বিষয় -- আমার ছেলেবেলা " পুতুল খেলার অনুভূতি " | | @shimulakter | | ১৭।১০।২২ ইং | |
হ্যালো বন্ধুরা,
“আমার বাংলা ব্লগ” এর সকল ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের শুভকামনায় ও ভালবাসায় বেশ ভালোই আছি।আমি @shimulakter বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। “আমার বাংলা ব্লগ “ এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী যত সদস্য আছে সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বন্ধুরা,আমি আজ কোন রেসিপি বা কবিতা নিয়ে আসিনি।আমার আজকের ব্লগটি আমার ছেলেবেলার “ পুতুল খেলার অনুভূতি “ নিয়ে আপনাদেরকে আমার অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি।আশাকরি আমার ছেলেবেলার অনুভূতির গল্পটি শুনতে আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন তবে শুরু করি----
Canva দিয়ে তৈরি
"পুতুল খেলার অনুভূতি “ |
---|
বন্ধুরা,আমি ছেলেবেলা খুব পুতুল খেলতে পছন্দ করতাম।আমার একটা স্কুল ব্যাগ ছিল অর্থাৎ স্যুটকেস, সেই স্যুটকেসটা পুরনো হয়ে গেলে ,সেই ব্যাগটাকেই আমি পুতুলের ঘর বানিয়েছিলাম।সেখানে পুতুলের খাট, আলমিরা,টিভি,ফ্রিজ বিভিন্ন জিনিস যোগাড় করে করে আমি বানাতাম।আমি মেয়ে পুতুল বানাতাম।কারন মেয়ে পুতুল সাজানো যায়।তাই আমার মেয়ে পুতুল ভাল লাগতো।আমি পুতুলের জন্য ঘর থেকে টুকরো কাপড় খুঁজে খুঁজে নিয়ে ,তা দিয়ে পুতুলের জন্য জামা বানাতাম।ছোট ছিলাম তাই পারতাম না ঠিকমত,আম্মু আমাকে বানাতে তখন সাহায্য করত।আমি পুতুলের জন্য জামা,সুতা দিয়ে পুতুলের চুল বানাতাম।আমি পুতুলকে সুন্দর করে সাজাতাম ও।আমার অনেক ভাল লাগতো।
আমার বয়সী আমার এক কাজিন ছিল। সেই কাজিনকে বলেছিলাম তুমি ছেলে পুতুল বানাও।তোমার ছেলের সাথে আমি আমার মেয়ে পুতুলের বিয়ে দেব।আমার কাজিন ছেলে পুতুল বানায়।আমরা দুজন ঠিক করলাম,ওর ছেলের সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দেব।আমরা একটি দিন ঠিক করলাম,আম্মু সেদিন মজার মজার খাবার রান্না করল।আমাদের প্রতিবেশী কিছু মেয়ে ছিল,যারা আমার খেলার সাথী ছিল ওদেরকেও দাওয়াত দিলাম।সবাই আমার মেয়ের জন্য ছোট ছোট কাপড় উপহার দিল।আমার খুবই ভাল লাগছিল।আমি চিন্তা করছিলাম,এই সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়ে আমি আমার মেয়ের জন্য সুন্দর ডিজাইন করে জামা বানাব।আবার কেউ বা পুথি দিয়ে মালা বানিয়ে এনেছিল।সব মিলিয়ে আমার খুব ভাল লাগছিল।
এরপর সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ হল।সবাই চলে যাবে তখন আমার কাজিন বলল,আমরা চলে যাব,তোমার মেয়েকে দাও।এ কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরল।আমি বললাম,কেন আমার মেয়েকে দেব ? কাজিন বলল,আমার ছেলে বিয়ে করেছে আমি ই তো নিয়ে যাব। আমিতো কিছুতেই দেব না।এটা কেমন কথা ?তোমার ছেলে এখানে থাকবে।আমি তখন জানতাম না,বিয়ে করে মেয়েকে নিয়ে যায়।আম্মু তখন এসে বলে,বিয়ে হলে ছেলেরা মেয়েদের তাদের বাসায় নিয়ে যায়।আমিতো কিছুতেই মানতে রাজী না।আম্মু তখন বলল,আমিতো আমার বাসা ছেড়ে তোমার আব্বুর সাথে এসেছি।এটাই তো নিয়ম।তখন প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল আমার।এত যত্ন করে মেয়েকে সাজানো, মেয়ের চুল বানানো,মেয়ের জামা বানানো।আর আজ সেই মেয়েকে নিয়ে যাবে ওদের বাসায়,এটা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার।তখন ভাবলাম,কেন আমি মেয়ে বানালাম ?আর আজ কেন ই বা ওকে ছেড়ে আমায় থাকতে হবে ? আমার এ অবস্থা দেখে আম্মু ঠিক করে দিল,তুমি ১৫ দিন রাখবে,আর আমার কাজিনকে বলল,তুমি বাকি ১৫ দিন রাখবে।তবে আর কারো কোন কষ্ট বা মন খারাপ হবে না।এরপর ওরা আমার মেয়েকে নিয়ে চলে গেল।আমি মন খারাপ করে বসে রইলাম।সেদিন আমার লেখাপড়া,খাওয়া কিছুই আর হল না।মন খারাপ নিয়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।
আমার “ পুতুল খেলার অনুভূতি “ আপনাদের কেমন লাগলো ? অবশ্যই জানাবেন।তবে অনুভূতিটা আমার অনেক কষ্টের ছিল।আজ এ পর্যন্তই।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
প্রত্যেকটা মেয়েরই ছোটবেলায় পুতুল খেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আপনার স্মৃতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো।।
আমার বড় দুই আপু যখন পুতুল বানিয়ে খেলতো আমি গিয়ে ওদের অনেক জ্বালাতন করতাম মনে আছে আমার।।
ওরা আমাকে ওদের সাথে খেলতে মৃত না এজন্য আমি মাঝে মাঝে ওদের পুতুলগুলো চুরি করে ফেলে দিতাম 🤭🤭🤭
আর পুতুল খেললে তো পুতুলের বিয়ে দিতেই হবে এটাতো কোমন একটা জিনিস তবে যাই হোক পরবর্তীতে আবার পুতুল বানিয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় আমাদেরকে দাওয়াত দিয়েন।।😁😁😁
এখন কি আর পুতুল বানানোর সময় আছে? নিজেই এখন নতুন জীবনে ঢুকে পরেছি। আমার ঘরে আপনার দাওয়াত ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পুতুল খেলার কথা শুনে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। এমন কোন মেয়ে পাওয়া যাবে না যে ছোটবেলায় পুতুল খেলে নি। আমি আমার বোনের সঙ্গে ছোটবেলায় খুব পুতুল খেলতাম। যাই হোক আপনার মেয়ে পুতুল বিয়ে দেয়ার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো । মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন আবার দেওয়ার সময় মেয়ে দিবেন না এটা কেমন কথা। আপনার মেয়ে পুতুল দিতে এত কষ্ট হচ্ছিলো জানিনা মেয়ের বাবা মায়েরা কিভাবে তাদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠায়। খুবই কষ্টকর একটি বাস্তবতা সকলকেই মেনে নিতেই হয়।
ঠিক আপু, এখন বুঝি আসলে মেয়ে হলে মেয়েকে দিয়ে দিতে হয়। তখন বুঝতাম না। 😥অনেক কষ্ট দিতে 😰অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে। 😊
আসলে ছোট বেলাটা সত্যিই রঙ্গীন ছিলো ৷ কত খেলনাই না খেলেছি ছোট বেলায় ৷ এই পুতুল খেলা আমিও খেলেছি ছোট বেলায় আপুদের সাথে ৷ ছোট কাপড় কেটে পুতুল তৈরি করা আর তা দিয়ে খেলা করা সময়টা এখন কেবল স্মৃতি হয়ে আছে ৷ বেশ মধুর সময় কেটেছে ছোট বেলায় ৷ ছোট বেলার এমন একটি মজার খেলা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ৷ কিছুক্ষণের জন্য হলেও ছোট বেলায় ডুবে গেছি আপনার পোস্ট পড়ে ৷
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া আপনার মন্তব্য দেখে। আপনি আমার ব্লগটি পড়ে ছেলেবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। 🥰 ছেলেবেলার স্মৃতি সত্যিই খুব মধুর। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
হাহাহাহাহা হিহি হিহি!!!
প্রথমে আমার হাসি পাচ্ছে কেন জানেন ? মানে আপনার আজকের টপিকটা ছিল সত্যি একটি হাস্যকর এবং কি স্মৃতিময় কথা৷
আসলে সেই শৈশব জীবনের রঙিন দিনগুলো যদি এখনো মনে পড়ে বা চোখে সামনে যখন সে ছোটরা খেলা করে৷ তখন সব স্মৃতিরা সত্যিই অনেক মনে পড়ে সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো ৷ আসলেই যখন ছোট্টবেলায় ছিলাম হাড়ি পাতিল কিংবা কলসি নিয়ে ঘর বানিয়ে ৷ অথবা পুতুল বানিয়ে বিয়ে খাওয়া দাওয়া সবকিছুই যেন মনে পড়ছে ৷ আপনার এই সুন্দর ব্লগটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো৲
আপনার কাজিনের ছেলের সাথে আপনার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন বিষয়টি খুবই ভালো লাগলো৷
বর্তমান সেই কাজিনের ছেলে আছে তো ৷ যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার মেয়ে থাকলে বিয়ে দিয়ে দিয়েন৷ তাহলে সেই ছোট্টবেলার স্মৃতিটা এখন বাস্তবে রূপ নেবে৷
হিহিহিহিহ!!!!!
যাক, আপনাকে ত হাসাতে পেরেছি। 😃ব্লগটি পড়েছেন আবার মন্তব্য ও করেছেন দেখে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ছোটবেলার পুতুল খেলার অনুভূতির পড়ে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আসলে আমিও ছোটবেলায় খুব পুতুল খেলতাম আর আমিও মেয়ে পুতুল বানাতাম বেশি। ছোট ছোট কাপড়ের টুকরো দিয়ে মেয়ে পুতুলগুলোকে খুব সুন্দর করে শাড়ি পরাতাম। আপনার ছোটবেলার পুতুল খেলার অনুভূতিটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমিও ঠিক আপনার মত আপু পুতুলকে শাড়িও পরাতাম।অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছেলেবেলার অনুভূতিগুলো খুব মজার হয়। কত কিছু খেলতাম বলে শেষ করা যাবে না। আপনার পুতুল খেলার অনুভূতি লেখা পড়ে সেই ছেলেবেলার কথা মনে পরে গিয়েছে। আপনার মেয়ের (পুতুল) জন্য খারাপ লাগলো। প্রথমে আপনি নিশ্চয়ই বোঝতে পারেননি যে আপনার কাজিন রীতি অনুযায়ী তার ছেলেকে বিয়ে করিয়ে আপনার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইবে। যেহেতু ছোট ছিলেন আপনার পছন্দের মেয়ে নিয়ে যেতে চাইলে মন খারাপ হওয়ারই কথা। তবে আপনার আম্মু খুব বুদ্ধিমতী ছিলেন এবং খুব সুন্দর ডিসিশন দিয়েছেন যে আপনি ১৫ দিন রাখবেন আর আপনার কাজিন ১৫ দিন রাখবে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
পুতুল খেলার কথা শুনলেই মনের মাঝে কেমন একটা আবেগ অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে। এই পুতুল খেলা আমিও ছোটবেলায় আমাদের এলাকার মানুষের সাথে খেলেছি। আমরা ছোটবেলায় পাটকাটি দিয়ে পুতুল বানাতাম এবং কোন দর্জির বাড়িতে গিয়ে সিট পড়ে থাকতো ওইসব নিয়ে এসে আমরা পুতুলের গায়ে পরিয়ে দিতাম। আর কখনো ছোটবেলার পুতুল খেলার সেই সব দিনগুলো ফিরে আসবে না। সত্যি আপনার গল্পটি অনেক ভাল ছিল আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ছেলেবেলার স্মৃতি সত্যিই খুব মধুর। আমার ব্লগটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার অনেক ভাল লাগলো।
আপনার ছোটবেলার পুতুল খেলার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। গল্পটি পড়ে সত্যিই খুবই হেসেছি মনে মনে অনেক মজা পেয়েছি আপনার গল্পটি পড়ে। আমি মনে করি ছোটবেলায় এমন কোন মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে সে পুতুল খেলেনি। আপনার পুতুল খেলার মুহূর্তে আপনার কাজিনের ছেলে পুতুলের সঙ্গে আপনার মেয়ে পুতুলের বিয়ে দেওয়ার পরে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা পড়ে অনেকটাই হেসেছি। যাইহোক আপনার ছোটবেলার পুতুল খেলার মুহূর্তটি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনিও ভাইয়া হেসেছেন?? যাই হোক আজ দুজনকে হাসাতে পেরেছি। এটাও একটা ভালো কাজ। অনেক ভাল লাগলো শুনে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
আপু, আমি তো কখনো পুতুল খেলিনি তবে অনেকের পুতুল খেলা দেখেছি। সেই ছোটবেলায় আমার চাচাতো ও মামাতো বোনেরা পুতুল দিয়ে বিয়ে বিয়ে খেলা অনেক খেলেছে। আর সেই খেলায় দাওয়াতের সঙ্গীও হয়েছি। তবে কখনো পুতুল খেলা হয়নি। পুতুলের বিয়ের খাওয়া খেয়েই ভোঁদৌড় দিতাম।। তবে কিছুদিন আগে আমার মেয়েকেও দেখেছি এই পুতুল নিয়ে বিভিন্ন রকম খেলা খেলতে। বেশ আনন্দ নিয়ে তার বান্ধবীদের সাথে পুতুল পুতুল খেলা খেলছে। যাই হোক আপু, ছেলেবেলায় আপনার পুতুল নিয়ে খেলার অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।