রেসিপি - ৯ || কাঁচা আমের আচার ( রান্না করার ঝামেলা ছাড়া ) || @shimulakter
আসসালামু আলাইকুম , আদাব বন্ধুরা । কেমন আছেন সবাই । আশাকরি সবাই ভাল আছেন । আমিও আপনাদের শুভ কামনায় ভাল আছি । আজ আমি এমন এক আচারের রেসিপি দিব , যা চুলায় রান্না করার ঝামেলা নেই । আর খেতেও অসাধারন । এমন এক আচারের বৈয়াম যদি আপনার টেবিলে সাজানো থাকে , তবে খাবারের রুচি না থাকলেও আপনার খাবারের রুচি এমনি ফিরে আসবে ।
এই আচার আপনি খিচুরি, সাদা ভাত , পোলাও এমন কি রুটির সাথেও খেতে পারেন । আর যদি কিছু না দিয়ে শুধু শুধু খেতে চান, তাও কিন্তু মন্দ লাগবে না ।
বন্ধুরা , আমার এই আচার বানাতে আমি ৩ টি কাঁচা আম নিয়েছি । আর কি কি উপকরন আমার লাগছে ,আমি এক এক করে সব তুলে ধরছি --
উপকরন
কাঁচা আম
সরিষার তেল
সাদা সিরকা
হলুদ ও মরিচের গুঁড়া সামান্য
চিনি
আদা-রসুন
কাঁচা মরিচ
লবণ
সরিষা
শুকনা মরিচ
আমি ধাপে ধাপে এই আচার করার পদ্ধতি তুলে ধরছি। আপনারাও চাইলে খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারবেন এই আচার । আসুন শুরু করা যাক --
ধাপঃ১
আমি ২ টা আম খোসা ফেলে কেটে নিয়েছি । আর ১ টা আম খোসা সহ কিউব করে কেটে নিয়েছি ।
ধাপঃ ২
এবার আমগুলি একসাথে ভালভাবে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ ৩
ধোঁয়া আমগুলিতে পরিমান এর চেয়ে একটু বেশি লবণ দিয়ে মেখে রেখে দেব ২ ঘণ্টা। লবণ বেশি দেয়ার কারন যাতে আমের ভেতর সব পানি বেরিয়ে আসে ।
ধাপঃ৪
অন্যদিকে আমি কিছু আদা কেটে ধুয়ে পানি টিস্যু দিয়ে মুছে বাতাসে শুকাতে দিলাম।
ধাপঃ৫
এবার কিছু রসুন কেটে ধুয়ে পানি শুকাতে টিস্যু দিয়ে মুছে বাতাসে শুকাতে দিলাম। কিছুতেই পানি থাকা যাবে না । আপনি চাইলে পরিস্কার কাপড়ের টুকরো দিয়েও মুছে নিতে পারেন ।
ধাপঃ৬
কাঁচামরিচ গুলো ও ধুয়ে মুছে নেব।
ধাপঃ৭
এবার শুকনা মরিচ কিছু কুচি কুচি করে রেখে দেব।
ধাপঃ৮
এদিকে দুই ঘণ্টা পর আমি আম চেপে চেপে পানি বের করে কিছু সময় বাতাসে রেখে দেব ।
ধাপ.৯
অনদিকে আমি সরিষা, কাঁচা মরিচ , রসুন সামান্য সিরকা দিয়ে ব্লেন্ড করে নেব । পানি কিছুতেই ছোঁয়ানো যাবে না ।সিরকা দিয়েই পেস্ট করে নেব ।
ধাপঃ১০
এবার একটা পেয়ালা নেব ।
ধাপ.১১
যে পেস্ট করেছি , তা পেয়ালায় নিয়ে তাতে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া সামান্য দেব ।
ধাপ.১২
এরপর ওই মিশ্রণে এক কাপ সিরকা দিয়ে মিশিয়ে নেব। মেশানো হলে তাতে দুই কাপ সরিষার তেল দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে ।
ধাপ.১৩
মেশানো মিশ্রণটাতে এবার এক কাপ চিনি মিশিয়ে নিতে হবে । এর সাথে সামান্য লবণ ও মিশিয়ে নিতে হবে , বেশি লবণ দেব না । কারন আগেই আমের পানি বের করার জন্য অনেক লবণ দিয়েছিলাম, তাই আর বেশি লাগবে না ।
ধাপঃ১৪
এবার আমি আমগুলি বাতাসে শুকানোর পর , পানি যাতে একদম না থাকে তাই আম গুলি টিস্যু দিয়ে আবার মুছে নিলাম ।
ধাপ.১৫
এবার আমি একটা শুকনো বৈয়াম নিলাম। তাতে কিছু আম , রসুন, আদা, শুকনা মরিচ রাখলাম ।আবার দ্বিতীয় বার আম , রসুন কুচি, আদা কুচি, শুকনা মরিচ কুচি রাখলাম।
ধাপ.১৬
এই শেষ ধাপে এসে আচারে মিশ্রণটা দিয়ে দেয়ার পালা । আমি উপর থেকে মিশ্রণটা আস্তে আস্তে ঢেলে দিলাম ।
ধাপঃ১৭
আচারে মিশ্রন দেয়ার পর বৈয়ামের মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে । ৭/১০ দিনের মধ্যে মুখ খোলা যাবে না । চাইলে আপনি রোদে দিতে পারেন , আর না দিলেও সমস্যা নেই । কিন্তু ১০ দিনের আগে মুখ খুলবেন না ।
এভাবেই আমার চুলা ছাড়া কাঁচা আমের আচার রেডি হয়ে গেল।আচারের ফাইনাল লুকটা কত সুন্দর তাই না ? এটা ১০ দিন পর আরও বেশি ভাল লাগবে । আচারটা যখন খাবেন , তখন কাঁচা আমের স্বাদ অনুভব করবেন ।
এই আচার বানাতে প্রতিটা ধাপের ছবি আমি আমার মোবাইল থেকে নিয়েছি । আমি তা তুলে ধরছি --
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung20A |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
আমার এই কাঁচা আমের রেসিপি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হব,সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন ।
আল্লাহ হাফেজ
আমি শিমুল আক্তার
@shimulakter
কাঁচা আমের আচার আমার খুবই ভালো লাগে। আমের আচার বিশেষ করে অনেকের প্রিয়। আপনার আচার বানানো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনি কোন ঝামেলায় ছাড়া সুন্দর করে আমের আচার রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যিই অসাধারণ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
কাঁচা আমের আচার আমার খুবই ফেভারিট। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কাঁচা আমের আচার তৈরি খেতে। আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই খুব সুন্দর ভাবে কাঁচা আমের আচার তৈরি করে ফেললেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই এমনি হয়েছে আপনার এই রেসিপিটি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।
প্রথমে বলবো কাঁচা আমের আচার দেখে খুব লোভ হচ্ছে। আপনি তো রান্না করা ছাড়া খুব চমৎকারভাবে আচার তৈরি করে ফেললেন। আমার কাছে আমের আচার খেতে বিশেষ করে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা আচার দেখে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আমার কাছে অসাধারণ লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
কাঁচা আমের আচার বরাবরই আমার অনেক ফেভারি ট আপনি দারুন ভাবে প্রস্তুত করুন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রস্তুত প্রণালী দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতেও খুব মজা হয়েছিল
বাহ আপু একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রান্না ছাড়া কাঁচা আমের আচার কিভাবে তৈরি করতে হয় এটা আমার একদমই জানা ছিল না। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি এবং নতুন কিছু শিখে নিলাম। এভাবেই এগিয়ে যান আপু। অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
কাঁচা আমের আচার দেখেই যেন জিভে জল চলে এসেছে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং সব সময় পছন্দ করি। আপনার আজকের এই ইউনিক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু রসুনের কাচা গন্ধ আসে না?এভাবে কখনো আচার রাখা হয়নি তবে মনে হচ্ছে ভালোই হবে।প্রতিটি ধাপ দেখে নিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে
না আপু রসুনের গন্ধ লাগবে না। আমের পরিমান বুঝে সিরকা যতটা দেবেন,তেল তার ডাবল দিবেন।তবে মনে রাখতে হবে ৮/১০ দিনের আগে মুখ খোলা যাবে না। ধন্যবাদ আপনাকে ও।
কাঁচা আমের আচার আমার অনেক পছন্দ। কাজা আম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা যায় যা সবাই পছন্দ করে। কিন্তু আপনি রান্নার ঝামেলা ছাড়াই কাঁচা আমের আচার তৈরি করেছেন দেখে ব্যাপারটি বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আসলে নতুন একটি পদ্ধতি শিখতে পারলাম।
রান্না ছাড়া এ কাঁচা আমের রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রেসিপিটি মধ্যে বেশ নতুনত্ব রয়েছে। শিখে নিলাম রেসিপিটি। কোন এক সময় নিশ্চয় এভাবে বানানোর চেষ্টা করব।
হে ভাইয়া , বানিয়ে খাবেন বেশ ভাল লাগবে । একদম কাঁচা আমের স্বাদ পাবেন ।
কাঁচা আমের আচার আমার অনেক পছন্দের। আপনার আমের আচার দেখে সত্যি আপু লোভে পড়ে গেলাম। আম ভর্তার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো আমার। আপনার সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।