ভ্রমন পোস্ট -- 💖 " বহু বছর পর নৌ ভ্রমণ "
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী।
প্রিয় বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি মনে প্রানে কাজকে ভীষণ ভালোবাসি।সব সময় তাই নানা রকমের কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখি।আমি একজন অ্যাক্টিভ ইউজার।আমি আমার এই কমিউনিটিতে নিজেকে সব সময় অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।মূলত আজ শেয়ার করবো ভ্রমন পোস্ট।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বহু বছর পর নৌ ভ্রমণঃ
বন্ধুরা,আজ নতুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আজ ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করছি।পোস্টের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি আজ নৌ ভ্রমণ নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।কাজ সন্ধ্যায় বহু বছর পর লঞ্চে করে শ্বশুরবাড়ি এসেছি।আমি সাধারণত নিজেদের গাড়িতে করেই যাওয়া আসা করি।আমাদের গাড়ি বাড়িতে ছিল।তাই ভেবেছিলাম বাসে করে বরিশাল যাব।আর সেখানে আমাদের ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে আমাদের নেয়ার জন্য আসবে।বরিশাল থেকে ঝালকাঠি যেতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে।কিন্তু ছেলেকে নিয়ে আর পারলাম না।গাড়িতে উঠলেই বমির ভাব করতে থাকে।তাই আমি ঔষধ খাইয়ে ওকে সব সময় নিয়ে যাই।কাল কিছুতেই ছেলে বাসে আসবে না।তার খুব শখ হয়েছে লঞ্চে যাবে।তাই ওর পাপা বরিশালের লঞ্চে কেবিন করল।বরিশালের লঞ্চ গুলো খুব বড় বড় হয়ে থাকে।
আমরা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় উবার করে বুড়িগঙ্গা লঞ্চ টার্মিনালে চলে গেলাম।লঞ্চটা বেশ বড় আর নতুন।এই লঞ্চে লিফট ও আছে।ডাবল কেবিন নেয়া হয়েছিল।এই লঞ্চ গুলোর মধ্যে বেশ জায়গা।এই লঞ্চগুলো তে টিভি ও থাকে।যাক লঞ্চ ছাড়ে সব সময় রাত ৯ টার পর।কিন্তু হাসবেন্ড বলল তারা ৭ টার মধ্যে থাকতে বলেছে।এতো আগে এলে ও লঞ্চ কিন্তু রাত ৯ টার পরই ছাড়া হলো।কেমন লাগে বলেন তো।যাই হোক ছেলে চানাচুর খাবে তাই এক চাচাকে ডেকে চানাচুর নিলাম।
এরপর চা খেতে হবে।চা ছাড়া আমার দিন -রাত কোনটাই আসলে শুরু হয় না।কিছু খাওয়া হোক কিংবা না খাওয়া হোক চা কিন্তু লাগবেই আমার।তাইতো হাসবেন্ড কেবিন বয়কে চা দিতে বলল।আর আসার সময় কেক,চানাচুর,চিপস নিয়ে এসেছিল।আমি কিছু খেয়ে চা খেয়ে নিলাম।রাতের খাবার আমি নিয়েই এসেছিলাম।আমি বাইরের খাবার খুব কম পছন্দ করি এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন।আর সারা রাতই কিন্তু লঞ্চে থাকতে হয়।ভোরে লঞ্চ গিয়ে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে রাখে।
ভোর হওয়ার পর আমরা রেডি হয়ে গেলাম।কারন আমাদের ড্রাইভার আমাদের নিতে লঞ্চ টার্মিনালে এসেছে।আমি রেডি হয়ে বাইরে গিয়ে ভোরের সৌন্দর্য কিছু সময় দেখলাম।সকালের এই সময়টা আমার ভীষণ ভালো লাগলো। বাসায় থাকলে এই সময়টা ঘুমিয়েই কাটানো হয়।
এরপর আমরা লঞ্চ থেকে নেমে গাড়ির কাছে চলে গেলাম।গাড়িতে জিনিসপত্র তুলে আমরা গাড়িতে বসে পরলাম।ভোর বেলা রাস্তা ছিল ফাঁকা। আমরা ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে ই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।এসেই দেখছি বৃষ্টি হচ্ছে।ছোট বোন ফোন দিয়ে বলল এখন নাকি নিম্ন চাপ শুরু হয়েছে।কি একটা অবস্থা।একটু বাইরে ঘুরবো ফিরবো এর মধ্যে যদি বৃষ্টি হয় তখন কেমন লাগে বলেন তো।যাই হোক দেখি কি হয়।
তবে এটা ঠিক বৃষ্টি হওয়ার কারনে চারিদিকের প্রকৃতি সতেজ লাগছিল।খুব সুন্দর লাগছে চারপাশের পরিবেশ।তবে বৃষ্টির পর কাঁদা কাঁদা একদম সহ্য নয় আমার।আশাকরি সবাইকে নিয়ে চমৎকার কিছু সময় কাটাবো,শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে আমার সুন্দর অনুভূতি গুলো।
আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনী | ভ্রমন |
---|---|
ক্যামেরা | samsung A20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঝালকাঠি |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আসলে আপু অনেক দিন পরে এভাবে কোন জায়গায় গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনারা লঞ্চে বেশ ভালো মজা করেছেন। সত্যি বাচ্চারা কোথাও গেলে এটা ওটা খাওয়ার জন্য অস্হির থাকে। তবে আমার মনে হয় বাচ্চারা শুধু কিনেই অর্ধেক খায় আর অধেক ফেলিয়ে দেয়। যাইহোক সবার সাথে নিশ্চয় ভালো একটা সময় কাটাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নৌ মানে তো নৌকা,আমি তো ভেবেছিলাম আপনি নৌকা ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন।কিন্তু পোষ্টের ভিতরে ঢুকে বুঝলাম না,আপনি তো লঞ্চ ভ্রমন করেছেন।আসলে ভ্রমনের সময় চিপস,ঝালমুড়ি খেতে খুবই মজা লাগে।আপনি দারুণ একটা সময় পার করেছেন লঞ্চে ভ্রমন করে আশা করি, ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ দিদি।
যাক ছেলের বায়নার কারনে বহু বছর পর নৌ ভ্রমণ করলেন। আসলে নৌ ভ্রমণ সত্যিই আনন্দদায়ক। আমার কাছেও নৌ ভ্রমণ ভালো লাগে। তবে এখনো বরিশাল যায়নি। কয়েক মাসের মধ্যেই যাওয়ার প্লান প্রাগ্রাম আছে। যাক সুন্দর জার্নি হয়েছে। ধন্যবাদ।