লাইফ স্টাইল --💝 হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে আজ ১০ বছর পূর্ণ হলো || আমার বাংলা ব্লগ
হ্যালো,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে,নিজের মধ্যে অনেক ভাল লাগা আমি অনুভব করি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।সাথেই থাকুন আশাকরি ভালো লাগবে।
হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে আজ ১০ বছর পূর্ণ হলোঃ
আমার আজকের পোস্টের টাইটেল দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমি কার কথা লিখতে চলেছি।হ্যাঁ,ঠিক ধরেছেন, আজ আমি আমার ছেলের ১০ বছর পূর্ন হওয়ার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।ছোট বাচ্চাটি ধীরে ধীরে মায়ের চোখের সামনে দিয়ে বড় হতে থাকে। তার বেড়ে ওঠা মা যতটা বুঝতে পারে বা অনুভব করে অন্য কেউ ততটা বুঝতে পারেনা।তার খাওয়া,ঘুম,এরপর পড়াশোনা,স্কুল সবকিছুই যেনো মায়েরই কাছে।তার আবদার তার খেলার সাথী সবটাই কিন্তু প্রথম এই মাকে ঘিরেই।আর তাই এই সন্তানটি তার মায়ের কাছেই বেশী শান্তি বা নিরাপদ অনুভব করে।
আমার ছেলেটি আজ ১০ বছরে পা দিল।ওর নাম রেদোয়ান মেজবাহ রামিন। নামটি আমারই দেয়া।ওর জন্মদিন ছিল ৬ ই মে।করোনা ভাইরাস আসার আগের বছরগুলোতে খুব আয়োজন করে জন্মদিন করা হতো।এখন আর তেমন কিছু না করলেও কেক তো আনতেই হয়।আর ওর পছন্দের খাবারগুলো নিজেই রান্না করি। এতেই ও খুব খুশী।তবে পরের দিন স্কুলের সব ক্লাসমেট ও ফ্রেন্ডদের জন্য মিমি নিয়ে যাওয়া তার একটা প্রধান কাজ।
রামিন ওর বাবার সাথে গিয়ে কেক,নান,চিকেন নিয়ে এসেছিল।ওর কাছে সব খাবারের চাইতে কেকটাই খুব প্রিয়।সেদিন ওর নানা-নানু,খালামনি,মামা-মামীরা এসেছিল।ওর ফুপু, চাচারা সব বাইরে থাকে তাই কেউ আসতে পারেনি।সবাইকে নিয়ে ও সেদিন কেক কেটেছিল।খুব বেশী আনন্দ করেছিল।সবাই কেক খেয়ে হালকা খাবার খেয়েছিল।
এরপর সবাই মিলে অনেক গল্প হলো। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে সবাই বাসায় চলে গেলো।রামিন খুব খুশী। ও পরের দিন ওর বন্ধুদের জন্য মিমি নিয়ে যায় স্কুলে। আমিই ওকে কিনে দিয়েছি।স্কুলে গিয়ে সবাইকে দিয়ে তবেই শান্তি হয়েছে।দেখতে দেখতে ছেলেটি ৯ বছর পেরিয়ে আজ ১০ বছরে পা দিল।রামিন ক্লাস থ্রীতে পড়ে।লেখাপড়ার চাইতে ও, ফুটবল খেলার প্রতি ওর অনেক ঝোঁক।ওদিকে খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করবে না।তাইতো শরীর এতোটা হ্যাংলা-পাতলা।যাই হোক সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। লেখাপড়া যা করে করবে কিন্তু মানুষের মতো মানুষ হোক। আজকাল মানুষের বড্ড বেশী অভাব।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার এই ব্লগটি লেখা সার্থক হবে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আপু আপনার ছেলের জন্মদিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনার ছেলেকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে। জন্মদিনের সুস্বাদু খাবারের আইটেম করেছেন। আপনার ছেলে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
Twitter link
প্রথমেই ভাগীনা কে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। তার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। আপনার এই দশ বছরের পথ চলার সংক্ষিপ্ত গল্প অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাগীনার জন্মদিনের সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ছেলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। আগামী দিনগুলো যেন ওর ভালো কাটে সেই দোয়াই করি। আপনার ছেলে দেখতে তো মাশআল্লাহ সুন্দর। আপনি ওর পছন্দের সব খাবার রান্না করেছেন ।এতে নিশ্চয় আপনার ছেলে অনেক খুশি হয়েছে। সবাই মিলে অনেক মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছেন তাই না।
হ্যাঁ ভাইয়া,কেক পেলেই ও খুব খুশী হয়ে যায়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনার ছেলের জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল। আপনার ছেলের দশ বছরের জন্মদিন পূর্ণ হওয়ার গল্প পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনার ছেলেকেও দেখতে খুব কিউট লাগছে। আপনার ছেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছে। দোয়া করি ও যাতে সর্বদাই সুস্থ থাকে ও আনন্দে মেতে থাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
রামিনে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন। রামিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছি। জন্মদিনে খুব চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কেক দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। জন্মদিনের এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
প্রথমেই রামিম কে জানাই জন্মদিনের প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা। মাশাল্লাহ ছেলে তো দেখতে অনেক কিউট। বেশ সুন্দর করে আপনি রামিম এর দশ বছর পথা চলার দিন গুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। দোয়া রইল রামিম এর প্রতি সে যেন অনেক বড় হয় এবং মানুষের মত মানুষ হয়।
আপু নামটা রামিন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথমে জানাই বাবুর জন্য জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এমন জন্মদিন বারবার ফিরে আসুক সেই দোয়ায় করি। বাবু তো দেখছি স্কুলে মিমি নিয়ে যায়, আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিল হত হা হা হা।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।