লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 💝 " শ্বশুর আব্বার জন্য পছন্দের ফল কিনতে যাওয়া "
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে স্বাগতম সবাইকে
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইলের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছিঃ
শ্বশুর আব্বার জন্য পছন্দের ফল কিনতে যাওয়াঃ
বন্ধুরা,আজ আবার চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।তবে চলুন শুরু করি আজকের ব্লগটি। আসলে আমার শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন।তবে তিনদিন আগে রুটিন চেক আপের জন্য ঢাকা তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।খাওয়া-দাওয়া তেমন একটা করে না।তাই তার শরীরটা খুবই দুর্বলতায় কাটছে।আর মূলত এই কারনটিকে সামনে রেখেই শ্বশুর আব্বাকে ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খাবার-দাবার খুবই কম খেতে পারছেন তিনি।শরীরে এক ফোটাও শক্তি নেই।তাই আমার ননদ আমাদের মাইক্রোতে করে তাকে ঢাকা নিয়ে এলেন।সব সময় তাকে স্কয়ার হাসপাতালেই দেখানো হয়।তবে এবার ল্যাব এইড হাসপাতালে দেখানো হলো।আশাকরি তিনি এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তার এই দুর্বলতা কাটাতে আমি ছোট মুরগির স্যুপ করে তাকে খাওয়াচ্ছি।ভাত তেমন খায় না।তাই সামান্য কিছু সবজি দিয়ে পাতলা খিচুড়ি করে খাওয়াচ্ছি।আর তাই ভাবলাম কিছু ফল নিয়ে এসে শ্বশুর আব্বাকে খেতে দেবো।আর এই কারনেই ফল কিনতে যাওয়া।শীত আসি আসি করেও আসছে না।তবে শীতের কমলা বের হয়ে গিয়েছে।তাই কিছু কমলা ও মাল্টা নিয়েছিলাম।আসলে আমার শ্বশুর আব্বার ডায়বেটিস আছে।আর তাই তার মুখ শুকিয়ে আসে।এজন্য কমলা অথবা মাল্টা কেটে পাশে রাখলে একটু একটু করে মুখে দিলে কিছুটা আরাম পাবে।তাইতো কমলা ও মাল্টা নিলাম।আর এর সাথে ফটোগ্রাফিটি ও করে নিলাম আপনাদের জন্য।
শুনেছি ডালিম ও বেদানা শরীরের মধ্যে রক্তের পরিমান বৃদ্ধি করে তাই কিছু ডালিম নিয়েছি।আর সাথে কিছু আঙ্গুর নিলাম। আমি আশাকরি আব্বা একটু একটু খেতে পারলেই শরীরে শক্তি ফিরে পাবে।ছেলের এক্সাম শেষ।এখন কিছুদিন ছুটিতে আছি।আশাকরি সেবা যত্নে আব্বাকে আমি সারিয়ে তুলতে পারবো ইনশা আল্লাহ।
আমি যেহেতু বাসার কাছের ফলের দোকানে গিয়েছিলাম।এসব দোকানে সাধারণত অনেক ধরনের ফল খুব কমই পাওয়া যায়। তাই অনেকদিন পর দোকানে আতা ফল দেখতে পেয়ে ভীষন ভালো লাগলো। এই আতা ফল খুবই সুমিষ্ট ফল।আমাদের আসলে দেশীয় ফলগুলো সকলের কম -বেশী খাওয়া উচিত।তাই আমি কিছু আতা ফল ও নিয়েছিলাম।এরপর কলা ও নিয়েছিলাম।তবে এই ফলের দোকানে কলা ছিল না।কলা আমাকে ভ্যান গাড়ি থেকে নিতে হয়েছিল।আমার দুটো হাতই ফল দিয়ে আটকে গিয়েছিল।তাই আর কলার ফটোগ্রাফি আমার করা হয়নি।এরই মধ্যে দিয়ে আমার শ্বশুর আব্বার জন্য ফল কেনা শেষ হলো।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই আমার শ্বশুর আব্বার জন্য দোয়া করবেন।খুব শীঘ্রই যাতে আমি তার শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারি। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | samsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Twitter link
আপনার শ্বশুর আব্বার জন্য ফল কিনেছেন যেটা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে শরীর দুর্বল থাকলে ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডালিম আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। আর আপনি যদি ভালো করে আপনার শ্বশুর আব্বার যত্ম নেন তাহলে আশাকরি ওনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডালিম ও বেদানা ফল রক্তের স্বল্পতা দূর করতে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সত্যিই অনেক কার্যকর। আপনার শ্বশুর আব্বার জন্য সুস্বাদু ফল ক্রয় করার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার শশুরের শারীরিক অবস্থার কথা জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। যেহেতু আপনার ছেলের ও ফাইনাল এক্সাম শেষ এখন উনার যত্ন ও নিতে পারবেন ভালো ভাবে। বেশ কিছু ফল মুল কিনেছেন। ঠিকই বলেছেন ডালিম আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আতাফল সাধারণত সব দোকানগুলোতে দেখা যায় না। ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
দুর্বলতা অনেকটাই কেটেছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার শশুর আব্বা অসুস্থ এবং তার দুর্বলতা কাটছে না তাই আপনি আপনার শশুর আব্বা জন্য ফল কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক দোয়া করি উনি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যান। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শ্বশুড়ের প্রতি আপনার যত্ন করার মানসিকতা জেনে ভীষণ খুশি হলাম আপু। ভালোবাসা নিবেন ❤️
ফলের বাজার তো পুরাই আগুন আপু। দেশি হোক বা বিদেশি, সকল ফলের দামই অনেক বেশি। আপনার শ্বশুড়ের যেহেতু ডায়াবেটিস আছে, কয়েক রকম ফল অল্প অল্প করে দিয়েন আপু। উনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ভালো থাকবেন।
দিদি সামান্য একটু করেই দেই।এখন দুর্বলতা কেটেছে অনেকটা ই। ধন্যবাদ দিদি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার শশুর আব্বার জন্য কয়েক রকমের ফল কিনতে গিয়েছিলেন, যেন ওনার কাছে এগুলো খেলে কিছুটা হলেও ভালো লাগে। আমার শরীর এরকম দুর্বল এটা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। আশা করছি ভালো ভাবে ডাক্তার দেখালে এবং আপনাদের ভালো যত্ন পেলে, তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আতা ফল দেখে তো আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি আতা ফলও কিনেছেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। আপনার শ্বশুরের জন্য দোয়া করি যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার শশুরের শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতার কথা শুনে আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। উনার ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন। এই অবস্থায় কিন্তু ফলমূল খাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আতা ফল দেখার পরে আপনি আতা ফল ও কিনেছেন দেখে ভালো লেগেছে। আমার তো ইচ্ছে করছে এখান থেকে একটা আতা ফল তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। আপনার শ্বশুরের জন্য ফল কেনার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে আপু। ওনার সুস্থতা কামনা করি।
দুর্বলতা অনেকটাই কেটে গেছে।সত্যি ভাইয়া আতা ফল দেখে আমার ও ভীষণ ভালো লেগেছে। তাইতো নিয়ে এসেছিলাম।খুব মিষ্টি ছিল খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার শ্বশুর আব্বা একজন উপযুক্ত বৌমা পেয়েছেন। এখনকার যুগে বউরা তাদের শশুর শাশুড়ির উপযুক্ত খেদমত করতে চায় না। কিন্তু আপনাকে একদমই ভিন্ন রকম মনে হয়েছে আমার কাছে। শশুর শাশুড়ির খেদমত যে করতে পারে সে উপরওয়ালার কাছে অনেক দামি একজন মানুষের পরিণত হয় এবং উপরওয়ালা তাকে শান্তি দান করেন। আপনার শ্বশুর অসুস্থ আপনি তার জন্য বেশ কিছু ফল কিনলেন এবং তাকে সুস্থ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সত্যিই আপনার এই পোস্টটি আমার কাছে অনেক দামি মনে হয়েছে। এভাবেই শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ উপরওয়ালা সব সময় আপনার সাথেই থাকবে দোয়া রইল আপু।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া মন্তব্য টি পড়ে। আব্বা এখন অনেকটা ই সুস্থ। আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালোই আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।