বিষয় - ফটোগ্রাফি - ১ || গ্রামের বাড়িতে একদিন||@shimulakter
আসসালামু আলাইকুম , আদাব । কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভাল আছেন । আমিও আপনাদের শুভ কামনায় ভাল আছি ।
বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছি , শুধু রেসিপি নয় , ফটোগ্রাফি পোস্ট দেব। আজ প্রথম ফটোগ্রাফি পোস্ট দিচ্ছি , জানিনা আপনাদের কতটা ভাল লাগবে ,ভাল লাগলে হয়ত আবার পোস্ট করার ইচ্ছা জাগবে ।
আমি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি । কিন্তু দুঃখের বিষয় করোনা আসার পর দীর্ঘ ২ বছর বাসায় বন্দি জীবন কাটিয়েছি। দিনগুলো অনেক বেশি কষ্টের কেটেছিল ।২ বছর পর যখন ই বাইরে পা রাখি , সর্বপ্রথম নিজের পৈতৃক বাড়ির দিকে মন ছুটে গেল । মা-বাবা সব আত্মীয়রা সবাই ঢাকাতেই থাকে । বাড়িটা খালি পরে থাকে। করোনা ভাইরাস কমে যাওয়ার পর প্রথমেই আমি আমার পরিবার আব্বু-আম্মু, ভাইবোন , বাচ্চাদের সাথে নিয়ে গিয়েছি আমার দাদাবাড়ি বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ জেলায়।
সবুজ আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে ।প্রকৃতির সাথে নিজেকে একাকার করে দিতে খুব ইচ্ছে করে । ইচ্ছে করে সবুজের সমারোহে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।অনেক বেশি ভাল লাগা কাজ করে , যখন আমি প্রকৃতির পাশে থাকি ।আজ আমার মোবাইলে থাকা সেই রকম কিছু ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।গ্রামের পরিবেশের কিছু ছবি আমি আমার মোবাইলে ধারন করেছিলাম । আশাকরি আপনাদের কাছে খুব ভাল লাগবে।
ফটোগ্রাফি -১
আমরা যখন রওনা দেই, আকাশটা খুব রৌদ্র উজ্জ্বল ছিল।
ফটোগ্রাফি -২
সকাল ৯ টার মধ্যে আমরা আমাদের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরি।বুড়িগঙ্গা সেতু পার হতে পারলে বাড়ি পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময়ও লাগে না ।
ফটোগ্রাফি -৩
আমরা সেদিন খুব বেশি মজা করছিলাম গাড়িতে। খাঁচা থেকে পাখি ছেড়ে দিলে যেরকম আনন্দ পায় ,সেদিন বাচ্চাগুলো ঠিক তেমনি আনন্দ পাচ্ছিল। আমরা বড়রাও সেদিন বাচ্চা হয়ে গিয়েছিলাম ।
ফটোগ্রাফি -৪
পথে যেতে দেখি গ্রামের কিছু বাচ্চারা একজন খেলনা বিক্রেতাকে ঘিরে ধরেছিল। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের একসাথে ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।
ফটোগ্রাফি - ৫
পথের ধারে খেজুর গাছ দেখে খুব বেশি ভাল লাগছিল,তাই ছবি তুলে নিয়েছি ।এভাবে পথের ধারে আম গাছে মুকুল দেখে সেই গাছেরও ছবি আমি তুলে নিয়েছি।
ফটোগ্রাফি- ৮
একটা সাঁকো চোখে পরেছিল, সেই ছবিও তুলেছি । ছোট বেলা এমন সাঁকো অনেক বেশি ভয় লাগতো । কিন্তু এখন বেশ মজা পাই । পদ্ম পুকুর দেখে খুব নামতে ইচ্ছে করেছিল, সেই ইচ্ছেটাকে অনেক কষ্টে দমন করতে হয়েছিল। শুধু ছবি তুলেই রাখতে পেরেছিলাম আমার মোবাইলে ।সেই ছবিও শেয়ার করলাম ।
ফটোগ্রাফি - ৭
আমরা ইতিমধ্যে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। বাড়িতে কেউ থাকে না । তাই গ্রামের এক ছেলেকে গাছে তুলে, ডাব পেরে এক এক করে ডাব কেটে আমরা খেয়ে নিচ্ছিলাম।
ফটোগ্রাফি -৮
আমরা সাথে করে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম । এক এক করে সবাই হাত-মুখ ধুয়ে নিলাম।এরপর সবাই খাওয়া শেষ করে ঘোরাঘুরি করলাম। আমি গ্রামের কিছু ছবি তুলেছি, তা আপনাদের শেয়ার করলাম।এভাবেই বিকেল হয়ে এল।
ফটোগ্রাফি -৯
ঘোরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে গেল ।এমন প্রকৃতি অনেক বেশি ভাল লাগে আমার ।বৃষ্টি এলো না । আকাশ আবার পরিস্কার হয়ে গেল।
ফটোগ্রাফি - ১০
গ্রামের এক বাচ্চা মেয়ে আমাকে কিছু ফুল দিল । আমার বেশ ভাল লাগছিল । আমি ফুল গাছে ফুল দেখছিলাম। ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখছিলাম।
ফটোগ্রাফি -১১
এরপর নাগা মরিচ গাছ , কাঁকরোল গাছ দেখছিলাম । গাছে অনেক বেশি মরিচ ধরেছিল ।
ফটোগ্রাফি -১২
গ্রামের এক বাচ্চার উচ্ছলতা দেখে খুব ভাল লাগছিল,তার ছবিও তুলেছিলাম।গ্রামের সহজ সরল মানুষের সরলতা খুব বেশি মন কেড়ে নেয় আমার ।
ফটোগ্রাফি -১৩
এরপর সন্ধ্যা নেমে এলো ,আর আমরাও ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা হলাম ।
দীর্ঘ ২ বছর করোনার পর আমরা এভাবেই অনেক মজা আর আনন্দে কাটিয়ে ছিলাম ।আমার ভাল লাগা অনুভুতি গুলি ছবি দিয়ে শেয়ার করলাম । আপনাদের কাছে কতটুকু ভাল লাগেছে আমার ফটোগ্রাফি ?
ভাল লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা ।
আমি এই ছবি আমার মোবাইল দিয়ে তুলেছি ,নিচে তার বিবরন তুলে ধরছি --
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
আমার এই ছবি ভাল লেগে থাকলে , অবশ্যই জানাবেন । ভাল না লাগলেও জানাবেন।আজ এ পর্যন্তই। আবার আসব, নতুন কোন ভাল লাগা , নতুন কোন অনুভুতি নিয়ে । সবাই অনেক বেশি ভাল থাকবেন ।
আল্লাহ হাফেজ
আমি শিমুল আক্তার
@shimulakter
ওরে বাপরে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি একসাথে শেয়ার করেছেন। বিশাল ব্যাপার স্যাপার আপনার ফটোগ্রাফির হাত অনেক পাকা বোঝা যাচ্ছে, তা না হলে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি কিভাবে সম্ভব। যাইহোক ভালো লাগলো সব মিলিয়ে আর বাচ্চাদের আনন্দ গাড়ির মধ্যে চোখে লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছেও অসম্ভব ভালো লেগেছে দেখে তো মনে হচ্ছে আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে। সত্যি আপনার দক্ষতার প্রশংসা করতে হয় অবশ্যই। আমার কাছেও ঘুরাঘুরি করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি করোনা আমাদের সবাইকে অনেক টা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আপনার লেখার মধ্যে আলাদা একটা মাধুর্য আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। দারুণ ছিল আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো। এবং পরিবারের সবাই মিলে বিশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন। আশাকরি ভবিষ্যতে আপনার থেকে আরও ভালো পোস্ট পাব।
আমাদের সকলের প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করতে অনেক বেশি ভালো লাগে প্রকৃতির মাঝে থেকে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামের মত সুখের স্থান কোথাও নেই বোন। যেখানে রয়েছে গ্রাম বাংলার চেনা অচেনা সকল ঐতিহ্যর জন্মস্থান। তাই এখানে শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন। গ্রামের মানুষের সাথে শান্তিতে কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে পারলেও বুঝবেন এই সময়টা কতটা না মধুর। স্মৃতি হয়ে থাকবে জীবন খাতায়।
সত্যি ভাইয়া অনেক বেশি ভাল লেগেছিল সেদিন।আপনাকে ধন্যবাদ।