💕 ভালোবাসার মিষ্টি গল্প 💕 --" সেই তুমি " | | আমার বাংলা ব্লগ [ 10 % @shy-fox ] | ১৮| ০১| ২৩ ইং | |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌷 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভাল আছি।আমি শিমুল আক্তার @shimulakter,আমি বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এ ব্লগিং করি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে।বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আমি আজও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজ ভালোবাসার গল্প সেই তুমি গল্পটি শেয়ার করতে চলে এসেছি।আশাকরি সঙ্গেই আছেন।তবে চলুন শুরু করি।
Canva দিয়ে বানানো
লিমন অনিককে নিয়ে পরের দিন ডাক্তারের কাছে যায়।ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দেয়। সেদিন অনিক ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করে বাসায় চলে এলো। অনিকের সে রাতেও জ্বর হল। পরের দিন রিপোর্ট নিয়ে একাই অনিক ডাক্তারের কাছে যায়।ডাক্তার রিপোর্ট দেখে যা বলে,অনিক তা কিছুতেই মানতে পারছিল না। মাত্র কিছুদিন হয় দুজন দুজনকে ভালবেসে হাত ধরে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে,এরই মাঝে এই কেমন অসুখ হল। অনিক বাসায় না গিয়ে পার্কের বেঞ্চে বসে এটা সেটা অনেক কিছুই ভাবছিল। এর মধ্যে বন্ধু লিমন ফোন দেয়।ফোন রিসিভ করে অনিক লিমনকে সেই পার্কে আসতে বলে।
কিছুক্ষনের মধ্যে লিমন এলো।অনিকের মুখ কালো দেখে জানতে চায়," কি হয়েছে তোর ? এখানে কেন ?" এই কথা শুনে অনিকের চোখ ছলছল করে উঠে।অনিক লিমনকে বলে ," বন্ধু আমার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরেছে।" এই কথা শুনে লিমন ও খুব ভেঙ্গে পরল।কিন্তু অনিক কে বুঝতে দিল না।লিমন বলল ," চিন্তা করিস না,তোকে নিয়ে আমেরিকা যাব।সেখানে মা-বাবা আছেন তোর চিকিৎসা খুব সুন্দরভাবেই হবে,এখন যা বাসায় মন খারাপ করবি না। এরপর অনিক বাসার দিকে চলে এলো।
অনিক এর ভাবনাতে এখন শুধু একটাই কথা,সে আর বাঁচবে না। তাই সে নিশিকে নিজের জীবন থেকে সরাবে কিন্তু কিভাবে এটাই তাকে ভাবাচ্ছে। বাসায় আসার পর নিশি জানতে চায় ডাক্তার দেখিয়েছ কি বলে ডাক্তার ? অনিক বলল ," তেমন কিছু না ।" নিশি হাত - মুখ ধুয়ে এসে অনিক কে খেতে বলে।অনিকের অনেক ক্ষুধা কিন্তু খাবার মুখে দিলে ও গলা দিয়ে নামছে না তার।অনিক এখন শুধু চাইছে নিশি তাকে ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করুক। এজন্য অনিক নিশিকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে।অনিকের এমন আচরন নিশির ভাল লাগছে না।নিশি বলেই ফেলল ," তুমি আমার সাথে এমন করছ কেন ? কি লুকাচ্ছ আমাকে বলো ? " একথা শুনে অনিক নিশিকে বলে ," নিশি আমরা ভুল করেছি নিজেরা বিয়ে করে,তুমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাও।" একথা শুনে নিশি অনেক ভেঙ্গে পরল।নিশি ভেবে নিল অনিক তাকে এখন আর পছন্দ করে না।
অনিক বন্ধু লিমনকে বলল নিশিকে কিছু না জানাতে।সব কাগজপত্র ঠিক করছে গোপনে। কাগজপত্র ঠিক ঠাক হওয়ার পর একদিন কিছু না বলে অনিক বন্ধু লিমনের সাথে সুদূর আমেরিকায় চলে গেলো। অনিক ধরেই নিয়েছিল আর কারো সাথে কখনও তার দেখা হবে না। তাইতো আমেরিকা আসার আগে বোনকে ফোন দিয়ে বলেছিল, " অনন্যা তুই মা কে নিয়ে বাড়ির সামনের বাগানটাতে কিছু সময় বসে থাক।" অনন্যা বুঝতে পেরেছে,ভাই তার মাকে দেখবে বলে এটা করতে বলছে।অনন্যা তাই করেছিল।কিন্তু অনিক আমেরিকা আসার আগে বোনকে ও বলেনি কি এক মরন ব্যাধি তার শরীরে বাসা বেঁধেছে।
অনিক চলে যাওয়ার পর কোথাও নিশি তাকে খুঁজে পেলো না।অনিকের বন্ধু লিমনের ফোনে ও লিমনকে পেলো না। নিশি ভেবেই নিল হয়ত অনিক অন্য কাউকে পছন্দ করে।আর নয়ত তার বাড়িতে মা-বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে বাড়ি চলে গেছে।নিশি অনেক কিছু ভেবে চিন্তে অনন্যাকে ফোন দেয় জানতে অনিক বাসায় আছে কিনা। কিন্তু ফোন দিয়ে আরও বেশি আহত হয় সে।অনিক নিজের বাড়িতেও যায়নি।তবে কোথায় গেলো অনিক ? নিশি নিজের বাড়ি ফিরবে তেমন মুখ তার আর নেই। তাই সে অনন্যাকে আসতে বলে, ফ্ল্যাটের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে নিশি চলে যাবে।
নিশি ভেবে পাচ্ছিল না কোথায় যাবে।নিশি তার বান্ধবি লিমাকে ফোন দিল। নিশিকে লিমা যে মহিলা হোস্টেলে থাকে সেখানেই যেতে বলে। নিশি সেখানে যায় সবকিছু খুলে বলে।লিমা খুব কষ্ট পায়। নিশি জবের চেষ্টা করে যাচ্ছে।লিমা ও তার জন্য চেষ্টা করছে। একটা ভালো স্কুলে নিশির জব ঠিক হয়। নিশি এভাবেই হাজার ও কষ্টকে উপেক্ষা করে জীবন সংগ্রামে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনিক কে ভুলে যেতে হবে। কারন অনিক তার ভালোবাসাকে অবমূল্যায়ন করে চলে গেছে। এসব ভেবে সারাক্ষন মন খারাপ করে থাকে নিশি।
ভেবেছিলাম শেষ করতে পারব,কিন্তু বড় হয়ে যাবে তাই পরবর্তী পর্বের দিকে চোখ রাখুন। আশাকরি আমার ভালোবাসার মিষ্টি গল্প " সেই তুমি " আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে আমি পরবর্তী পর্বটি লেখার উৎসাহ পাব।আজ এ পর্যন্তই আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
🎀আমার লেখা এই ভালোবাসার মিষ্টি গল্পটি "সেই তুমি" পড়ার জন্য সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।🎀
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
অনিকের এই কথাটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। সে চেয়েছিল নিশি যেন তার জীবন এভাবে এখানে না থামিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যায় তাই সে সব সময় নিশিকে এড়িয়ে চলত। কিন্তু নিশি তো তাকে অনেক বেশি ভুল ভাবছে। হয়তো একদিন নিশি অনিককে ভুল বোঝার জন্য আফসোস করবে। যাইহোক অনিক জানো সুস্থ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হবে তারই অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ।
অনিক জানে সে বাঁচবে না। তাই নিশিকে সরাতে এই অবস্থা। ধন্যবাদ আপু।
অনিকের ব্লাড ক্যান্সার শুনে খুবই খারাপ লাগলো। বিশেষ করে অনিক তার বন্ধু লিমনকে বলার পরে লিমন ওকে অনেক ভালোভাবেই সান্ত্বনা দিয়েছে। কিন্তু নিশির কথা ভেবে লিমন নিজের কাছ থেকে নিশিকে দূরে সরিয়ে দিল। অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যেটা কিনা নিজেকে দোষী প্রমাণ করতে হয়। এটাই মূলত নিশির জন্য ভালো ভেবেছে। কিন্তু অনিক যদি সুস্থ হয়ে যেত তাহলে ভালো হতো। পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
শেষ পর্ব খুব শীঘ্রই দিব। ধন্যবাদ আপু।
অনিক আর নিশির সংসার আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। কিন্তু অনিকের অসুস্থতার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। কিন্তু আমি তো নিজের কথা ভেবেই, ওকে চলে যেতে বলল। আসলে এটা কি ঠিক, আমি মনে করি এরকম সময় নিশি পাশে থাকলেই ভাল হতো। তবে অনিক তো কোনোভাবেই বুঝতে রাজি নয়। অনিক আমেরিকায় গিয়েছে এটা ভীষণ ভালো লাগলো। যদি সুস্থ হয়ে ফিরে তাহলে আরো ভালো লাগবে। কিন্তু পরবর্তী পর্বে কি অপেক্ষা করছে। অনিককি সুস্থ হয়ে ফিরবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।শেষ পর্ব খুব শীঘ্রই দিব আশাকরি।
ভালোবাসার মিষ্টি গল্প, সেই তুমি গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। অনিকের ক্যান্সার হয়েছে। আসলে পৃথিবীতে অনেক মানবিক হৃদয়ের মানুষ আছে যারা, অন্যের ভালোর জন্য নিজেকে অন্যের চোখে অপরাধী করে তোলে। নিশিকে নিজের অনিশ্চিত জীবন থেকে দূরে সরে দেওয়ার লক্ষ্যই হলো তার ভালো জন্য। নিশি একসময় তার ভুল বুঝে খুবই আফসোস করবে। ধন্যবাদ এত দুর্দান্ত গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেই তুমি গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। কিন্তু অনিক যে অসুস্থ এই কথা নিশিকে জানালে নিশি অনিকের পাশে থাকতে এবং সান্ত্বনা দিত। যদিও নিশি মনে মনে ভেঙে পড়তো। তারপরেও অনিককে সান্ত্বনা দিতে পারত। নিশি তো অনিককে ভুল বুঝছে। অনিক যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে।
অনিক তো বাঁচবে না তাই নিশিকে তার ভালবাসা থেকে সরাতে চাইছে। তাই এত অবহেলা করছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।