি।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
দাদার আদরঃ
বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগ লেখা হয়েছে মূলত দাদার আদর নিয়ে। বড় ভাইকে অনেকে দাদা সম্বোধন করে।আমি আসলে সেই দাদার কথা আজ বলতে আসিনি।আমি এসেছি গ্র্যান্ড ফাদার (দাদার) গল্প শুনাতে।সেই দাদার আদর আমার বা আমার ভাই-বোনদের কারোই পাওয়া হয়নি।দাদার আদর আসলে কেমন হয় তা পাওয়া হয়নি আমার।কিন্তু অনুভব করি আমি সব সময়।
আমার দাদা খুব অল্প বয়সে মারা যান।আমার আব্বুর যখন ৫/৬ বছর ঠিক তখনই। আব্বুর ও মনে নেই দাদার মুখের আদল।দাদা কখনও ছবি তোলেননি।তাই দাদা দেখতে কেমন ছিল তা আর জানা হয়নি।তবে দাদুর মুখে যতটুকু জেনেছি তাতে দাদা ছিলেন লম্বা,দেখতে খুব সুদর্শন,আর ছিলেন স্বল্পভাষী। দাদা এতোটাই সুন্দর ছিলেন রোদ থেকে এলে লাল হয়ে যেতেন।এই হলো আমার দাদার শারিরীক কিছু বর্ননা।
দাদার আদর কেমন হয় আমার জানা নেই।যখন আব্বুর কথা ভাবি তখন আরো বেশি খারাপ লাগা অনুভব করি। একজন ছেলে বাবার আদর ছাড়া বড় হয়েছে।তখন নিজের অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ভুলে যাই।দাদার আদর পাইনি আল্লাহ তাই দাদুকে রেখেছিলেন অনেক বছর দাদার অপূর্ণতা ঘোচাতে।দাদু কয়েক বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।তিনি আমাদেরকে অনেক ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন।
আমি যখন আমার ছেলেকে তার দাদার সাথে খেলাধুলা,গল্প, আবদার করতে দেখি তখন আমি নিজের মধ্যে দাদার সেই অপূর্ণ জায়গাটাকে অনুভব করি।আমি কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাই নিজের জায়গা থেকে।দাদার আদর কেমন হয় তখন অনুভব করার চেষ্টা করি।সব সম্পর্কের ভালোবাসা,আদর আলাদা ধরনের।সেই দাদার ভালোবাসার জায়গাটা আমার ফাঁকাই রয়ে গেছে।দাদু যতই আদর,ভালোবাসা দিয়েছে দাদার সেই আদর, ভালোবাসার জায়গা আসলে পূরণ করতে পারেননি।কারো জায়গা আসলে কেউ পূরণ করতে পারেনা।এটা দিব্য সত্যি কথা।পূরণ করতে পারলে আজও দাদার আদর,ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মনটা আমার এমন হাহাকার করতো না।
মন খারাপের দিনগুলোতে খুব বেশী মিস করি দাদাকে।তখন মনে হয় পাশে দাদা থাকলে নিজের খারাপ লাগা অনুভূতি গুলো শেয়ার করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম। সেই দাদা নেই তাই আজ আর স্বস্তির জায়গাটা ও নেই।এতো বড় এই পৃথিবীতে এতো এতো মানুষ,অথচ দাদা নামক এই মানুষটি আমার পাশে নেই।অনুভূতিতে শুধু আছে লম্বা,সুদর্শন আর স্বল্পভাষী একজন মানুষ।
আসুন আমরা সব সম্পর্কের যত্ন করি।মানুষটিকে হারিয়ে ফেলে কষ্ট পাওয়ার চাইতে থাকতে তার মূল্যায়ন করি।যে চলে যায়,সে কিন্তু আর ফিরে আসেনা।
আজ আর নয়।সবাইকে আবারো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
| শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
আসলে আপু দাদা এমন একটা জিনিস যার কাছে বিভিন্ন অন্যায় আবদারও পূরণ হয়ে যায়। পৃথিবীর সবথেকে নিরাপদ জায়গা হল দাদার কোল। আর আপনি মনে হয় দাদার এই ভালোবাসা থেকে আপনি বঞ্চিত হয়েছেন। আপনার জেনারেল রাইটিংটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আমিও আমার দাদাকে দেখিনি আমার বাবাও যখন অনেক ছোট তখন আমার দাদা মারা যান।
লোকমুখে এবং দাদীর কাছ থেকে দাদার অনেক গল্প শুনেছি।
আপনার দাদার সম্পর্কে লেখা কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আল্লাহ যেন আপনার দাদাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
আপনার সাথে আমার এই জায়গাটাতে মিল পেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে নিজের দাদুর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আপনার বাবার ভাগ্য সত্যি অনেক খারাপ। তাই তো তিনি বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আসলে যেই মানুষটি আমাদের মাঝে এখন আর নেই মানুষটির শূন্যতা আমরা অনুভব করি। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আমাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও দাদাকে দেখিনি। বেশ আল্প বয়সে দাদা মারা গেছেন।তবে দাদীকে দেখেছি। তিনি আমাদের বেশ আদর করতেন। আমরা অনেকেই সম্পর্কের যত্ন করি না। নিজেকে নিয়েই সবাই ব্যস্ত। তাই আমাদের সকল সম্পর্কের যত্ন নেওয়া দরকার। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে আমার দাদা-দাদুর সবাই আছে এবং তাদের অনেক আদরও পেয়েছি আসলে যার দাদা নেই সে বোঝে। ঠিকই বলেছেন আপনি কারো জায়গা কেউ পূরণ করতে পারে না সবাই যেরকম আলাদা আলাদা ব্যক্তি তাদের আদরগুলো আমি মনে করি আলাদা। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে তবে আপনি দাদার আদর পাননি সেটা জেনে একটু খারাপ লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।