" জন্মদিনে কিছু মুহূর্ত " | | ২৯| ১২| ২২ ইং | |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌺 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
জন্মদিনে কিছু মুহূর্ত |
---|
Canva দিয়ে বানানো
বন্ধুরা,আমি শিমুল আক্তার,আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা নিজের মধ্যে আমি অনুভব করি। আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবারের ই একটি অংশ।আমার আজকের ব্লগের টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন,আমি জন্মদিনে কিছুটা মুহূর্ত কাটিয়েছি,আজ তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এলাম।আপনাদের প্রশ্ন জাগতে পারে কার জন্মদিনে গেলাম ? তবে বলছি শুনুন,আমার কাজিনের ছেলের জন্মদিনে ওর বাসায় গেলাম।কি কি রান্না হল,কেমন সময় কাটলো সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা,আমার কাজিনের বাসা ঢাকা,বনশ্রী। আমাদের যদিও সকালে যেতে বলা হয়েছে।কিন্তু সকালে যেতে পারিনি।জানেন ই তো স্কুলে এখন হলিডে,তাই ছেলে ঘুম থেকে উঠতেই চায় না।তাই আমরা দুপুরের খাবারের কিছু আগেই ওর বাসায় পৌঁছে গেলাম।যাওয়ার কিছু পরেই খাবার দিবে কিন্তু বাচ্চারা আগেই কেক কাটার জন্য পাগল হয়ে গেলো। যদিও আমরা বড়রা চাইছিলাম কেক বিকেলে কাটবে কিন্তু না, বাচ্চাদের কথা অনুযায়ী তখনই কেক কাটা হল। কেক যখন খোলা হল,আমিতো দেখে অবাক কেকে কেন বল এঁকে দেয়া হল ? তখন আমার কাজিন বলল,বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলছে,তাই ছেলের ইচ্ছেতে কেকের উপর বল এঁকে দেয়া হল।যাক আনকমন কেক দেখে ভালোই লাগলো সকলের।
কেক তো সবাই খেয়ে নিলো।এবার লাঞ্চ করার সময়। সবাই আমরা একসাথে বসে গেলাম খেতে। কাজিন আমার অনেক কিছু খাবারের আয়োজন করেছে। কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন তান্দুরি , ডিম, চিংড়ি ভুনা,চিকেন মাঞ্চুরিয়ান,সালাদ। এরপর খাবারের পর কুমিল্লার সন্দেশ,দই, কোক,স্প্রাইট ও ছিল।
স্থানঃসাউথ বনশ্রী
ক্যামেরাঃস্যামসাং
মডেলঃA23
যাই হোক সবাই খুব মজা করে খেয়ে নিলো। এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাচ্চারা খেলাধুলা করল।আর আমরা বড়রা অনেক গল্প করলাম।এভাবে বিকেল হয়ে গেলো। অনেক বেশি আনন্দময় সময় অতিবাহিত করলাম অনেক দিন পর।এরপর সবাই খুব মজা করে কুমিল্লার দই ও সন্দেশ খেলাম।বেশ ভাল লাগলো খেতে। যদিও থাকতে বলেছিল খুব করে ,থাকা আর হয়নি। আমরা সন্ধার আগেই ফিরে এসেছিলাম।
আজ আর নয়,আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে খুব শীঘ্রই।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আশাকরি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি শিমুল আক্তার। আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি একজন বাঙালি।বাংলায় লিখতে ও পড়তে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা কাজ করে আমার মধ্যে।গতানুগতিক কোন কাজ ই আমায় টানে না।সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করতে।বাংলাকে ভালবেসে "আমার বাংলা ব্লগ" এর সাথে আছি,থাকব আজীবন। অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করি।মানুষকে ভালোবাসি,তাই চেষ্টা করি মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করতে।
কাজিনের ছেলের জন্মদিন তো বেশি ভালোই উপভোগ করেছেন দেখছি আপু। আর এখন হলিডে হিসেবে বাচ্চারা ঘুম থেকে দেরিতেই উঠবে। কারণ সারা বছর তারা পড়াশোনা করার জন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি উঠে। আর তার মধ্যে আমিও একজন 🤣🤭।এই শীতের সময় সকাল সকাল উঠতে আমার খুব আলসেমি হয়। ইচ্ছে করে দুপুরবেলায় উঠি। কিন্তু কি আর করার, উঠতে তো হবেই। যাইহোক ফুটবল থিমে আঁকা কেকটা বেশ দারুন হয়েছে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাজিন এর ছেলের জন্মদিনে গিয়ে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর একটা টাইম স্পেন্ড করেছেন। আপনার কাজিনের ছেলের জন্মদিনের জন্য আনা কেকটির ডিজাইন আসলেই অনেক ইউনিক ছিল। এরকম ডিজাইনের কেক আমি আজকে প্রথম দেখলাম। যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাজিনের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনে হচ্ছে খুবই ভালো একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জন্মদিনে গিয়ে। আপনার কাজিন তো দেখছি বেশ ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করেছে। মনে হচ্ছে সবাই মিলে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। এটা কিন্তু সত্যি যে হলিতে হিসেবে বাচ্চারা ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠে। জন্মদিনের পার্টিতে বাবুরা একটু তাড়াতাড়ি জন্য আগ্রহী হয়ে পড়ে। মনে হচ্ছে তারাও বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাজিন এর ছেলের জন্মদিনে দেখছি আপনি এবং আপনার বাবু অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। বাচ্চারা কিন্তু কেক খেতে একটু বেশি পছন্দ করে তাই তারা একটু তাড়াতাড়ি কেক কাটতে চেয়েছিল। মনে হচ্ছে তারা খুবই আনন্দ করেছিল কেক কাটার সময়। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া মনে হচ্ছে খুবই ভালো করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
কাজিনের ছেলের জন্মদিন অনেক আনন্দঘন মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু কেকের ওপর ফুটবল আনকমন কেক। আসলে এখন স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা একটু ঘুমাবে স্বাভাবিক।সত্যি আপু বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়ার কোন আগ্রহ থাকে না, শুধু কেক কাটার ওপর যত আগ্রহ । যাইহোক আপনি দুপুরে গিয়ে ভালো ভালো খাবার খেয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আনন্দ মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু, সব সময় পাশে থাকার জন্য।
আপনার কাজিনের ছেলের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই, শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। বিশেষ করে কেকের ডিজাইনটা খুবই সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।