জেনারেল রাইটিং -- 💕 " সঞ্চয় "
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে।আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulaktet,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।কাজ সময়মতো না করা হলে আসলে ভালো থাকাটা ঠিক মতো হয়ে উঠে না।তাই এখন চেষ্টা করছি লেখার।আজ জেনারেল রাইটিং নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।প্রতিদিন আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্টের ভিন্নতা এনে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে।তাই আজ একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করছি।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সঞ্চয়ঃ
বন্ধুরা,আমার আজকের জেনারেল পোস্টটি মূলত কি বিষয়ের উপর লেখা তা আপনারা সকলেই হয়তো অবগত হয়েছেন।আসুন,আজকের জেনারেল রাইটিং বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি।বন্ধুরা,আজ আমি সঞ্চয় বিষয় নিয়ে কিছু লিখবো বলে হাজির হলাম।সঞ্চয় আসলে কি?? সঞ্চয় বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ হওয়ার পর কিছু অর্থ আমরা যদি জমা করে রাখি।সেটাই হচ্ছে সঞ্চয়।আর এই সঞ্চয় কম হলেও যদি নিয়মিত জমা রাখা যায়, তবে একদিন আমাদের সঞ্চয়ের পরিমান অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
আমি মূলত সঞ্চয় নিয়ে আমার কিছু অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এসেছি।আসলে সঞ্চয় করার জন্য অনেক অর্থ হলে করা যাবে এমনটা কিন্তু নয়।যার ইচ্ছে আছে সঞ্চয় করার সে কিন্তু অল্প কিছুর মধ্যে ও অর্থ সঞ্চয় করার কাজটি করতে পারে।আর যে মানুষটির আসলে ইচ্ছে হয় না সঞ্চয় করার তাকে আপনি অনেক অর্থের মাঝে থাকতে দেখলেও তার সঞ্চয় দেখতে পাবেন না।এখানে আসলে ইচ্ছেটা ও একটি বিষয়।
তো,যাই হোক আমার কথাই বলি আমি কিন্তু একদম সঞ্চয় করতে পারি না।অনেক টাকা আমার হতে থাকলেও তা যেনো মুহুর্তেই নেই হয়ে যায়।এর কারন আমাদের হাতের মুঠো ফোনে আছে আজ অনলাইন শপিং।আমি বাইরে বেশী না গেলেও ঘরে বসেই খুব সুন্দর ভাবেই টাকা ওয়েস্ট করতে পারি।এরপর সবাইকে এটা সেটা দিয়ে ব্যাগ শূন্য করে ফেলি।এর কারন আমার ইচ্ছে সবাইকে এটা ওটা দেয়ার।এই অভ্যাসটা আসলে আমার ছোটবেলা থেকেই।যদিও বুঝি কিছু সঞ্চয় করে রাখা দরকার।কিন্তু পরক্ষনে এটা ভাবনায় আসে আজ মরলে কাল দুই দিন।এই অর্থ যদি আমিই তৃপ্তি মতো খরচ না করি,তবে কি হবে এতো সঞ্চয় করে।
এই সঞ্চয় বিষয়ে আমার আম্মু সব সময় আমাকে বলতে থাকে।আমি কেন এতো টাকা অপচয় করি?আসলে এটাকে আমি অপচয় বলি না।কারন একজন মানুষকে কিছু দেয়ার পর সেই যে আনন্দটুকু সেটাই আমি আমার ভালো লাগার সঞ্চয় মনে করি।আমার আম্মুর কথা,আমি যা কিছুই করি না কেন,সবাইকে এটা সেটা দিয়ে ও যাতে আমি কিছু সঞ্চয় করি।বিশ্বাস করেন আমি এখানে সেখানে কিছু কিছু টাকা সব সময়ই রাখি।কিন্তু আবার সেখান থেকে বের করে খরচ ও করে ফেলি। তাই কোনভাবেই যেনো সঞ্চয় কিছু হচ্ছিল ই না।তাই অনেক ভাবলাম কি করা যায়।তো সেই ভাবনা থেকেই সেদিন নিউ মার্কেটের পাশে মাটির নানা রকমের জিনিসপত্রের দোকান থেকে এই মাটির ব্যাংকটি আমি নিয়ে আসি।মাটির জিনিসগুলো আমার ভীষণ পছন্দ।ছেলেবেলায় বৈশাখি মেলার একমাত্র আমার প্রধান আকর্ষন ছিল মাটির নানান জিনিসের উপর।
আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আমার যখন টাকার প্রয়োজন হবে তখন আমি এই মাটির ব্যাংকটি ভেঙে টাকা বের করে নেবো।কিন্তু না,আপনাদের ভাবনাটা ভুল।কারন আমি আমার শখের এই মাটির ব্যাংকটি ভেঙে টাকা বের করে ফেলবো,এটা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% নেই।আর এই কারনেই সেদিন ব্যাংকটি আনা।মাটির জিনিসগুলো আমার ভীষণ পছন্দ।পছন্দের এই মাটির ব্যাংকটি না ভাঙার কারনে এবার হয়তো আমার সঞ্চয় কিছু হলেও হবে।আপনারা সবাই দোয়া করবেন।আমি যথেষ্ট হিসেবী কিন্তু সঞ্চয়ী নই।হিসেবী বলতে কোন কিছু অপচয় করা পছন্দ করি না।কিন্তু সঞ্চয় করা আমার হয়ে উঠে না। প্রিয় মানুষদেরকে গিফট করতে আমি ভীষন পছন্দ করি।আমার আবার প্রিয় মানুষের সংখ্যা একটু বেশী ই।গিফট পেতেও কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লাগে।সঞ্চয়ী হওয়া আসলে আমাদের প্রত্যকেরই উচিত।আজ এক টাকা এক টাকা করে রেখে দিলে একদিন অনেক টাকা আমাদের সঞ্চয় হবে।তখন বিপদ এলে এই সঞ্চয় আমাদেরকে রক্ষা করবে।পরিবেশ পরিস্থিতির কথা তো আর বলা যায় না।তাই দিনশেষে বলবো সঞ্চয়ী হয়ে উঠা ভীষন জরুরী।আমি যতই সঞ্চয়ী হই না কেন সবাইকে দেয়ার প্রবনতাটা আমার রয়েই যাবে।এর থেকে মুক্তি নেই।হয়তো নিজের এই অনলাইন শপিং কিছুটা বন্ধ হবে আর কি, হিহিহি।সত্যিটাই বললাম।আমি আবার মিথ্যা একদম ই বলি না।আশাকরি আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার। আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
সত্যি আপু সঞ্চয় করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা যদি সঞ্চয় করি তাহলে সেই সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে প্রিয় মানুষগুলোকে কোন কিছু খুব সহজে দিতে পারব। আপু আপনার মত আমিও প্রিয় মানুষগুলোকে কোন কিছু গিফট করতে অনেক পছন্দ করি। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন সঞ্চয় করতে বেশি টাকা পয়সার প্রয়োজন হয় না, মন থাকলেই যথেষ্ট। আসলে আপু টাকা পয়সা থাকলে সঞ্চয় করতে হয় না, এমনিতেই হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক কিছু কিছু করে জমিয়ে রাখলে এক সময় অনেক সঞ্চয় হয়ে যাবে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Twitter link
আসলে সাংসারিক জীবনে সঞ্চয় করার ইচ্ছা থাকলে যেন হয়ে ওঠে না। বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার মধ্য দিয়ে আমাদের সঞ্চয় নষ্ট হয়ে যায়। তবে আপনার আম্মু আপনাকে পরামর্শ দিয়ে থাকে গোছানোর জন্য এটা কিন্তু সকলেরই প্রয়োজন। কারণ যে কোন মুহূর্তে আমাদের বড় এমাউন্ট প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। তাই খরচের পাশাপাশি কিছুটা গোছানো প্রয়োজন রয়েছে।
টাকা পয়সা সঞ্চয় নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন দেখছি। আমার ছোটবেলায় একটা সুন্দর ব্যাংক ছিল। সেখানে আমি অনেক টাকা পয়সা গুছাতাম। কিন্তু এখন যে টাকা পয়সা গোছানোর সময় সেটা হয়ে ওঠেনা। আপনার আম্মা আপনাকে সুন্দর পরামর্শ দেয় কিন্তু আপনি সেটা ধরে রাখতে পারছেন না। চেষ্টা করুন বেশি খরচ না করে কিছুটা গোছানোর এতে ভবিষ্যতে ভালো হবে।
জি আপু তাইতো এই মাটির ব্যাংকটি কেনা।এবার মনে হয় কিছু হবে।ধন্যবাদ মতামত প্রকাশ করার জন্য।
সুসময়ের অল্প অল্প সম্পদ খারাপ সময়ে অনেক কাজে লাগে। এটা আমাদের বোঝা উচিত। কিন্তু আমার অবস্থা টাও ঠিক আপনারই মতো হা হা। সত্যি বলতে সঞ্চয় টা আমি নিজেও একেবারেই করতে পারি না একেবারেই না হা হা। এর জন্য আমার মা যদিও আমাকে কিছু বলে না। তবে আমাদের দৈনন্দিন ব্যয় টা একটু লাঘব করে সেখান থেকে সঞ্চয় করা টা উচিত। যেটা আমাদের খারাপ সময়ে কাজে লাগবে। সুন্দর লিখেছেন আপু।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি সঞ্চয় করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আবার কাউকে গিফট করতে এবং গিফট পেতেও অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি মাঝেমধ্যেই ব্যাংক কিনে সঞ্চয় করি। আগে এটা বেশি করতাম। তবে এখন খুবই কমে গিয়েছে সঞ্চয় করা। কিন্তু আমি এবারেও ভাবছি আরেকটা ব্যাংক কিনব সঞ্চয় করার জন্য। দু এক বছর হলে দেখা যায় অনেক টাকা সঞ্চয় হয়েছে। আর ব্যাংকে একবার টাকা রেখে দিলে আমি সহজে আর ব্যাংক কাটি না, দুই এক বছর ছাড়া। প্রিয় মানুষগুলোকে কিছু দিলে দেখা যায় তারা অনেক খুশি হয়। তখন নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু।
সঞ্চয় করা ভালো,এটা খুবই ভালো একটি অভ্যাস। কারন বিপদে পড়লে এই সঞ্চয় করা টাকা অনেক বড় উপকারে আসে। তবে আমি বলেবো না আপনার চাহিদা পুরন না কর জমা করুন। তবে সবার উচিত অত্যন্ত কিছু কিছু হলেও সঞ্চয় করা উচিত। আপনার মাটির ব্যাংকটি আমার পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
সঞ্চয় করা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবার উচিত নিত্য খরচ করার টাকাগুলোর থেকে কিছুটা হলেও সঞ্চয় করে রাখা। কারণ সেই সঞ্চয়ের টাকাগুলো একসময় দেখা যাবে আমাদের অনেক বড় কাজে আসবে। আর সঞ্চারের অর্থ গুলো দিয়ে যদি কাউকে কোন গিফট দিতে পারি, তখন দেখা যাবে নিজের কাছে ভালো লাগতেছে। আর প্রয়োজনীয় কোন কিছু কেনার প্রয়োজন হলে, তখন আমরা সঞ্চয়ের টাকাটা ব্যবহার করতে পারব। আর তখন অনেক ভালো লাগবে। এই ব্যাংকে যদি আপনি যদি প্রতিনিয়তই টাকা রাখেন, তাহলে একসময় ভালোই টাকা জমবে।
দোয়া করবেন ভাইয়া।টাকা জমানো শেষে যেনো পোস্ট শেয়ার করতে পারি।ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে। সত্যিই অল্প কিছু হলেও আমাদের সঞ্চয় করা উচিত। আমার খুব ভালো করে মনে আছে আমার বাবু জন্মের পর আমি অল্প অল্প কিছু টাকা জমা তাম। কিছুদিন আগে আমি সেই ব্যাংটি ভেঙ্গেছি প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকার মতো জমিয়েছিলাম। খুব যে টাকা রাখতাম তাও না মাঝেমধ্যেই যখন হাতে এক্সট্রা টাকা পেতাম ঢুকিয়ে রাখতাম ব্যাংকে।যাইহোক শুভ কামনা রইল আপু আপনার জন্য।