নাটক রিভিউ -- 💕 পান্তা ভাতে ঘি | | আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু-আলাইকুম
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ" এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ দ্বিতীয়বারের মত আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাম | পান্তা ভাতে ঘি |
---|---|
পরিচালনা | বি.ইউ. শুভ |
রচনা | রাজীব আহমেদ |
দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,সাবিলা নুর, পীরজদা হারুন ,আনন্দ খালেদ ,সাবেরী আলম |
মুক্তির তারিখ | ২৭ শে জুলাই ২০২১ ইং |
ধরন | নাটক |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের নাম "পান্তা ভাতে ঘি" এই নাম শুনেই বুঝতে পারছেন নাটকটি হাসির আর মজার। নাটকে সাবিলা নুর এঞ্জেলা আর অপূর্ব বিটু দুজনের ছোট সংসার নিয়েই কাহিনীটি তৈরি হয়েছে।নাটকের মূল বিষয় হচ্ছে এটাই বিটু ভালোর জন্য যা কিছুই করে তাই তার জন্য ঝামেলা হয়ে যায়।তবে চলুন কাহিনীটা কিছু সংক্ষেপে লিখি যাতে আপনারা কিছুটা আঁচ করতে পারেন।প্রথম দৃশ্যে দেখা যাবে বিটু অফিস থেকে এসে ঘর খুব সুন্দর করে সাজানো দেখবে।সে ভাববে হয়ত তাদের দুজনের বিশেষ কোন দিন।কিন্তু সে কিছুই মনে করতে পারবে না।এদিকে এঞ্জেলা এলে ফুলদানি থেকে ফুল নিয়ে তাকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা দিতে গেলে এঞ্জেলা তেলে বেগুনে জলে উঠবে।আর বিটুকে বলবে,কাল রাতে তোমাকে বললাম মা-বাবা আসবে।তুমি ভুলে গিয়ে আমাকে উইশ করো বিবাহ বার্ষিকীর। এইভাবেই শুরু হয় নাটকটি।এরমধ্যে এঞ্জেলার মা-বাবা এসে যায়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর এঞ্জেলা তার মা-বাবাকে খেতে বসাবে।খাবার খেতে খেতে এঞ্জেলার মা মেয়ের রান্নার অনেক প্রশংসা করতে থাকবে।তার মেয়ে এতো মজার মজার রান্না করতে জানে তা খেয়ে খুব খুশি হবে এঞ্জেলার মা।এরপর বিটু এসে বসবে তাদের প্লেটে খাবার তুলে দিতে গিয়ে বলবে,মা খাবার আপনার মেয়ে টপ লেভেল অনলাইন শপ থেকে এনেছে,এই শুনে মা-বাবা অবাক হয়ে যাবে।আর এদিকে এঞ্জেলা বিটুকে ছুরি দেখাবে।এরপর তারা চলে গেলে এঞ্জেলা রেগে গিয়ে দরজা আটকে বসে থাকে।বিটু তখন এঞ্জেলাকে বলে,তুমি তো খাবার সব সময় দোকান থেকেই আনাও।কি ভুল বললাম।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকটিতে বার বার দেখা যাবে বিটু ভালোর জন্য যা কিছুই করে সবকিছুই উল্টো তার কাছে খারাপ হয়ে ধরা দেয়।এঞ্জেলার রাগ ভাঙাতে বিটু বলবে চলো আমরা দুটা দিন কক্সবাজার ঘুরে আসি।এতে এঞ্জেলা খুশি হয়ে বিটুর ফোনটা নেয় হোটেল কোনটা করবে দেখতে অমনি দেখে মোবাইলে বিটু নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে রেখেছে।ব্যস,এতেই হয়ে গেলো সব শেষ।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর বিটুর বন্ধু বিটুকে বুদ্ধি দেয়,সেই বুদ্ধি শুনেও বিটু আবার ঝামেলায় পরে।এভাবে সময় কেটে যাচ্ছিল।একদিন বিটু বলল এঞ্জেলাকে বিটুর মা -বাবা আসবে। কিন্তু এঞ্জেলা ভেবেছে এঞ্জেলার মা-বাবা আসবে।তাই তদের দেখে অপ্রস্তুত হয়ে গেছে দেখে বিটু এঞ্জেলাকে খুব ঝাড়লো।তা শুনে বিটুর মা বিটুর উপর খুব রাগ করলো।এরপর বিটুর মা বিটু আর বিটুর বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেল।বাসায় এলে এঞ্জেলা জানতে চাইলো ডাক্তার কি বলল ?তখন বিটুর মা বলল হার্ডে রিং বসাতে হবে।কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে? তাকে খুব চিন্তিতো দেখাচ্ছিল।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
যাক শেষে দেখা যায় বিটুর বাবার সবকিছু ঠিক ঠাক হয়ে যায়।বিটু এসে মায়ের কাছে জানতে চায় কিভাবে টাকা ম্যানেজ হল ? তখন বিটুর মা বলে এঞ্জেলার সব গয়না বিক্রি করে আমার হাতে তুলে দিয়েছে টাকা। আসলে শেষে এঞ্জেলার এমন ত্যাগ খুব ভাল লেগেছে।এরপর শেষে বিটুর মা বিটুকে ধমক দিয়ে বুঝায়,বিটুর অনেক ভুল আছে।বিটু নিজেকে যাতে ঠিক করে।যাক দুজনের শেষে আবার মিল হয়ে গেলো।
আমার মতামত
নাটকটি খুব মজার লেগেছে আমার কাছে।ভালোবাসার খুনসুটিতে ভরপুর ছিল।পুরো নাটকে দুজনের খুনসুটি বেশ ভালোই লেগেছে।বিটুর মায়ের অভিনয় আমার খুব ভাল লেগেছে।আজকাল ঘরে ঘরে এমন মায়ের মুখটি আমরা আসলে দেখতে পাই।এঞ্জেলা যেমন ই ছিল কিন্তু বিপদে নিজের গয়না বিক্রি করতে ও কিন্তু সে পিছপা হয়নি।ভালোবাসা আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।সত্যি কথা বলতে ভালোবাসায় খুনসুটি না থাকলে আসলে ভালো লাগে না।নাটকটি বেশ মজারই ছিল।আমার ভালো লেগেছে নাটকটি।আশাকরি আপনাদের কাছেও নাটকটি খুব ভালো লাগবে।আমি চেষ্টা করেছি নাটকটি সুন্দরভাবে তুলে ধরার।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি ৷ আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে ৷ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে ৷ আজ এখানেই বিদায় ৷ সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুবই চমৎকার একটি নাটক রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই নাটক আমি বেশ কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম। আসলে বর্তমান সময়ে এরকম মেয়ে অনেক আছে যারা কিনা নিজের পরিবারের জন্য নিজের গহনাগাটি বিক্রি করে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। আমি মনে করি প্রতিটা ঘরে ঘরে এরকম মেয়ে থাকা উচিত যারা কিনা পরিবারের বিপদে-আপদে পাশে এসে দাঁড়াবে। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই নাটক রিভিউ পড়ে । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।