" প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় " | | 10 % beneficiary for @shy-fox | | ২০| ১২ |২২ ইং | |
আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম
বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে
🌺 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক বেশি ভাল আছি।
Canva দিয়ে বানানো
বন্ধুরা,আমি শিমুল আক্তার,আমার ইউজার আইডি @shimulakter আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক বেশি ভাল লাগা নিজের মধ্যে আমি অনুভব করি। আমার আজকের ব্লগের টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন,আমি সবুজ প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় একান্তে কাটিয়েছি।সেটাই আজ শেয়ার করতে চলে এলাম।
আমার পোস্ট যারা নিয়মিত পড়েন,তারা জানেন আমার বেড়ে ওঠা পুরনো ঢাকাতে।সেখানে আমার আম্মুর বাসা।ছেলের এক্সাম শেষ,তাই মায়ের বাসায় বেড়াতে গেলাম। ফাইনাল খেলা একসাথে দেখলাম সবাই মিলে।খুব বেশি মজা করে একসাথে খেলা প্রায় অনেক বছর পর দেখলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ১০.৩০ টার ও পর।যদিও বলেছিলাম "বলধা গার্ডেন "একটু ঘুরতে যাব।ছেলেবেলা থেকে বড় বেলা এই এলাকায় কাটলেও বলধা গার্ডেন গিয়েছি মাত্র ২বার।কারন পরিবেশটা সবুজে ঘেরা হলেও,সেখানে কপোত-কপোতীর কারনে আমার আর কখনো যাওয়া হয়ে উঠেনি।তাই ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলেও নাস্তা করে বের হলাম তখন দুপুর ১২ টা বেজে গেছে।যাই হোক এক বড় আপু আছে,তাকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম।এখানে প্রায় অনেক ধরনের গাছ আর গাছ দেখা যায়।সবুজ আমার ভাল লাগে তাই দুপুর হলেও বেড়িয়ে গেলাম।ভাবলাম,দেখে আসি এত বছরে এই গার্ডেনের কি উন্নতি হল।
আমি ওয়ারী থেকে হেঁটেই গেলাম।কারন বাসার পাশেই" বলধা গার্ডেন " টি। জনপ্রতি ২০ টাকা।যদিও আমি ৫ টাকা টিকিট ছিল যখন গিয়েছিলাম। এই গার্ডেনের দুইটি অংশ ছিল আগে।কিন্তু এখন একটা অংশ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।আর অন্যটি বন্ধ।যাই হোক ভেতরে গিয়ে আগের চাইতে বেশ খারাপ অবস্থাই দেখলাম।ছবিতে দেখা এই পুকুরে আগে অনেক পদ্ম ফুলে ভরা ছিল,এখন দেখলাম এমন।পানি বেশ সবুজ দেখলাম। এটা পদ্ম পুকুর ছিল।এমন অবস্থা দেখে পুকুরটির আমার ভালো লাগেনি।সামনের দিকে এগুতে লাগলাম।অনেক ধরনের গাছ আছে,দুপুর হওয়াতে সূর্য ঠিক মাথার উপর ছিল।হালকা ঠাণ্ডা থাকাতে খারাপ লাগেনি।
কিছু ভেতরে যেতেই " সূর্য ঘড়ি " দেখলাম।সূর্যের আলো থেকেই সময় জানতে পারবেন।এরপর অনেক গাছের ভিড়ে খেজুর গাছ,পাতা বাহার গাছ,বাঁশ ঝাড় ও দেখতে পেলাম।অনেক অনেক গাছ দেখে মনটা খুব ভাল হয়ে গেল।তবে খারাপ লাগলো এটাই,আমি ভেবেছিলাম এত বছর পর এই গার্ডেনের আরও বেশি উন্নতি দেখতে পাব।কিন্তু না আমার ধারনা ভুল।
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস SamsungA20
ফটোগ্রাফারঃ@shimulakter
স্থানঃ বলধা গার্ডেন,ঢাকা
রাস্তার পাশে হওয়াতে সব গাছের উপর রাস্তার ধুলো দেখতে পেলাম।অনেক ছোট ছোট চারা গাছ রাখা আছে ভেতরে।এই গাছ ও লাগানো হবে।সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে খুব ইচ্ছে করে।এত এত গাছ আর এই গাছের ডালে নানা রকম পাখির কিচিরমিচির বেশ ভাল লাগছিল।কার কেমন লাগে আমি জানি না,সবুজ প্রকৃতি আমার খুব ভাল লাগে। যারা গাছ নিয়ে গবেষণা করে তাদের জন্য এই গার্ডেনটি অনেক উপকারে আসবে আমি মনে করি।
বলধা গার্ডেন এর ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।আমার কিন্তু দুপুর হলেও বেশ ভাল লেগেছিল। আজ এই পর্যন্তই।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচিতি
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।
আপু প্রকৃতির মাঝে এভাবে সময় কাটাতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। সবুজ শ্যামল প্রকৃতি আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটিয়েছেন এবং কতগুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন।পার্কের উন্নতি খারাপ থাকলেও টিকেটের উন্নতি কিন্তু বেশ ভালই হয়েছে। যেমন আগে ছিল টিকেট জনপ্রতি 5 টাকা এখন জনপ্রতি ২০ টাকা।
পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর কিছু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন আর আমাদের সাথেও শেয়ার করেছেন। আমি এই গার্ডেনে একবার গিয়েছিলাম। সেখানের প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব ভালো লাগে কিন্তু এখানে এমন কিছু খারাপ দৃশ্য দেখা যায় তারজন্য একদমই ভালো লাগে না। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রতিনিয়ত পুরনো ঢাকায় গেলেও, সবুজের হাতছানিতে এজন্য আমিও যাই না।মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
মনে হচ্ছে খুবই ভালো সময় কাটে যেন বলধা গার্ডেন এ গিয়ে। আমার কাছে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে তাই তো যখনই সময় পাই তখনই বিকেল বেলায় বেরিয়ে পড়ি ঘোরার জন্য। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে থাকি বেশিরভাগ ফুল বাগানে যেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি প্রকৃতির মাঝে হাঁটার মজাটাই আলাদা। খুব দারুন দারুন ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি আপনি। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রাকৃতির মাঝে এভাবে সময় কাটাতে আমার খুবই ভালো লাগে। ছেলের পরীক্ষা শেষ এখন মায়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন আসলে সব জায়গায় সবার প্রায় পরীক্ষা শেষের দিকে এখনই বেড়ানোর সময়। তবে আপনি প্রাকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ও।
এই সময়টা হলো ঘোরাঘুরি করার উপযুক্ত সময়। বলধা গার্ডেনে ঘুরতে গিয়ে চমৎকার সব ছবি তুলেছেন আমাদের জন্য। আসলে প্রাকৃতিক ছবি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে আপু। চমৎকার ছিল সবগুলো ছবি।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।
আমার খুব ইচ্ছা বলদা গার্ডেনে যাওয়ার ।কিন্তু পুরান ঢাকায় হওয়ায় আর যাওয়া হয়ে উঠে না। তবে আপনার বর্ননায় মনে হল গার্ডেন এর উন্নতি তেমন হয়নি ।তবুও সবুজের কাছে যেতে এবং ঘুরতে ভালই লাগে।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
একদিন সময় করে দেখে আসবেন, ভাল লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ও।
হাহাহা বলধা গার্ডেন এর নাম শুনলেই তো মনে হয় সেখানে শুধু বলদ রাই যায়। না আপু আমি আপনাকে বলদি বলিনি। কারন এক সময়ে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম । না প্রকৃতির প্রেমে নয়। থাক সেটা আর নাই বা বলি। কিন্তু তখনকার বলধা গার্ডেন আর এখন অনেক ব্যবধান মনে হচ্ছে। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ছেলের পরীক্ষা শেষ হওয়াতে যেহেতু মায়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন তাহলে তো বেশ ভালো আছেন আপু। এছাড়া প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে মানসিক প্রশান্তি আসে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সূর্যের ঘড়ির ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লাগে, সেই অসাধারণ ফটোগ্রাফি।
পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।