নাটক রিভিউ -- 💕 " গরীব জামাই " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,শুভ রাত্রি। কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটক | গরীব জামাই |
---|---|
পরিচালক | সৈয়দ শাকিল |
অভিনয়ে | অপুর্ব, কেয়া পায়েল এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রচার | ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২৩ |
সময় | ২৮ মিনিট |
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
গরীব জামাই নাটকটি খুব বাস্তবতা সমৃদ্ধ নাটক।এই নাটকটিতে কিছু বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের প্রথমেই দেখা যাবে অপুর্ব আর কেয়া পায়েলকে কথা কাটাকাটি করতে।বিশেষ করে কেয়া পায়েলই অপুর্ব কে অনেক কথা শোনাচ্ছিলো।কেয়া অপুর্বকে বলছিলো ঘরের সব জিনিস কেয়া পায়েলের বাবার বাড়ির।তাই অপুর্ব কোন কিছুতে তার জামা-কাপড় রাখতে পারবে না।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পায়েল কিছু একটা ছু্ড়ে মারে অপুর্বকে। কিন্তু অপুর্ব সরে যাওয়াতে সেটা গিয়ে পরে বাসায় আসা কেয়া পায়েলের বান্ধবীর কপালে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে কেয়া পায়েল বান্ধবীর পরিচিত এক ব্যারিস্টারের কাছে আসে অপুর্ব কে ডিভোর্স দেয়ার জন্য পরামর্শ নিতে।কিন্তু ব্যারিস্টার কেয়া পায়েলের কথা শুনে আপসেট হয়ে যায়। কারন যথার্থ কারন ছাড়া ডিভোর্স হয় না।কেয়া পায়েল যে কারন গুলো বললো তাতে ব্যারিস্টারের মনে হলো কেয়া পায়েলের মধ্যে হিংসা জিনিসটি খুব বেশী।কিছু উদাহরন জানতে চায় ব্যারিস্টার। কেয়া পায়েল কিছু ঘটনা শেয়ার করেন।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
একদিন পথে কেয়া পায়েল আর অপুর্ব রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন।এরমধ্যে অপুর্বর এক ফ্রেন্ড তাদের পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন।তাদের দুজনকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে এসে কথা বলেন।এক সময় বলেন তাদের গাড়িতে উঠতে। কিন্তু অপুর্ব উঠে না।কিন্তু বাসায় এসে কেয়া পায়েল অপুর্ব কে অনেক কথা শুনায়।তার বন্ধুর গাড়ি আছে যে কিনা খারাপ স্টুডেন্ট ছিলেন।আর অপুর্ব এতো ভালো স্টুডেন্ট হয়ে কি লাভ হলো?
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর আর একটা ঘটনা কেয়া পায়েল ব্যারিস্টারের কাছে শেয়ার করেন।কেয়া পায়েলের ছোট বোন আর জামাই তাদের ইনভাইট করতে আসেন।ইনভাইটের কারন হলো তারা নতুন ফ্ল্যাট নিয়েছেন।এই উপলক্ষে কাছের সব মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়াবেন।এই শুনে ও কেয়া পায়েলের মনে রাগের সৃষ্টি হলো।অপুর্ব কেন পারবে না।অপুর্ব মাস শেষে বাসা ভাড়া দিতে গিয়েই কেন হিমশিম খাবে।এসব খুটিনাটি নিয়ে নিত্যদিন ঝগড়া করে পায়েল।অপুর্ব বলে আমার নেই তাতে কি হয়েছে।এজন্য পায়েল আরও বেশি রেগে যায়।মূলতঃ এই কারনেই ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন পায়েল।কারন তার মনে হয় অপুর্ব জীবনে কিছুই করতে পারবে না।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে ব্যারিস্টার কেয়া পায়েলকে বলবে আপনার মানসিক সমস্যা। আপনি ডাক্তার দেখান।কিন্তু পায়েল কি কারন দেখিয়ে ডিভোর্স দিবে তা নিয়ে ব্যস্ত।তখন তার বান্ধবী জানতে চায় পায়েল কি করবে।তখন ব্যারিস্টার বলেন পায়েল যেসব কারন দেখায় তাতে ডিভোর্স তো হবেই না।বরং পায়েলকেই ফাসিয়ে দিতে পারে।তাই তিনি বললেন যথার্থ কারন বলতে হবে।তখন পায়েলকে তিনি বলবেন আপনার হাসবেন্ড পরকীয়া করে এটা যদি প্রমান সহ দেখানো যায় তবে ডিভোর্স হয়ে যাবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে কেয়া পায়েলের বান্ধবীর হাত ভেঙে যায়। কেয়া পায়েল তার বান্ধবীকে হোস্টেল থেকে নিজের বাসায় আসতে বলেন।আর বলেন সুস্থ হলে এখান থেকে চলে যাবে।তার আগে যেতে পারবে না।এখানে বান্ধবী থাকতে থাকতে অপুর্বর সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে।অপুর্ব কে নিয়ে ফুচকা খেতে যায়।অপুর্ব কে শার্ট গিফট করে।এসব কিছুই পায়েলের চোখে পরে যায়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
একদিন কেয়া পায়েলের বান্ধবী এসে তাকে বলে অপুর্ব কে সে নিজে ভালোবেসে ফেলেছে। কেয়া পায়েল ডিভোর্স দিয়ে দিলেই তারা দুজন বিয়ে করে সুখে সংসার করবে।কেয়া পায়েলকে সে আরো বলে তাড়াতাড়ি অপুর্ব কে ডিভোর্স দিয়ে দিতে।এতো সুন্দর কারন পেয়ে কেয়া পায়েল এখন কি করবে?? অপুর্বকে কি ডিভোর্স দিয়ে দেবে?? নাকি রেগে গিয়ে কিছু একটা করে বসবে?? এসব জানতে হলে অবশ্যই নাটকটি আপনাদের দেখতে হবে।আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে।দেরি না করে আশাকরি আপনারা ও নাটকটি দেখে নেবেন।
আমার মতামত
নাটকটি বাস্তবতা সমৃদ্ধ একটি নাটক।আশাকরি আপনাদের কাছে নাটকের রিভিউটি পড়ে নাটকটি ভালো লাগবে।আমাদের সমাজে কেয়া পায়েলের মতো অনেক নারী আছেন যারা তার হাসবেন্ডের সৎ আয়ের অল্প টাকায় তুষ্ট নয়।তারা পাশের মানুষগুলোর ভালো কিছু দেখলে অনেক বেশি হিংসায় ভোগে।যে নারীর কাছে সৎ,ভালো একজন হাসবেন্ডের চাইতে টাকা -পয়সার মূল্য অনেক বেশি।আমরা কেয়া পায়েলের মতো এমন ওয়াইফ অনেক দেখতে পাই আমাদের এই সমাজে।সত্যি কথা বলতে অন্যের কি আছে না আছে তা দেখে হিংসায় জ্বলা ভালো কথা নয়।বরং এখন সমাজে টাকা -পয়সার চাইতেও সৎ মানুষের পাশে থাকা ভীষণ জরুরি।আর এতেই প্রকৃত সুখ।এই উপলব্ধি কেয়া পায়েলের হয় যখন তার বান্ধবী আর অপুর্ব ব্যারিস্টারের কথায় ভালোবাসার অভিনয় করে যায়।ঠিক তখন পায়েল তার ভুল বুঝতে পারে।আর তখন ব্যারিস্টার এসে সবকিছু পায়েলকে জানান।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার। আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে।আর সবাইকে নতুন নতুন রেসিপি করে খাওয়াতে ভীষণ
ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি । আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর অপূর্ব নাটক আমার কাছে সব সময় খুবই ভালো লাগে। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
এই নাটকটার রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। নাটক দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি। আর তেমনি নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তেও ভালো লাগে। কেয়া পায়েল প্রথমে অপূর্বকে ডিভোর্স দিতে চাইলেও, শেষ পর্যন্ত সে তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। অর্থের চেয়ে সৎভাবে অর্জন করা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই নাটকের মূল কাহিনীটা অনেক দারুন ছিল। আমি তো ভাবছি যখন সময় পাবো তখন এই নাটকটা দেখব। আশা করছি নাটকটা দেখতে খুব ভালো লাগবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এই নাটক এর রিভিউ দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দরভাবে আপনি এই নাটকের সবগুলো বিষয়বস্ত ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আর অপূর্ব এর নাটক গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে৷ এই নাটকটিও অনেক সুন্দর হয়েছে৷ যা আপনার এই রিভিউ দেখে বুঝতে পেলাম৷ চেষ্টা করব এই নাটকটি সময় করে দেখে নেওয়ার৷
অনেক ভাল লাগলো মন্তব্য পেয়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
অপূর্ব এর নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আর আপনি চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন আপু।আসলে বাস্তবে এমনটা হয় একটি সুন্দর সম্পর্ক ঠুনকো চাহিদার কারনে নষ্ট হয়ে যায়।কিন্তু টাকার চেয়ে সৎভাবে উপার্জন করাটা অনেক শান্তির সেটা সবাই বোঝে না।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ দিদি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। আসলে এই নাটকটি দেখার জন্য তেমন একটি সুযোগ হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে দেখার জন্য ইচ্ছে পোষণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
অন্যের উন্নতির সঙ্গে যদি নিজেদের তুলনা করা হয় তাহলে সে সংসারে কখনো শান্তি আসে না। কেয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাই তো সে অপূর্ব কে ডিভোর্স দেয়ার জন্য বিভিন্ন বাহানা খুঁজছে। এখন নিশ্চয়ই কেয়া তার বান্ধবীর প্রতি জেলাস হয়ে যাবে। এমন জায়গায় শেষ করলেন আপু। যাই হোক নাটকটি বেশ ভালো মনে হলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
Twitter link
আসলে টাকা পয়সার মধ্যে প্রকৃত সুখ কখনোই পাওয়া যায় না। টাকা পয়সা থাকলেই মানুষ সুখী হয় না। কেয়া পায়েল যদিও বিভিন্ন কারণ খুঁজছিল অপূর্বকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য কিন্তু প্রথম দিকে কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তার বান্ধবীর হাত ভাঙ্গার পর তখন তার বান্ধবী কেয়া পায়েলের বাসায় এসেছিল এবং অপূর্বের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছিল তাদের। তখন কেয়া পায়েল ও দেখেছিল দেখছি। আমি তো ভাবতেছি কেয়া পায়েল শেষ পর্যন্ত কি করেছিল। আমি অবশ্যই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব।
অনেক ধন্যবাদ আপু।অবশ্যই নাটকটি দেখবেন আশাকরি।
বাহ্ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আপনি শেয়ার করেছেন আপু।নাটকের কাহিনীটি বেশ ভালো লেগেছে আমার।অপূর্ব কেয়া পায়েলের জুটি টা বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেও।