লাইফ স্টাইল -- 💖 " ছেলের বানানো কেক,এই স্বাদের তুলনা হয় না "
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করতে চলে এলাম লাইফ স্টাইল পোস্ট।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকমের কর্মকান্ডের কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে।চলুন তবে আজকের বিষয়টি তুলে ধরছি।
ছেলের বানানো কেক,এই স্বাদের তুলনা হয়নাঃ
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ঘটনা আমাদের পরিবারে ঘটে থাকে।আর সেই ঘটনার কিছু কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষন ভালো লাগে আমার।আর তাইতো প্রতিনিয়ত নানান রকমের বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে যাই।আজকের বিষয়টি কিছুদিন আগের।আপনারা অনেকেই জানেন আমার ছেলের বয়স ১০ পার হয়ছে।ছেলে কিন্তু কেক ভীষন পছন্দ করে।আর ওর পছন্দ হচ্ছে চকলেট কেক।আর এজন্য ই বেশ কিছুদিন আগে আমি অনলাইন থেকে চকলেট কেকের জন্য নানান জিনিস অর্ডার করে আনি।
আমি বুঝি না এতোটুকু ছেলে কিভাবে নিজে নিজেই সবকিছু পরিমান বুঝে কেক বানিয়ে ফেলে আমার ধারনা নাই।যখন ও ছোট তখন থেকেই কেক ও পুডিং তৈরি করলে ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতো।আমি কখন কোনটা কিভাবে দিয়ে তৈরি করি সবটাই সে মাথার মধ্যে সেট করে নিয়েছিল।একদিন বিকেলে কেক বানাবে বলে ডিম ভেঙ্গে নিয়েছিল।আমি দেখতে পেয়ে নিজে কেক তৈরি করে দেয়ার জন্য গেলাম।কিন্তু ও কিছুতেই আমাকে করতে দেবে না।তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে ই রইলাম।আমি দেখছিলাম সবকিছুই তার মনে আছে।সে একটার পর একটা আইটেম দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ই কেকটি তৈরি করে নিলো।
শুধু কি কেক তৈরি?? না না সেই গরম কেক ও আমাকে ধরতে দেয়নি।কেকটি সুন্দর মতো তুলে নিয়ে পিস পিস করে কেটে আমার সামনে নিয়ে এলো।আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।খেতে কিন্তু সেই স্বাদ হয়েছিল।ওর কেক তৈরি করার ভাব দেখলে যে কেউ বলবে খুব পাকা হাতের কাজ।আমি ভেবে পাইনা এই বয়সে আমি কখনো রান্না ঘরের দরজার কাছে গিয়েছি কিনা সন্দেহ আছে।অথচ এতোটুকু ছেলে কি এক্সপার্ট।আর তাইতো আজ কেকের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশাকরি কেকের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পারছেন কেকটা কতোটা সুন্দর হয়েছিল দেখতে।টেস্ট ও হয়েছিল খুব মজার।তাই আপনাদের সাথে এই বিষয়টি শেয়ার না করে পারলাম না।
এই ছেলে বড় হয়ে যে আরো কতো কি রান্না করবে তা আমার অজানা।তবে কাজ করে খুব গুছিয়ে।কিন্তু রান্না হয়ে যাওয়ার পর সব জায়গায় ময়লা করে ফেলে। এটা আমার জন্য খুব কষ্টের।সে সব গোছাতে গেলে খুব খারাপ লাগে আমার।যাই হোক দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য।আবার নতুন কোন আইটেম রান্না করলে সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশা আল্লাহ।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আমি সত্যি অবাক হয়ে আপনার পোস্ট টি পড়লাম আপু।আপনার এতটুকুনি ছেলে কিনা বানিয়ে ফেলেছে চকলেট কেক।মানতে হবে। আসলে অনেক বাচ্চা আছে কেক খুব পছন্দ করে আপনার ছেলেও কেক পছন্দ করে এবং সেই পছন্দ থেকেই পুডিং ও কেক বানানো শিখেছে আপনার বানানোর সময় দাড়িয়ে থেকে।আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা আপু।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দিদি,মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এর আগেও আপনি একটি পোস্টে বলেছিলেন আপনার ছেলে বেশ ভালো কেক বানাতে পারে। সত্যিই আপু মায়ের কাছ থেকে সন্তানরা সব রেসিপি শিখে। আর আপনি ভালো রান্না পারেন বলেই আপনার ছেলেও শিখে গেছে আপু। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
কেক টা একদম পারফেক্ট হয়েছে। আমিও তো এরকম পারফেক্ট করে তৈরি করতে পারি না। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আগেও আপনার ছেলের রান্না করা কয়েকটা আইটেম শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। বেশ ভালো লাগলো আজকের পোস্ট দেখে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল আপু।
মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।
এই কেক বানানোর পদ্ধতি অবশ্যই আপনার কাছ থেকে শিখেছে। মানুষ মনোযোগ দিয়ে দেখলে সবকিছুই আয়ত্ত করতে পারে। আপনার ছেলেও ইচ্ছা শক্তি ছিল। সেজন্য এত সুন্দর কেক বানাতে পেরেছে। কেকটা দেখে আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারবে। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাশাআল্লাহ,আপু আপনার ছেলের হাতের কেক এটা, দেখে কেউ বুঝবেই না।আর আপনার ছেলের মাত্র ১০ বছর,আমার তো মনে হচ্ছে সে একদিন শেফ হয়ে যাবে, যেহেতু ওর রান্নার প্রতি আকর্ষণ আছে। আমার ছেলেটাও মাঝে মাঝে রান্না করতে গেলে হাতা খুন্তি নিয়ে নাড়ে। ব্যাস ওর রান্না হয়ে যায়,হাহাহা।
এখন ই যদি হাতা খুন্তি নেয় হাতে একদিন বড় শেফ হবে দেখবেন।ধন্যবাদ আপু মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ছেলে খুবই মজা করে কেক তৈরি করছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার পোস্ট করে বুঝলাম আপনার ছেলে খুবই এক্সপার্ট এবং বুদ্ধিমতী। আপনি প্রায়ই ভিন্ন ধরনের আইটেম আমাদের সাথে শেয়ার করেন হয়তোবা সেগুলো দেখে ও এত সুন্দর ভাবে কেক তৈরি শিখেছে। সত্যি সন্তানের এরকম কাজকর্ম দেখে মায়েরা অনেক খুশি হয়। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি একজন অসাধারণ গৃহিণী এবং মা। আপনার ছেলের কেক বানানোর দক্ষতা এবং আপনার পরিবারের সাথে এই মধুর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার উপায় সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার ছেলের প্রতি আপনার গর্ব এবং ভালোবাসা পোস্টের প্রতিটি শব্দে ফুটে উঠেছে। আপনার ছেলের হাতের কেকের স্বাদ নিশ্চয়ই অসামান্য হবে। আপনার পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য আপু।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আপনাকে ও।
X-promotion
আপু আপনার ছেলে এত সুন্দর করে কেক বানিয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। ছেলেরা সাধারণত রান্নাবান্নায় খুব একটা পারদর্শী হয় না। তবে আপনার ছেলে দেখছি অনেক গুণী হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
বাহ! আপনার ছেলেকেতো খুবই লিজেন্ড করে ফেললেন। সে আপনার তৈরি করা দেখে দেখে নিজেই কেক তৈরি করে ফেলল। পরিমাণটাও সুন্দরভাবে আয়ত্ত করল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ছেলের এক্সপেরিয়েন্স আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।