" মজার অনুভূতি " | | ১৯|০১| ২৩ ইং | |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌷হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভাল আছি।
Canva দিয়ে বানানো
বন্ধুরা,আমি শিমুল আক্তার,আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা নিজের মধ্যে আমি অনুভব করি।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি নতুন আর একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমার ব্লগের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন,আমি আজ মজার একটি অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মজার এই অনুভূতিরটি আজ ও মনে এলে আমি খুব মজা পাই।কাল হাফিজ ভাইয়া মোয়ার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছিল।মূলত হাফিজ ভাইয়ার পোস্টের কারনেই আমি আমার মজার সেই অনুভূতিটি আজ শেয়ার করব।ভাইয়ার রেসিপি দেখে আমার মনে সেই ঘটনাটি আবার উঁকি দিলো ।সেই অনুভূতি তাই শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি ঘটনাটা সেই সময়েরই।তাই পেছনে যেতে হচ্ছে। কোনোএক বিকেলবেলা আম্মু আমার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিল।আমি মিষ্টি খাবার খুব একটা পছন্দ করতাম না।কিন্তু সেদিন হঠাৎ আমার খুব ইচ্ছে করছিল মোয়া খেতে। তখন ঘরে মুড়ি,গুঁড় সবটাই ছিল। কিন্তু মোয়া বানানোর সঠিক প্রসেস তখনো আমার অজানা ছিল। শুধু এটা জানতাম গুঁড়টা দিয়ে আগে ঘন একটা প্রসেসে নিয়ে এসে মুড়ি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামাতে হবে। আমি সেই মত প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে ছিলাম।এরপর সামান্য পানি দিয়ে তাতে পরিমান মত গুঁড় দিয়ে খুব নাড়ছিলাম। কারন গুঁড়টাকে তো ঘন করতে হবে। যাই হোক গুঁড়টা ঘন হওয়ার পর তাতে অনেক পরিমান মুড়ি দিলাম। কিছুক্ষন পর নাড়াচাড়া করে দেখি গুঁড়ের মধ্যে মুড়িগুলো চিপ্সে আছে।কি হল এটা ? আমার মাথায় হাত।এ অবস্থা দেখে আমার মোয়া খাওয়ার আগ্রহ নিমিষে উড়াল দিল।চুলা অফ করে আমি ঘরে চলে গেলাম।আসলে আমি মনে করেছি গুঁড় ঘন হয়েছে,আসলে হয়নি তাই গুঁড়ের পানিতে মুড়ি ভিজে গেছে।হঠাৎ কেউ দেখলে বুঝবে রঙ চায়ের মধ্যে মুড়ি ভেজানো। কি বলবো আর দুঃখের কথা। সেদিন থেকে বুঝতে পারলাম,সবকিছু চোখের দেখায় হয়না। অনেক কাজ প্র্যাকটিক্যাল অর্থাৎ হাতে কলমে শিখে নিতে হয়।
আম্মু এলো বাসায়,এসে সবদেখে ঠিক সেইম কথাটা বলেছে।রঙ চা কে করল ? কারন আমাদের বাসায় সবাই দুধ চা খেতেই পছন্দ করে।আমার মজার অনুভূতি শুনে আপনারা হয়ত হাসছেন।কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার যে সেদিন কি পরিমান খারাপ লাগছিলো। খাবো মোয়া হয়ে গেলো গুঁড়ে ভেজা মুড়ি। আজ হয়ত মনে হলে হাসি পায় কিন্তু সেদিন শুধু কষ্টই পেয়েছি। যাই হোক আম্মুকে তো সব বললাম।আম্মু তখন আমাকে ডেকে পাশে নিয়ে মোয়া করে শিখিয়ে দিল।এ যাত্রায় আমার মোয়া বানানো আর খাওয়া দুটোই হয়ে গেলো।সেই থেকে আজ অব্দি আমি এমনই কোনকিছু জানা থাকা সত্ত্বেও হাতে -কলমে শিখাটা কে খুব বেশি গুরুত্ব দেই।
শিক্ষনীয়ঃ
এই মজার অনুভূতির গল্প থেকে দুটো জিনিস শেখার আছে।তা হল কেউ কোন একটা কাজ না জানা থাকলে তার সেটা করা উচিত নয়। তাতে কাজটা খুব সুন্দরভাবে শেষ নাও হতে পারে।আর যে কোন কাজে হাতে -কলমে শেখাটা খুব জরুরী।তাতে করে কাজটা পরবর্তীতে যেমন সুন্দর হবে আর কাজটা ভুলে যাবার ও কোন চান্স থাকবে না।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার মজার অনুভূতির গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হব।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
গুড়ের সাথে মুড়ি মিশে একেবারে চা মুড়ি হয়ে গেছে আপু। আসলে প্রথম প্রথম কোন খাবার তৈরি করতে গেলে এরকমটাই হয়। ছোটবেলায় এরকম ভুল অনেক হত। আমি তো একবার ডিম ভাজি করে ফ্রিজে তুলে রেখেছিলাম 🤪।যাইহোক এরকম অনেক মজার স্মৃতি আমাদের জীবনে আছে। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
হাহা আপু আজকে আমার বাসায়ও এই অবস্থা হয়েছে।আম্মু মোয়া তৈরি করতে যেয়ে হয়নি আজকে,গুড়ের মধ্যে পানি দেওয়ার কারণে।অন্যদিন ঠিকই হয়।আপনার কথা একদম ঠিক প্রাকটিকালি কোনো কাজ না করলে হয়না।চোখের দেখায় অনেক কিছুই সহজ মনে হলেও ব্যাপার টা তেমন না।আপনার ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় যে ঘটনা ঘটেছিল সেটা মনে পড়ে গেল হাফিজ ভাইয়ের পোস্ট দেখে।বেশ ভালোই লাগলো পোস্টটি গুড়ের পরিবর্তে চা এর মধ্যে মুড়ি হয়ে গেল😁।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য সুন্দর ব্লগটি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
নতুন একটি রেসিপি আবিস্কার করেছেন।এভাবে পজিটিভ ভাবে ভাবতে হয়।মানুষ মাত্রই ভুল করবে আর সেই ভুল থেকেই শিখবে।আপনার ঐ রেসিপিটা চেখে দেখা লাগত।নাটরের কাচা গোল্লার আবিষ্কার কিন্তু এভাবেই ভুল থেকেই হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু শিক্ষামূলক পোস্টটির জন্য।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাফিজ ভাইয়ের রেসিপি দেখে আপনার ছোটবেলার খুব মজার একটি কাহিনী মনে পড়ে গেল। আসলে ঠিকই বলেছেন কোন কিছু চোখে দেখলে যতটা সহজ মনে হয় হাতে কলমে করতে গেলে বোঝা যায় যে ততটাই কঠিন। এজন্য আমাদের সকলের উচিত কোন একটা কাজ ভালোমতো শিখে সেই কাজে হাত দেওয়া। যাক আপনার আম্মুর শেষে আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছে এবং আপনার মোয়া খাওয়ার সাধ ও পূরণ হয়েছে। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা কি করলেন আপু একেবারে চা করে ফেললেন। বিশ্বাস করবেন নাকি জানিনা আপনার মজার গল্প পড়ে আমি প্রায় ১০ মিনিট খিল খিল করে হাসলাম। আসলে সত্যি কেউ যদি কোন কাজ না জানে তাহলে তা করা ঠিক না। ভাল করে যেনে শুনে সব কাজেই হাত দেওয়া উচিত।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
মা যে আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধারকারী একজন মানুষ, সেটা কিন্তু এখানে আবার প্রমাণ হল।এই ধরনের কাজ আমিও করেছি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। সেটা মোয়ার অভিজ্ঞতা নয়। আমারটা ছিল পাঁপড় ভাজার অভিজ্ঞতা। স্কুল থেকে এসে খিদে পেয়েছিল। পাঁপড় ভাজা দিয়ে ভাত খাবো ভেবে পাঁপড় ভাজতে গিয়েছিলাম। জীবনে প্রথমবার কড়াই বসিয়ে, তেল দিয়ে আগুন একদম জোরে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। যেই পাঁপড় দিলাম,সাথে সাথে কালো হয়ে গেলো।সারা ঘর ধোঁয়া।কি করা যাবে? মা এসে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে শিখিয়ে দিল কিভাবে পাঁপড় ভাজব।আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে আমার আবার সেইটা মনে পড়ে গেলো।
আমার মজার অনুভূতি পড়ে আপনার পাঁপড় ভাজার অনুভূতিটি জানলাম দিদি।খুব ভাল লাগলো। আসলে মা আমাদের জীবনের একটা অংশ। ভুলে যাই না আমি কখনও।অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
আপু দাড়ান আগে একটু হেঁসে নেই,হা হা হা। গুড়ের সাথে পানি দিলে তো মুড়ি চিপ্সে যাবেই। আর গুড়টা মনে হয় ঘন হয়নি। যার কারনে এমন হয়েছে। যায়হোক স্মৃতি হয়ে রইল। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।