💕 ভালোবাসার মিষ্টি গল্প 💕 --" শুধুই তুমি " | | আমার বাংলা ব্লগ [ 10 % @shy-fox ]
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? ?
হ্যালো,
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ " এর আমি একজন অ্যাক্টিভ ও নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে। ভালো লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা।
Canva দিয়ে বানানো
শুধুই তুমিঃ
মেয়েটি ক্লাসে এসে নিজের চেয়ারে বসে গেলো। এরপর এক এক করে সবাই পরিচয় দেয়ার পর মেয়েটি যখন তার পরিচয় দেবে তখন কাব্যর ভেতর কেমন যেন করছিল। সেদিনের সেই রেস্টুরেন্টে দেখার পর থেকে কাব্য মেয়েটিকে ভুলতে পারেনি। এখানে দেখে তাই সে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিল। মেয়েটি দাঁড়িয়ে এবার তার নাম বলল," আমার নাম রিনি।" নামটি শুনে কাব্যর মনের মধ্যে রিনিঝিনি সুর বেজে উঠল।ক্লাস শেষ করে বাসায় যাওয়ার পর তার বাবা জানতে এলো ভার্সিটিতে কেমন লাগলো। কাব্য কিছুই বলল না।
রাতের খাবার খেতে বসে কাব্যর বাবা আবার জানতে চাইলো,কি হল বললে না তো কেমন লাগলো আজকের প্রথম দিনটি। তখন কাব্য তার বাবাকে সব খুলে বলল। তার বাবা শুনে তো মহা খুশি। সেই মেয়েটি তার ছেলের স্টুডেন্ট। এবার কিছু একটা হওয়ার আভাস পেলেন তিনি। পরের দিন ভার্সিটিতে গেলো কাব্য। সবাই যেন এই হ্যান্ডসাম স্যারের জন্য পাগল। রিনির বান্ধবী কাব্য স্যারকে খুব পছন্দ করে ফেলেছে। রিনিকে বলল, রিনি যেন তাকে সাহায্য করে। সব শুনে রিনি বলল,একদিন রেস্টুরেন্টে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলেছিলাম,মনে আছে ? তখন রিনির বান্ধবী বলল, " হে, মনে আছে।" তখন রিনি বলল, " সেদিনের সেই ছেলেটি ই এই কাব্য স্যার।"রিনির কথা শুনে তার বান্ধবী বলে উঠে, " আমি ছেঁকা খেয়ে গেলাম।"
প্রতিদিন ই ক্লাসে,ক্যান্টিনে কাব্যর সাথে রিনি ও তার বান্ধবীর চোখাচোখি হয়েই যাচ্ছে। আর রিনির বান্ধবী কাব্যর প্রতি যেন আরও বেশি আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এভাবেই দিন কাটছিল। তাদের এই চোখে চোখে দেখা চলছিল।একদিন কাব্য ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছিল,রিনি তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যান্টিনে এলো। দুরের একটি টেবিলে গিয়ে বসলো দুজন।আবার সেই চোখে চোখে কথা হচ্ছে তাদের। রিনি উঠে গিয়ে কাব্যর সামনে দাঁড়ালো।কাব্যকে সালাম দিলো। কাব্য অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। রিনি এবার বলল, " স্যার আপনাকেই সালাম দিয়েছি,ভাল আছেন আপনি ? আংকেল কেমন আছেন ? তিনি কি এখনো পাত্রী খোঁজেন ?" কাব্য বলল ," তেমন কিছু না।"এরপর রিনি চলে গেলো। কাব্য বসে তার বাবার কথা তখন ভাবছিলো,বাবা সেদিন সেই কাজটি না করলেও পারতো।
এখানে এসে মেয়েটিকে নতুন করে দেখতে পেয়ে কাব্য যেন কিছুতেই মন থেকে মেয়েটিকে সরাতে পারছে না।প্রতিদিনই দেখা হওয়াতে মেয়েটির প্রতি দিন দিন কাব্য দুর্বল হয়েই যাচ্ছে। কিছুই তার ভালো লাগছে না।তার চোখে সব সময় রিনির মুখটি ই ভেসে উঠে। বসে বসে এতসব ভাবছিল কাব্য। হঠাৎ তার বাবা এসে বলল, " কাব্য তোমার কি হয়েছে আমায় বলো।" কাব্য বলল ," বাবা আজ তোমার কারনে আমি মেয়েটির প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। " এ কথা শুনে কাব্যর বাবা খুব খুশি হয়ে যায়। কাব্য তখন বলে তার বাবাকে ," এত খুশি হওয়ার কিছু নেই। মেয়েটি আমার স্টুডেন্ট বাবা । তাকে আমি কোনদিন ই এ কথা বলতে পারব না। আর তাছাড়া মেয়েটি হয়ত আমাকে নিয়ে এমন কিছু ভাবছেই না ।" কাব্যর বাবা তখন বলে ," তাও ঠিক ।তবে অন্য মেয়ে দেখি তোমার জন্য। তোমাকে বিয়ে দিয়ে ঘরে একটি মা আনতে চাই।" কাব্য আর কোন কথাই বলতে পারল না তার বাবাকে, তার মনের ভেতরের কথাগুলো।
এদিকে রিনি তার বান্ধবীকে তার বাসায় ডেকে আনলো। রিনির বান্ধবী বলল, " কি বলবি বলে ডেকে আনলি,এখন আবার চুপ করে দাঁড়িয়ে আছিস। " তখন রিনি বলল, " আমি তো বলব কিন্তু কি করে বলি তাইতো বুঝতে পারছি না।" তখন রিনির বান্ধবী বলল," তবে বলে ফেল,আমার সাথে ভনিতা করার কি আছে।" রিনি তখন বলে ," আমার মনে হয় আমি কাব্য স্যারের প্রেমে পরে গেছি।আমি আমার মাথা থেকে কিছুতেই তাকে সরাতে পারছি না।" তখন রিনির বান্ধবী বলে," দেখ,মজা করি,ফান করি তা সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয়। কিন্তু যদি সিরিয়াস হয় তবে তো সমস্যা। এর আগেও এমন ঘটনায় অনেক টিচারকে চাকুরী হারাতে হয়েছে।অনেক স্টুডেন্ট সাসপেন্ড ও হয়েছে,তুই জানিস না এসব।রিনি তখন বলে," যা হওয়ার হবে আমি সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত আছি।"
ভেবেছিলাম শেষ করতে পারব,কিন্তু বড় হয়ে যাবে তাই পরবর্তী পর্বের দিকে চোখ রাখুন। আশাকরি আমার ভালোবাসার মিষ্টি গল্প " শুধুই তুমি " আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে আমি পরবর্তী পর্বটি লেখার উৎসাহ পাব।আজ এ পর্যন্তই আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
🎀আমার লেখাএই ভালোবাসার মিষ্টি গল্পটি "শুধুই তুমি"পড়ার জন্য সবাইকে অনেক শুভেচ্ছাও অভিনন্দন।🎀
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
এভাবেই ভালোবাসার সম্পৃক্ততায় হয়ে ওঠে মহাকাব্য। কাব্য এবং রিনিথ ভালোবাসার গল্পটি পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। এরকম অনেক গল্প আছে যেগুলো কখনো প্রকাশিত হয় না অনেক ভালো লেগেছে গল্পটি পড়ে।
গল্পটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্ আপু আপনি তো খুব রোমান্টিক গল্প লিখতে পারেন।এর আগেও পড়েছিলাম আপনার ভালোবাসার মিষ্টি গল্প,সেটাও ভালো ছিল।টিচারের প্রেমে পড়া এটা আরও বেশি ভালো হয়েছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শুধুই তুমি গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুবই রোমান্টিক গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রিনি পরবর্তীতে কি করে এইটা দেখার জন্য অধিক আগ্রহ আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শেষ পর্ব কাল দিয়ে দেব।
এরকম গল্প বারবার পড়তে ইচ্ছে করে 😜
এই বয়সে রোমান্টিক গল্প করার ইচ্ছা খুবই বেশি।
দারুন লিখেছেন আপু, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম মিষ্টি প্রেমের গল্প পড়তে কার না ভালো লাগে 🙈
আপনার মতো আমারও খুব ভাল লাগে। 🫣 অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
শিক্ষক আর ছাত্রীর প্রেম নিয়ে ভালই তো গল্প লিখছেন। আমারও আপনার গল্প পড়ে অনেক গল্প মনে পড়ে গেল। দেখি সময় করে শেয়ার করবো। গল্প পড়ে বোঝাই যাচ্ছে আপনি কোন মাপের লেখক আপু। গল্পের শেষে কি প্রেমের মিলন না বিচ্ছেদ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।