লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 শুধু পিজ্জা নয় নিজের হাতের বানানো খাবার ও ননদকে খাওয়ালাম
শুভ রাত্রি সবাইকে
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে স্বাগতম সবাইকে
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
শুধু পিজ্জা নয় নিজের হাতের বানানো খাবার ও ননদকে খাওয়ালামঃ
বন্ধুরা,আজ আবার চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।তবে চলুন শুরু করি আজকের ব্লগটি।আমার ব্লগ যারা নিয়মিত পড়েন তারা জানেন কিছুদিন আগে ঘরের কেনাকাটা করতে নিউ মার্কেট গিয়েছিলাম ননদকে নিয়ে।আপনারা জানেন কেনাকাটা করে দুজনের দুহাত জিনিসপত্র দিয়ে আটকে গিয়েছিল। কোথাও বসে কিছু খাবো দুজন তা পারিনি।তাই বলে ননদকে কিন্তু না খাইয়ে রাখিনি।আমি কিন্তু এতো খারাপ নই বন্ধুরা।আমি আমার ননদকে কি খাবার খেতে দিয়েছিলাম তাই আজ শেয়ার করতে চলে এলাম।
আমি বাসায় এসে ননদকে বললাম কি পছন্দ তার? কি খাবে?? কারন সবার পছন্দ তো এক নয়।আমি যেমন বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ করিনা।আমি বাইরের খাবার গুলো নিজে বাসায় নিজের হাতে করে খাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সবাই তো আর আমার মতো নয়।তাই সবার ভালো লাগার মূল্যায়ন আমি করি।তাই আপার কাছে জানতে চাইলাম কি খাবেন?? আপা পিজ্জা খাবে বলল।তাই আমি পিজ্জার অর্ডার করলাম।
ননদকে শুধু বাইরের খাবার খাওয়াবো এমনটা কখনও হয়নি।আমি নিজের হাতে বানানো খাবার যেমন নিজে খেতে পছন্দ করি। তেমনি সবাইকে খাওয়াতেও ভীষণ পছন্দ করি।নিজের হাতে করতে একটু কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সবাই যখন তৃপ্তি নিয়ে খায় তখন খুব ভালো লাগে। আমি সবাইকে নিজের হাতে খাবার খাওয়াতে সব সময়ই ভীষণ পছন্দ করি।
পিজ্জা তো আসছে। আমি রান্না ঘরে গিয়ে ফুলকপির চপ ও চিকেন ফ্রাই করে নিলাম।কারন এই শীতের সময় ভাজা ভুজি খেতে কিন্তু বেশ লাগে।যদিও আমি তেলের খাবার খুব একটা খেতে চাই না,এভোয়েড করি।শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে।কিন্তু ননদ কিংবা বোন এলে সবকিছু হারিয়ে যায় আমার।সবার পাল্লায় পরলে একটু এদিক-সেদিক হয় আর কি।
এরপর দুইটি পিজ্জা এলো আর আমার বানানো খাবার খেয়ে আমি কোল্ড কফি করলাম।শীতের সময়টাতে ঠান্ডা খাবার খেতে দারুন লাগে।তাইতো কোল্ড কফি করে দুজন গল্প করতে করতে খেয়ে নিলাম।দিনটি খুব ভালো ই কেটেছে, কি বলেন আপনারা??
আজ আর নয়।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | samsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
আসলেই ঘরে বানানো খাবার বেশ তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। পিজ্জা আমার ভীষণ পছন্দ। যাইহোক ননদের জন্য বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন দেখছি। বাহিরে থেকে পিজ্জা অর্ডার করলেন,তারপর বাসায় চিকেন ফ্রাই ও ফুলকপির চপ তৈরি করলেন এবং একেবারে শেষে কোল্ড কফি। সবমিলিয়ে আপনার জবাব নেই আপু। আপনি সবকিছু খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারেন এবং খুব অল্প সময়ে। সবগুলো খাবার বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম আপনার পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
এটা খুব ভালো করেছেন ননদের বেশ ভালো আপ্যায়ন হয়েছে দেখছি, আমার মনে হচ্ছে বাইরের খাবার থেকে আপনার তৈরি করা খাবার গুলোই বেশি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। যাইহোক আপনার ননদ আপনার খাবারে এবং আদরে খুশি হয়েছেন নিশ্চয়ই।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু অনেক সময় দেখা যায় কেনাকাটা করতে গিয়ে আর খাবার খাওয়ার মতো সময় থাকে না। যাইহোক আপনি ননদকে বেশ ভালো খাবার খাওয়ালেন । আমাদের বললে হয়তো চলে যেতাম হা হাহা।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
নিজের হাতে কোন কিছু তৈরি করে আপনজনদের মাঝে খাওয়ানোর মজাই আলাদা থাকে। তবে আমি তো নিজের হাতে কিছু জিনিস তৈরি করতে জানিনা। তাই উৎপাদন করে যায় থাকে না সেগুলাই খাওয়ানোর চেষ্টা করি। যেমন বিভিন্ন পর্যায়ের শাকসবজি ফলমূল। ভালো লাগলো আপন জনকে সুন্দর ভাবে নিজের হাতে তৈরি করে বেশি দারুণ কিছু খাওয়ায়েছেন দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ননদকে শুধু বাইরের খাবার খাওয়ালে হয় নাকি নিজে হাতে তৈরি করে খাইয়েছেন সেটার আলাদা ক্রেডিট থাকে। তবে যাই বলুন পিজ্জা দেখে মনে হচ্ছে একটু টেস্ট করি একদম রেস্টুরেন্টের পিজ্জা মতই লাগছে। বোঝা যাচ্ছে আপনি বেশ ভালো পিজ্জা তৈরি করতে পারেন।
ভাইয়া পিজ্জা আমি অর্ডার করেছিলাম।আর বাকি খাবার আমি নিজে তৈরি করেছিলাম।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই আপু সবার পছন্দ যেহেতু এক নয় তাই অতিথিকে জিজ্ঞাসা করে তার পছন্দের খাবার তৈরি করলে অতিথি যেমন খুশি হয় তেমনি নিজের কাছেও ভালো লাগে। আপু আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। খাবার গুলো সব লোভনীয় লাগছে।
ধন্যবাদ আপু।
ননদের সাথে তাহলে তো আপনার ভালই সুন্দর সম্পর্ক আপু। অন্যান্য জায়গায় তো ননদের সাথে অনেকটা সাপে নেউলের মত সম্পর্ক থাকে। এত কিছু রান্না করে খাওয়ালেন তারপর আবার বাইরে থেকেও খাবার এনে খাওয়ালেন। তাছাড়া সব থেকে আকর্ষণীয় লাগলো যে কোল্ড কফি করে গল্প করতে করতে দুজনে সুন্দর সময় কাটালেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
এটা ঠিক বলেছেন আপু আমিও একদম বাহিরের খাবার খেয়ে তৃপ্তি পাই না। তাইতো বেশিরভাগ সময় বাসায় বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনার ননদ পিজ্জা খেতে চেয়েছিল এবং তার সাথে আপনি বাসায় চিকেন ফ্রাই এবং ফুলকপির পাকোড়া বানিয়ে ছিলেন। শীতে এরকম ভাজা ভুজি খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছে তো পিজ্জা থেকে ফুলকপির চপ ও চিকেন ফ্রাই গুলো বেশি ভালো লেগেছে। যদিও আমি তৈলাক্ত জিনিষ খুব কম খায়। তবে রেসিপি গুলো আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।