ফটোগ্রাফি - - " মেঘের ভেলায় আমরা " || আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
" আমার বাংলা ব্লগ " এর ভারত ও বাংলাদেশের সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন আপনারা ? আশা নয় বিশ্বাস করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভালো আছি। আমি শিমুল আক্তার @shimulakter,আমি বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এ ব্লগিং করি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে।বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আমি আজও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগের টাইটেল দেখে আপনারা ঠিক বুঝে গেছেন,আমি আজ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সঙ্গেই থাকুন।
মেঘের ভেলায় আমরা
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
মেঘের ভেলায় আমরা, এটা পড়ে অবাক হয়ে যান নি তো কেউ আবার ? এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা চাইলেই কিন্তু মেঘের ভেলায় উড়তে পারি। কিন্তু কিভাবে ? দাঁড়ান দাঁড়ান অপেক্ষা করেন বলছি। এত উতলা হলে তো সবটাই অজানা রয়ে যাবে। আমি আমার পরিবারের সবাই মিলে বেশ কয়েকবার কক্সবাজার ঘুরে এসেছি। বেশ ভালোই লেগেছে। কিন্তু মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো আমার আর হয়ে উঠেনি। কারন কোথাও যাওয়ার কথা হলে বেশি যাওয়ার সাপোর্ট যেখানে হয়।মূলত সেখানেই কিন্তু যাওয়া হয়। সমুদ্র যে খারাপ লাগে তা নয়,আমি প্রকৃতি প্রেমী মানুষ প্রকৃতি যতটা আমাকে টানে সমুদ্র কিঞ্চিৎ কমই টানে। তাই এবার ঠিক হল,ভাই এসেছে আমরা বান্দরবন যাব। কিছুদিন আগের কথা বলছি। বান্দরবন কেন যে এত সুন্দর জায়গার নামটা হল, বুঝলাম না। প্রকৃতি,গাছ-পালা বেশি থাকাতে হয়ত খুব বানর এসব গাছে গাছে বাস করত তাই এর নাম বান্দরবন।সে নাম যাই হোক,আমার তো মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলাটা হবে।
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
আমরা চট্টগ্রাম থেকে গাড়ি ভাড়া করে বান্দরবন পৌঁছে যাই। সেখান থেকে চাদের গাড়ি করে আমরা নীলগিরি পাহাড় পৌঁছে গেলাম। এই পাহাড় থেকেই মেঘের সাথে খেলার কথা বলেছি। আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
নীলগিরি পাহাড়ে উঠা মাত্র ই চোখে পরে দূরে মেঘের পাহাড়।আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘ,পাহাড় আর সূর্য মিলে-মিশে একাকার।
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
নীলগিরিতে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য রেস্টুরেন্ট ও আছে। চাইলে লাঞ্চ করে নেয়া যায়।নীলগিরিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে কোন কিছু ফেস করতে হবে না।এখানে হালিপ্যাড নামে একটি পয়েন্ট আছে,চাইলে হেলিকপ্টারেও যেতে পারেন। ছবিটি তোলা হয়নি।
স্থানঃনীলগিরি পাহাড়,বান্দরবন
ক্যামেরাঃXiaomi Mi 8 SE
যাই হোক সারাদিন ঘোরাঘুরি হল।সন্ধ্যার আগেই বিদায় নিয়েছিলাম আমরা। খুব সুন্দর সময় কেটেছে সবার। যেতে কি মন চায় ? চায় না তো। তবুও তো যেতে হবে।এক কথায় নীলগিরিকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা যায়। আমার মনে হচ্ছিল আমি মেঘ নিয়ে খেলা করছি। এত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সত্যি ই মনকে শীতল করে দেয়।
আজ আর নয়,আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে খুব শীঘ্রই।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আশাকরি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার সার্থকতা।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি শিমুল আক্তার। আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি একজন বাঙালি।বাংলায় লিখতে ও পড়তে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা কাজ করে আমার মধ্যে।গতানুগতিক কোন কাজ ই আমায় টানে না।সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করতে।বাংলাকে ভালবেসে "আমার বাংলা ব্লগ" এর সাথে আছি,থাকব আজীবন। অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করি।মানুষকে ভালোবাসি,তাই চেষ্টা করি মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করতে।
আপু আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেকে অনেক ভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারদর্শী। আপনিও আপনার মত করে ফটোকপি করেছেন। হ্যাঁ আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে এই ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখে আমি বিশ্বাসই করতে পারেনি এটা আপনি নিজে হাতে ফটো তুলেছেন। মনে হচ্ছে এক টুকরো মেঘ যেন ভেসে আপনার হাতের উপর এসেছে আর আপনার ফটোগ্রাফি করেছেন। নীলগিরি পাহাড় বান্দরবন এই ফটোটি আমার এত ভালো লেগেছে যা প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারছি না। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনে হলো জায়গাগুলো থেকে ঘুরে আসলাম। খুব ইচ্ছা আমার এই স্থান গুলোতে ভ্রমণ করা কিন্তু কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আসলে আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারিনা। যাই হোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো। অসাধারণ ছিল আপু ফটোগ্রাফি গুলো।
সুন্দর মন্তব্য পেয়ে সত্যি খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।আমার কাছে মেঘের ফটোগ্রাফি টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমি নিলগিরি গিয়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল। যাই হোক ভ্রমনের গল্প শুনে বেশ ভালোই লাগলো।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে প্রকৃতি প্রেমি মানুষ সবাই , প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে ৷ আপনি কক্সবাজার ভ্রমনের যাওয়ার পথে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ যদিও কখনো ওদিকে যাইনি , তবে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ৷ ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য ৷
কক্সবাজার না ভাইয়া। এবার টার্গেট বান্দরবন ছিল। তাই চট্টগ্রাম থেকে সেখানেই গিয়েছি।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন আমার ইচ্ছে ছিল নীলগিরি বান্দরবন যাওয়ার। তবে এখনো যেতে পারিনি আপু। আপনার ঘুরতে যাওয়ার বান্দরবনের মেঘের ভেলায় মুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ইচ্ছে করছে মেঘের উপরে গিয়ে একবার হেঁটে আসি। সত্যি বলছি আপু আজকের ফটোগ্রাফি দেখে আমার অনেক ইচ্ছে করছে ঘুরতে যেতে।
সময় সুযোগ করে ঘুরে আসবেন আপু ভাল লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আছে বান্দরবান নীলগিরিতে ঘুরতে যাওয়ার। সেখানে মেঘেদের কাছে থেকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে। ঠিক কথা নীলগিরিকে বাংলাদেশের দার্জিলিং ও বলা হয়। আপনি খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনারা অনেক মজা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমি তো প্রথমে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে করলাম বিমান থেকে ফটোগ্রাফি করেছেন। পাহাড়টি এতই অশু মনে হয় মেঘগুলো পাহাড়ের নিচে। তবে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ। সত্যি এরকম জায়গাগুলোতে ঘুরতে গেলে আসতে মন চাইবে না। আর রেস্টুরেন্টে মনে হয় খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন।আর হালিপ্যাড জায়গাটি আপনারা ঘুরতে গেলেন মনে হয়। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু আপনি দাড়াঁতে বললেন কেন? আর উত্তালাই বা হবো না কেন? আপনি মেঘের ভেলার ফটোগ্রাফি করবেন, আর সমস্ত নীলগিরির ফটোগ্রাফি করবেন আর আমরা উতালা হবো না। আপনার তো বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি হাত । প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন জীবন্ত ছবি। বেশ সুন্দর হয়েছে আপু আপনার আজকের ফটোগ্রাফি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।