" আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৪ || " মুগ ডাল দিয়ে মুগ পাকন নকশী পিঠা রেসিপি "
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আমি আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে চলে এলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে। আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার সার্থকতা।
মুগ ডাল দিয়ে মুগ পাকন নকশী পিঠা রেসিপিঃ
বন্ধুরা,আমি আজ একটি নকশী পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।আমার আজকের পোস্টটি মূলত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য করা।এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ৫৪ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আমরা সবাই জানি যে,এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টি হচ্ছে নকশী পিঠার রেসিপি তৈরি নিয়ে।এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য আমি মুগ ডাল দিয়ে মুগ পাকন নকশী পিঠা রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি।আশাকরি আমার শেয়ার করা নকশী পিঠার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।তবে চলুন রেসিপিটি শেয়ার করার আগে এই রেসিপিটির উপকরণ গুলো শেয়ার করি।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
১. চালের গুড়া - ১ পেয়ালা
২.মুগ ডাল - ছোট ১ পেয়ালা
৩. চিনি - ১ পেয়ালা
৪. ফুড কালার - সামান্য
৫. তেল - পরিমান মতো
৬. লবন- আন্দাজ মতো
নকশী পিঠা বানানোর ধাপ সমূহঃ
ধাপ - ১
প্রথমে আমি ডাল ভালো মতো ভেজে নিয়েছি।
ধাপ - ২
এরপর ভাজা ডাল ধুয়ে নিয়ে পরিমান মতো পানি,লবন ও ফুড কালার দিয়ে সিদ্ধ হতে বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
ডাল ভালো মতো সিদ্ধ হয়ে এলে আমি ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘুটে ডাল একদম মিশিয়ে নিয়েছি।এরপর চালের গুঁড়া দিয়ে ডালের সাথে চালের গুঁড়া সিদ্ধ করে নিলাম।
ধাপ - ৪
এবার হাতে সামান্য তেল দিয়ে চালের গুঁড়ার খামিটা ভালো মতো মথে নিলাম।
ধাপ - ৫
এবার ডিজাইন করার পালা।আমি আমার মন মতো নানা রকমের ডিজাইন করে নিলাম।ডিজাইন গুলো এক এক করে শেয়ার করলাম।
ধাপ - ৬
এবার চুলায় প্যান বসিয়ে পরিমান মতো তেল দিয়ে সবগুলো পিঠা এক এক করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ - ৭
এবার পিঠা গুলো চিনির সিরায় দেয়ার পালা।তাই চুলায় প্যান বসিয়ে চিনি ও সামান্য পানি দিয়ে সিরা করার জন্য দিলাম।
ধাপ - ৮
চিনির সিরা যখন একদম ঠিক ঠাক মতো হয়ে গেলো তখন পিঠাগুলো একটি একটি করে সিরায় দিয়ে তুলে নিলাম।আর এরই মাঝে আমার রেসিপিটি একেবারেই শেষ হয়ে গেলো।
পিঠা তৈরি করার শেষ ধাপে এসে পিঠার টেস্ট কেমন হয়েছিল তা বলছি -- ভেতরটা তুলতুলে সফট আর উপরটা ক্রিস্পি।আহ্,দারুন মজা খেতে।আপনারা বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন।
পরিবেশন
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আজ আর নয়। আমার রেসিপি আশাকরি আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
সত্যি বলতে এবারের প্রতিযোগিতায় সবার আয়োজন ছিল দেখার মতো ৷ আসলে এতো ইউনিক দেখেছি তা বলে শেষ করা যাবে না ৷ মুগ ডাল দিয়ে দারুন ভাবে পিঠার নকশা করেছেন ৷ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সময় ব্যায় করেছেন ৷ ভালো লাগলো আপু আশা করি এ প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু হবে ৷শুভকামনা রইলো ৷
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরির পদ্ধতি দেখতে পেলাম। মুগ ডাল দিয়ে মুগ বাগান নকশি পিঠা তৈরি করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন ধরনের একটা পিঠার রেসিপি সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।
মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপি টা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য মুগ ডাল দিয়ে খুবই মজাদার নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। পিঠা গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু বাসায় চলে আসেন পিঠা ২/৩ টি এখনো আছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মুগ পাকন পিঠা এর আগেও খেয়েছি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনি গুছিয়ে পরিবেশন করেছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে, নিশ্চয়ই খেতে অনেক বেশি মজা হয়েছে। এত সুন্দর এটি পিঠা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের করার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
মুগ ডাল দিয়ে মুগ পাকন নকশী পিঠা রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সত্যি খেতে খুবই মজা হয়েছে।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
Twitter link
প্রথমে আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ এটি একেবারে লোভনীয় ও সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷ একইসাথে যেভাবে আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। মুগ ডাল দিয়ে খুবই সুন্দর করে আপনি মুগ পাকন পিঠা তৈরি করেছেন। মুগ পাকন পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই পিঠা খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর আর নিখুঁতভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।