বিষয় -- কিছুটা অবসর (ঝাউবন বীচ ) | | @shimulakter | | ১৬। ০৯ । ২০২২ ইং | |
আসসালামু আলাইকুম, আদাব |
---|
ঝাউবন বীচ
কক্সবাজার হোটেল থেকে বীচ দেখা
আমরা “ঝাউবন বীচ “৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম । হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছিল । খুব বেশি ভাল লাগছিল । সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম । মাথায় ক্যাপ ছিল বাচ্চাদের । এরপর আমরা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুরতে লাগলাম । কেউ ছবি তুলছে ,কেউ বা গল্প করছে ,বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছিল খোলা জায়গা পেয়ে । সত্যি বলতে ঢাকা বন্দী থেকে থেকে যখন বাচ্চারা খোলা মেলা জায়গা পায় ,তখন তাদের আনন্দ আর কে দেখে ।খুব এনজয় করছিলো সবাই ।
বুঝলাম না , এই মেঘলা ওয়েদার দেখেই মনে হয় আমার চা এর খুব তেষ্টা পেল । কোথায় পাব চা ? সবাই ত খুব মজা করেই চলেছে । আর এদিকে আমার চা এর তেষ্টা ও বেড়েই চলেছে । সব জায়গার চা আমি আবার খেতে পারি না । আমার খাবার দাবারে অনেক বাছ বিচার আছে । কি করি , কি করি করে চুইংগাম একটি মুখে দিয়ে চায়ের কথা কিছু সময়ের জন্য ভুলে যেতে চাইলাম । এবার অনেক অনেক ছবি তুললাম সবাই মিলে । সামান্য কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে ।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেল ,আমরা কেউ টেরই পেলাম না । এরপর আমরা ঘোরাঘুরি শেষ করে ,আবার হোটেলের দিকে রওনা হলাম । কারন বুঝতে পারছিলাম ,আমাদের কিছু খেতে হবে । সবাই ক্ষুধা অনুভব করছিল তখন । আমরা রওনা দিলাম সবাই ।
বন্ধুরা , আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি । সবুজ আমায় সব সময় হাতছানি দিয়ে ডাকে । সবুজ অরন্যে হারিয়ে যেতে পারলে ,আমি হয়ত হারিয়েই যেতাম । আমার ভালো লাগা কিছু অনুভুতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে ।
আমার আজকের ব্লগের সব ফটোগ্রাফির তথ্য আমি নীচে তুলে ধরছি ----
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung s20 plus ultra , iphone6 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঝাউবন, কক্সবাজার |
আমার আজকের এই " ঝাউবন বীচ " ব্লগটি কেমন লাগলো ,অবশ্যই জানাবেন ।আজ এ পর্যন্তই । সবাই সুস্থ থাকবেন , ভাল থাকবেন । আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়ঃ
আমি শিমুল আক্তার ।আমার ইউজার আইডি @shimulakter.আমি ঢাকায় বসবাস করি ।আমি একজন বাঙালী হিসেবে অনেক বেশি গর্ববোধ করি ।আমি বই পড়তে , গান শুনতে অনেক ভালবাসি ।ভ্রমন করতে খুব পছন্দ করি । এছাড়া মজার মজার রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি । আমার যে কোন কিছু শেখার খুব আগ্রহ ।নতুন করে আমি কবিতা লিখছি ।আপনাদের অনুপ্রেরনায় আমি কবিতা লেখা চালিয়ে যেতে চাই । আপনাদের ভালবাসায় এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর । কিছু শিখতে পারলে ,অনেক বেশি আনন্দিত হই ।ভালোবাসি মানুষকে । আর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাই প্রতিনিয়ত ।
এই সিরিজের আগে দুটো পর্ব মনে হয় স্কিপ করে গেছি। আপনার মত আমিও পরিবারের সাথে সময় কাটাতে খুব পছন্দ করি। তবে একটা কথা বেশ ভালো লাগলো, চুইংগাম চাবালে নাকি চা এর নেশা কিছু সময় বন্ধ রাখা যায়। হা হা হা... তবে সব মিলিয়ে খুব ভালো একটা ট্যুর হয়েছে আপনার এটা বোঝাই যাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। চা ছাড়া দিন আসলে ভাবাই যায় না। হিহিহি চুইংগাম খেয়ে কি আর চা এর নেশা কাটে? অপচেষ্টা করছিলাম আর কি। তবে সব মিলিয়ে খুব ভাল সময় কেটেছে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কোনো পোস্ট না পড়ে আমি কমেন্ট করিনা তো। হা হা হা... আপনার জন্যও শুভকামনা রইল আপু।
আপনার এই কথাটির সঙ্গে আমিও একমত। আসলে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটালে সেই মুহূর্তটি ধরে রাখতে ইচ্ছা করে। ঢাকার কোলাহলমুক্ত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে খোলামেলা পরিবেশে গেলে আসলেই ভালো লাগে। বাচ্চারা খুব ইনজয় করে। আপনি দেখছি আমার মত চা পছন্দ করেন। চা ছাড়া আমারও চলেই না। চুইংগাম চাবিয়ে চায়ের দুঃখ কি ভুলতে পেরেছিলেন। যাইহোক পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু। সত্যি চা ছাড়া একটা দিনও ভাবা যায় না । 😅 মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। সত্যি পরিবার খুশি থাকলে, সবকিছুই ভাল লাগে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু।
সত্যি আপু আপনার কিছু টা অবসর সময় অনেক ভালো কেটেছে। সত্যি আপু বাচ্চারা সব সময়ে ঘরের ভিতরে বন্ধী থাকতে থাকতে বাইরে বের হলে মনে হয় ওদের আনন্দ দেখে কে। চা খাওয়ার তৃষ্ণা দারুণ ছিল। আপনার ঝাউবন বীচে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। সত্যিই ছেলেমেয়েরা ঘরে বন্দি থেকে বিরক্ত হয়ে উঠে, সাথে আমরা বড়রাও। তাই সময় ভালোই কেটেছে বলতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।
জায়গা টি অসাধারন সুন্দর। সেই সাথে আপনার বর্ণনাও।তবে আপনি যে খাটি চা প্রেমী তা আপনার কয়েকটা পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।পরিবার সাথে থাকলে কেউ মরতে ভয় পায়না আপু।ধন্যবাদ আমাদের নতুন নতুন জায়গা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যিই পরিবার পাশে থাকলে কোনকিছুতে ভয় লাগে না। সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কেটেছে। আর চা ছাড়া দিন ভাবাই যায় না। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ভাইয়া।
খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। আসলে মাঝেমধ্যে আমাদের যে কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাওয়া উচিত মন ভালো রাখতে। বাইরে ভ্রমণে গেলে মন প্রফুল্ল থাকে। একঘেয়েমিতা দূর হয়,অচেনা স্থান সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায়।
ঠিক বলেছেন একদম। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কোলাহলের মধ্যেও কোথাও যে শান্ত প্রকৃতি থাকএ আপনার এই পোস্ট আর তার সাথে ছবিগুলো তার বড় প্রমাণ। এমন প্রকৃতিতে বসে মনে হয় আমি আর প্রকৃতি একে অপরের সুখ, দুঃখের কথা ভাগ করে নি।
প্রকৃতি মানেই ত শান্তি। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলেও সুখ। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
কিছুটা অবসর এর ৩য় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো, চুইংগাম মুখে দিয়ে চায়ের কথা ভুলে থাকাটা বেশ মজার ছিল আপু এখন থেকে আমিও এই পদ্ধতি টি প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।হা হা হা। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ঢাকার যান্ত্রিক জীবন থেকে যখন বাচ্চারা খোলামেলা পরিবেশ যখন পায় তখন ওরা খুবই আনন্দ উপভোগ করে। ঝাউবন বিচ এ ঘুরেবেড়ানোর দৃশ্য দেখে অনেক ভালো লাগলো।পরিবারের সাথে থাকতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনি সারাজীবন এভাবেই পরিবারের সাথে সুস্থ সুন্দর ভাবে থাকুন এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে।শুভকামনা নিরন্তর আপু।