জেনারেল রাইটিং --- 💕 " জীবে প্রেম করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বর " || আমার বাংলা ব্লগ
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulaktet,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মত আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্টের ভিন্নতা এনে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে।তাই আজ একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করছি।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
জীবে প্রেম করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বরঃ
বন্ধুরা,আমার আজকের পোস্টের টাইটেলের লাইন দুটো আমরা কম-বেশী সবাই জানি।এই লাইন দুটোতে কি বোঝানো হয়েছে আমরা সবাই তা বেশ ভালোই জানি।কিন্তু সব জানাই কিন্তু ঠিকমতো জানা হয়ে উঠেনা।জানার মাঝেও কিছুটা ঘাটতি থেকেই যায়।আজ নিজের কিছু জানা থেকেই সেই অজানা কিছু জানাতে আমার আজকের এ পোস্ট শেয়ার করা। তবে চলুন,আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
এই দুটি বাক্যে কি বোঝানো হয়েছে আগে আমার ভাবনা থেকে আমি তা লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।এখানে জীব বলতে এই পৃথিবীর সকল জীবকেই বোঝানো হয়েছে।অর্থাৎ যাদের জীবন আছে।সেই জীবের প্রতি যেই মানুষটি প্রেম বা ভালোবাসা দিবেন,সেই মানুষটি ঈশ্বর,আল্লাহ যে যেই নামেই স্রষ্টাকে ডাকি না কেন সেই আল্লাহর ভালোবাসা পাবেন।এক কথায় বলা যায়, স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করতে হলে তাঁর সৃষ্ট জীবের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হবে।
আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।সব জীবের মধ্যে আমরা মানুষ সেরা।সেরা আমরা কেন?? কারন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মাঝে বিবেক,বুদ্ধি দিয়েছেন।যা কিনা অন্য কোন জীবের মাঝে দেয়া হয়নি।সেই সৃষ্টির সেরা জীব এই মানুষ আমরা। আমরা কি নিজেদের বিবেক,বুদ্ধি কাজে লাগাই? কতোটাই বা কাজে লাগে আমাদের বিবেক?? সেই প্রশ্ন করা হলে সবাই নিজেদেরকে ১০০% বিবেকবান বলে দাবী করবেন।কিন্তু কাজের বেলায় দেখা যায় আমাদের মাঝে বিবেক কোথায়?? বিবেক তখন কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল।বিবেক আমাদের মাঝে কেন নেই,তা আমি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি।আশাকরি বুঝতে পারবেন।
বন্ধুরা,আমি অনেক সময় সকালে হাঁটাহাঁটি করি।এটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।সুস্থ থাকতে হলে তো করতেই হবে।যাক, যা বলছিলাম।দেখা গেছে পথে কুকুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।একদল ছেলেরা আছে শুধু শুধু কুকুরগুলোকে তাড়া করবে,ইট ছুড়বে।এতেই তারা তৃপ্তি হবে না।আরো কিছু লাঠি ধারে কাছে পেলে তা দিয়েই মারতে থাকবে।এমন দৃশ্য দেখলে,আমি ঠান্ডা মানুষ আমারই মাথা গরম হয়ে যায়। আমার ইচ্ছে করে কাছে গিয়ে টাস করে গালে চড় বসিয়ে দেই।কিন্তু তা তো দিতে পারিনা।কিন্তু মনে মনে বলি মানুষরুপী পশু।এতেই মনের যন্ত্রনাটা কিছুটা লাঘব হয় আমার।
বোবা এই প্রানীটিকে আপনি মারবেন।তার প্রতিবাদ তো সে করবেই।তাইতো কুকুরটি কামড় দিয়ে প্রতিবাদ করতে আসে।কুকুরটি যদি মানুষের মতো হাত -পায়ের ব্যবহার করতে জানতো তবে আপনাকেও সে হাত দিয়েই মারতো।মুখ দিয়ে কামড় দিতে আসতো না।
আমার ছেলে পাখি পুষবে খুব যন্ত্রনা দিচ্ছিল আমাকে। আমি ছেলেকে কোনভাবেই বোঝাতে পারছিলাম না।পাখি পোষা আমার দ্বারা হবেনা।তখন ছেলেকে গল্প বলে বোঝালাম,আমার কাছ থেকে তোমাকে কেউ যদি নিয়ে যায় তখন তোমার কেমন লাগবে?? আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে?? ছেলে না বলল।তখন বললাম এই পাখিটির ও মা আছে, আমি কি করে এই পাখিকে আটকে পুষবো।পাখিটির তো মায়ের জন্য খারাপ লাগবে। তখন ছেলে আমার বুঝতে পারে।সেই ফিলটা তার মধ্যে হয়তো আসে।তাই আর পাখি পোষার কথা বলেনা।
এরপর আপনারা অনেককেই দেখবেন বাজার থেকে মুরগি কিনে মুরগির পা দুটো ধরে হেলতে দুলতে বাজার থেকে আসে।যদিও আজকাল বেশিরভাগ মানুষ বাজার থেকে মুরগি কাটিয়ে নিয়ে আসে।তারপরে ও দেখা যায় অনেকে এই কাজটি করে।তখন মুরগিগুলোর মাথা নিচের দিকে থাকাতে মুরগিগুলো কেমন যেনো করতে থাকে।যা আমার কাছে মোটেও শোভনীয় লাগেনা।আর তাইতো কাউকে না কাউকে দেখলে আমার তাকে বলতেই হয় মুরগিগুলোকে ডানায় ধরে নিয়ে যেতে।আমরা আল্লাহকে পেতে, আল্লাহর ভালোবাসার জন্য কত কি ই না করি।অথচ এই ছোট ছোট কাজগুলো করে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য খুব সহজেই পেতে পারি।আল্লাহর সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া দেখালে আল্লাহও আমাদের দয়া করবেন।
আমরা অনেকেই মনে করি মানুষ হয়ে শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখালেই আল্লাহ খুশি হবেন।কিন্তু না মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি দয়া তো অনেকেই আমরা করি।কিন্তু বাকি জীবগুলোর প্রতিও আমাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হবে।এতেই আমরা আল্লাহর ভালোবাসা খুব সহজেই পাবো।পৃথিবীর সকল জীবের প্রতি প্রেম দেখালে আল্লাহ খুশি হবেন।জীবের সেবা করা মানেই আল্লাহর সেবা করা।তাই জীবের সেবা বাদ দিয়ে আল্লাহর সেবা করলে আল্লাহ তাতে সন্তুষ্ট হবেন না।তাই মানুষ ও সকল জীবের প্রতি দয়া,ভালোবাসা দেয়াই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ কাজ।আর এতে করেই আমাদের মঙ্গল বয়ে আসবে।
আজ আর নয়।সবাইকে আবারো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
জীবে প্রেম করে যেইজন সেই তো হলো প্রকৃত মানবতার কান্ডারী। আপনার আজকের টপিকটি বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর বিস্তারিতভাবে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কিছু কিছু মানুষের স্বভাবই থাকে অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়ার। ছেলেগুলোও হয়তো সেরকমই। আমি ভাবছি যে যদি আপনি গিয়ে সত্যি সত্যি চড় বসিয়ে দিতেন তাহলে কেমন হতো। তাছাড়া খুব সুন্দরভাবে আপনার ছেলেকেউ বুঝিয়েছেন। এর ফলে সে নিজে থেকেই পাখি পোষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আসলে আমাদের উচিত পশু পাখির প্রতি দয়া দেখানো। কিন্তু কজনইবা তা করে। খুব ভালো লিখেছেন আপু।
রাগ আর একটু হলে হয়তো দিতাম।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন আপু। আসলেই জীবের প্রতি দয়া দেখালে সৃষ্টিকর্তা ভীষণ খুশি হয়। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ কারণ অকারণে জীবজন্তুকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে। একবারের জন্যও ভাবে না তারা তো খুব অসহায়। সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছে করলে আমাদেরকেও জীবজন্তু বানাতে পারতো। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু আপনি খুবই অসাধারণভাবে জীবের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এই পোস্টের মাধ্যমে। জীবের প্রতি ভালোবাসা দেখালে তা সৃষ্টিকর্তার প্রতিও ভালোবাসা দেখানোর সমান হয়। তাই আমাদের জীবে প্রেম করা উচিত এবং জীবের প্রতি নিষ্ঠুরতা ত্যাগ করা প্রয়োজন।
মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার করা এই পোস্টটা দেখে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। আসলে এরকম ভাবে পশুপাখি পালন করা আমার পছন্দ না। তাদেরকে কেনই বা আমরা আটকে রাখবো। এভাবে রাখলে তাদের স্বাধীনতা থাকে না। আপনার ছেলেকে আপনি গল্পের মাধ্যমে অনেক কিছুই বুঝিয়েছেন। এত সুন্দর করে এই বিষয়টা লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আসলে পাখি পালনের ইচ্ছাটা অনেক আগে আমারও ছিল। তবে এখন নিজের কাছেও অনেক বেশি খারাপ লাগে এই কথাটা শুনলে। কারণ নিজের ইচ্ছায় এভাবেই একটা পাখিকে বন্দী করে নিজেদের কাছে রেখে দিতে খুবই খারাপ লাগে। আসলে আমাদের মত পাখিরও অধিকার রয়েছে মুক্ত আকাশে উড়াউড়ি করার। আপনি অনেক সুন্দর টপিক নিয়ে পোস্ট করার কারণে এই টপিক নিয়ে লেখা পোস্টটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।