লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 " অবশেষে নতুন রাউটার কিনতে হলো "
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে স্বাগতম সবাইকে।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
অবশেষে নতুন রাউটার কিনতে হলোঃ
বন্ধুরা,আজ নতুন একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম। আমার আজকের পোস্টের টাইটেল পড়ে আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন আমি আসলে আজ কোন বিষয়টা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।তবে শুরু করার আগে আমি একটু পেছনে ফিরে যেতে চাই।বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি প্রথম অনলাইনের সাথে যুক্ত হই ২০১৪ সালে।আর এ সময়েই আমি প্রথম ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করি।সেই থেকে আমার অনলাইনমুখি যাত্রার শুরু।
আমি তখন থেকে ই মোবাইল ডাটা ইউজ করে আসছিলাম।আমার বাবার বাসায়,ছোট বোনের বাসায় রাউটার থাকলে ও আমি কখনও রাউটার বাসায় রাখবো না এমনটাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম।সারাক্ষন নেটের মধ্যে থাকবো এমনটা ভাবনার বাইরেই ছিল আমার।এজন্য আমি স্বাধীন ভাবে মোবাইল ডাটা দিয়েই অনলাইনে থাকাটা বেছে নিয়েছিলাম।
কিন্তু আমার সেই ভাবনার অবসান হয়েছিল করোনা কালীন সময়ে। ছেলের স্কুলের ক্লাস ওয়াটস অ্যাপে হওয়াতে আমার মোবাইল ডাটা দিয়ে কাজ হচ্ছিল না।তাই তখন রাউটার আমাকে বাসায় সেট করে নিতে হয়।সেই থেকেই সারাদিনে নেটে থাকার আমার যাত্রা শুরু। এরপর ওই সময়টাতে নিজেও ঘরে বসে অনলাইনে কাজ শেখা।এরপর ধীরে ধীরে আমার বাংলা ব্লগ এ জয়েন হওয়া। এভাবেই রাউটার আমাকে অনেক বেশি আমার কাজে সহযোগিতা করে আসছিলো।আমি খুব হ্যাপী ফিল করা শুরু করেছিলাম।নেট ভালো পাওয়া গেলে কাজ করেও আরাম। সময়ের কাজ সময়ে খুব চমৎকার ভাবেই শেষ হয়ে যায়। তখন মনটা ও বেশ ফুরফুরে লাগে।আমি আবার ভীষণ কাজ পাগল মানুষ।যে কাজই হোক না কেন সময়,গুরুত্ব সবটা দিয়েই করার চেষ্টা করি।
তবে কিছুদিন ধরে বেশ বিরক্ত হচ্ছিলাম কাজ করতে গিয়ে।নেট স্লো,ছবি আপলোড করতে গিয়ে বেশ সময় কেটে যাচ্ছিল।পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে গেলে কমেন্ট পোস্ট হতে সময় নিচ্ছিল।এক পোস্ট করতে গিয়ে আমাকে বেশ কয়েক বার নেট অফিসে ফোন করতে হচ্ছিল।খুব ঝামেলার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছিল।আমার ধারনা ছিল নেটওয়ার্ক এ সমস্যা হয়তো। আর এজন্য প্রতিনিয়ত আমাকে নেটের অফিসে ফোন দিতে হচ্ছিল।বেশ বিরক্ত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিলাম।একদিন পোস্ট করতে বেশ সময় লাগছিল।তখন নেট অফিস থেকে এক ভাইয়া আসে দেখার জন্য কি সমস্যা। কারন আর কেউ তাদের অভিযোগ করেনা নেটের কানেক্ট নিয়ে।কিন্তু আমি ই নাকি বেশি কল দিচ্ছি।এজন্য ই তিনি রাউটার চেক করে দেখতে এলেন।যা হবার তাই হয়েছে।তাদের লাইনের কোন সমস্যা হয়নি।সমস্যা হয়েছিল আমার রাউটারের।
এরপর সেদিন একটা কাজে এলিফ্যান্ট রোডে গিয়েছিলাম।তখন কাজ সেরে আসার পথে নতুন এই রাউটার আমি নিয়ে আসি।যে আমি কখন ও বাসায় রাউটার এনে সারাক্ষণ অনলাইনে থাকার বিপক্ষে ছিলাম।সেই আমি ই আজ এক মূহুর্ত ও অনলাইন ছাড়া থাকার কথা ভাবনাতেও আনতে পারিনা।আসলে এটাকেই বলে প্রয়োজন।অনলাইনে থাকাটা যদি সুন্দর কোন কাজের প্রয়োজনে হয়। তবে এটা ভালো দিক।তবে এটা ও সত্যি সারাক্ষণ অনলাইনে থেকে আমরা যেনো আমাদের পরিবারের মানুষ গুলোকে সময় দিতে না ভুলে যাই।মূলত এই কারনটির জন্য ই প্রথম থেকে আমি রাউটার ঘরে আনার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছিলাম।
সময়ের প্রয়োজনে আমাদের কে হয়তো এগিয়ে যেতে হবে।তবে সবকিছুর আগে পরিবার।পরিবারের বয়ঃজ্যোষ্ঠ ও কনিষ্ঠ সদস্যদের যত্ন কিন্তু সবার আগে নিতে হবে।সবকিছু ঠিক ঠাক রেখে যেকোনো কাজ করলে কাজে যেমন আনন্দ পাওয়া যায়। তেমনি সেই সকল কাজে সফল ও হওয়া যায়। তাই আজ বলতে আমার দ্বিধা নেই সারাক্ষণ বাসায় অনলাইন থাকা মানেই কিন্তু খারাপ কিছু নয়।শুধু চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আনা দরকার।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter link
রাউটার কেনা নিয়ে ভাল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রথম অনলাইনে যুক্ত হওয়া সহ আজকের রাউটার কেনা পর্যন্ত। আপনি ঠিক বলেছেন,সারাক্ষণ বাসায় অনলানে থাকা মানেই কিন্তু খারাপ কিছু নয়। মানুষ এখন প্রয়োজনেই অনলাইনে যুক্ত থাকে।মানুষের জীবনে এখন সবেচেয়ে দরকারি হচ্ছে অনলাইন যুক্ত থাকা। ধন্যবাদ আপু, সুন্দর পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রাউটার কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে করোনার সময় আমরা সবাই গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিলাম। আর সেই সময় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। যাইহোক আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারও ভীষন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু অনলাইনে থাকা আসলেও খারাপ কিছু নয় তবে আগে আমাদের পরিবারের সবাই খেয়াল রাখতে হবে।সত্যি আপু বর্তমান নেটে অনেক সমস্যা করছে। তবে আপনার রাউটারে সমস্যা তাই হয়তো আরো বেশি সমস্যা হয়েছে। যাইহোক আপু এখন সমস্যার সমাধান হয়েছে যেন অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকেও।
এটা ঠিক বলেছেন আপু একবার নেটে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন নেট ছাড়া চলাটা আসলেই অনেক কষ্টকর হয়ে যায় । আর মোবাইলের ডাটা দিয়ে সবকিছু স্বাধীনভাবে করা যায় না রাউটার থাকলে তখন অনেক সুবিধা নেটের কোন চিন্তা করতে হয় না । ঠিকই বলেছেন প্রয়োজনের তাগিদে আমরা বাধ্য হয়ে অনেক কিছুর সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাই । তারপরও সবকিছুর আগে আমাদের পরিবারকে প্রাধান্য দিতে হবে । আর নেট স্লো হয়ে গেলে প্রথমে নেটের কথাই মনে আসে রাউটার যে নষ্ট হতে পারে সেটা মাথাতেই আসে না আমারও এরকম হয় ।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি অবশ্য সব সময় কাজে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেন। আজও তাই করেছেন। তবে ধুকে ধুকে কাজ করার চেয়ে বীরের মত করে কাজ করা কিন্তু বেশ সুখের । আপনি কিন্তু বেশ বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন রাউটার কিনে। আশা করি এখন হতে বেশ ভালো করে কাজ করতে পারবেন।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে নতুন রাউটার কিনেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। মোবাইলে কাজ করতে গেলে যদি একটু সমস্যা হয় তাহলে আমারও অনেক খারাপ লাগে। আমিও আমার শ্বশুরবাড়িতে মোবাইলের নেট দিয়ে একেবারে কাজ করতে পারতাম। তাই আমরা নতুন রাউটার কিনেছিলাম। এখানে তাড়াতাড়ি কারেন্টও চলে যাই তাই আমরা কারেন্ট যাওয়ার পরে যেন রাউটার টি চলে সেজন্য আর একটা ডিভাইস কিনেছি। আপনি বারবার নেট অফিসে ফোন দিতেন তাই উনারা বিরক্ত হয়ে বাড়িতে এসেছে করে দেখে আপনার রাউটার টাই নষ্ট হয়েছে। যাইহোক নতুন কিনে ফেলেছেন তাতেই কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।
মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আসলে নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যা থাকলে অনলাইনে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। প্রয়োজন আমাদেরকে অনেক সময় অনেক কিছুই করতে বাধ্য করে। তবে সব সময় পজিটিভ চিন্তা করতে হবে এবং পজিটিভ কাজ করতে হবে। সেটা অনলাইনেই হোক কিংবা অফলাইনে। তবে কাজ নিয়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকাটা ঠিক নয়। কারণ এতে করে পরিবারের মানুষদেরকে সময় দেওয়া হয়ে উঠে না। অবশ্যই সর্বপ্রথম নিজের পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে আমাদের। যাইহোক নতুন রাউটার কিনেছেন যেহেতু, আশা করি এখন থেকে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন অনলাইনে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।