আজকে আমি একটা কাল্পনিক গল্প বলবো মজার ঘটনা ১৫/০৬/৩০২৩ ইং
কমিউনিটির সকল সদস্য গণ আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি একটা কাল্পনিক গল্প বলবো। ছোট্ট বেলায় যখন সকাল বেলা মাদ্রাসাই পড়তে যায়তাম তখন পড়ার শেষে হুজুর একটা করে কেচ্ছা বা কাল্পনিক গল্প বলতো। আমরা মুগ্ধ সুনতাম আনেক ভালো লাগতো। সেই রকম ভাবে আজকে আমি একটা কাল্পনিক গল্প বলবো সুনে আনেক মজা পাবেন।
[সোর্স ](Image by vecstock on Freepik)
গল্প শুরু:
এক দেশে এক গরীব কৃষক বাস করতো তারা খুব গরীব ছিলো। ঐ কৃষকের তিনটি ছেলে ছিলো তারা খুব চালাক বেক্তি ছিলো। ওরা তিন জন কোন কাজ করতোনা সারা দিন বসে থাকতো এক দিন তার বাবা মারা গেলো ওদের মা আগেই মারা গিয়েছিল এখন তারা কি করবে ভাবতেছে তারা এক পযার্য়ে সিদ্ধান্ত নিলো তারা সবাইকে বুদ্ধি দিবে বুদ্ধি দিয়ে টাকা নিবে ওরা তিন জন খুব অলস ছিলো কোন কাজ করতে চায়ছিলোনা মানুষকে ঠকায়ে টাকা নিতো। সেটাও আর বেশি দিন টিকে নাই কারণ ওই দেশে খুব অভাব পড়ে ছিলো। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলো তিন জন মিলে অন্যদেশে চলে যাবে। এক দিন তারা তিন জন রওনা দিলো। তিন জন মিলে চলতে শুরু করলো তারা অনেক দিন হাটার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লো তাদের কাছে আর কোন টাকা ছিলো না টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিল। তারপরও তারা হাটা সুরু করলো কিছু খন যাওয়ার পরে দেখতে পেলো সামনে তিনটি রাস্তা একটা রাস্তা থেকে তিন দিকে তিন রাস্তা চলে গেছে এখন তারা সিদ্ধান্ত নিলো তিন জন তিন রাস্তা দিয়ে যাবে।
[ সোর্স ](Image by vecstock on Freepik)
তারা তিন জন তিন দিকে রওনা দিলো একজন ডান দিকে সে হইলো তাদের বড় ভাই। আর বাম দিকে যিনি রওনা দিলো সে হইলো তাদের মেঝো ভাই। আরেক জন যিনি সব ছোট তিনি রওনা দিলো সামনে দিকে সুজাসুজি এখন আমি আলোচনা করবো ছোট জনের কথা কারন তার কাহিনী ওদের চায়তে লম্বা কাহিনী যায় হক শুরু করি।
ছোট ভাই চলা শুরু করলো চলতে চলতে অনেক দুর চলে গেলো। সামনে একটি গাছের নিচে বসে পড়লো ঐই দিন চলে গেলো রাতোও চলে গেলো পেটে কোন খাবার নেই ক্ষুদার্থ শরীর নিয়ে বসে আছে। পরে দিন সকাল বেলা এক বেক্তি ওখান দিয়ে যায় তার একটি কাজের মানুষ দরকার তাই তিনি জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি কাজ করবা সে কোন কথা বলেনা সে অনেক বার জিজ্ঞেস করলেন পরে তিনি বল্লেন আমি খুব ক্ষুদার্থ আমাকে কিছু খাবার দিবেন লোকটির মায়া হলো তাই তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলো এরপর তাকে খাবার দিলো। খাবার খেয়ে খুব ভালো লাগলো লোকটা তখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার বাড়ি কোথায় সে বল্লো আমার বাড়ি নাই এরপর ওই লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলেন তোমার কে কে আছে সে বল্লো আমরা তিন ভাই তখন ওনি বল্লো তারা কোথায় সে বল্লো আমি জানিনা। লোকটির মায়া হলো তখন তাকে বল্লো তুমি আমার এখানে থাকো আমার একটা কাজের লোক দরকার এই বলে চলে গেলো কিছু খন পরে চলে আসলো তাকে ডাক দিয়ে বল্লো তোমার কি এখন ভালো লাগতেছে সে বল্লো হা আমার ভালো লাগতেছে তখন তাকে কাজ করার জন্য বল্লো আসো তোমাকে কাজ দেখিয়ে দেয় এরপর কাজ দেখায়ে দিয়ে লোকটা চলে গেলো। সেই ভাবলো কাজ পরে কারমুনি এখন একটু ঘুমায় পরে কাজ করবো। অনেক দিন ঘুমাইতে পারেনাই অনেক দিন হাটছে তাই শরীরটা ক্লান্ত সে যখন ঘুমাইলো এক ঘুমে সারা দিন চলে গেলো ওই লোকটি এসে দেখে সন্ধ্যা হয়েছে কোন কাজ করে নাই রাগান্বিত হয়ে বলো এখন পযন্ত কোন কাজ করো নাই কেন সে বল্লো শরীরটা খুব ক্লান্ত ছিলো তাই ঘুমাইছি সেই দিন আর কিছু বল্লোনা। পরেদিন আবার কাজ করার জন্য বল্লো সে চলে গেলো কাজ কাজ করার জন্য কিন্তু সে ছিলো অলস কোন কাজ করতে পারনা তাই কোন কিছু না বুঝতে পেরে ফসল কাটতে শুরু করলো কিছু খন পরে লোকটি চলে আসলো এসে দেখে তার ফসল নষ্ট করে ফেলেছে তাই তিনি রাগান্বিত হয়ে চলে যেতে বল্লো। ছোট ভাইটি চলে গেলো কি করবে আর কোন কাজ করতে পারেনাতো। কিছু দুর চলে গেলো সে এক গাছের নিচে বসলো আর ভাবা শুরু করলো এখন কি করবে এমন সময় আরো তিন জন বেক্তি সেখান দিয়ে যায়, যায় কি যেন বলতেছে তখন তিনি তাদের বলতেছে ভাই আপনাদের কি হয়েছে। এরাও ওদের মতো তিন ভাই এরপর আবার জিজ্ঞেস করলেন ভাই কি হয়েছে বলেন তখন একজন বল্লো আমাদের বাবা মারা গেছে কিন্তু তিনটি জিনিস রেখে গিয়েছে সেই জিনিস গুলো ভাগাভাগি করতে হবে সেই জন্য আমাদের এলাকার মাতাব্বর কাছে যায়তেছি। সে বলো এই বেপার এটা কোন সমস্যা হলো তিন জন মিলে তিনটি জিনিস একটা করে তিন জনে তিনটা নিয়ে নেন। তখন তারা তিন জন বল্লো নারে ভাই আমাদের তিন জিনিস এর মধ্যে একটা জিনিস নিয়ে মারামারি সে বলতেছে এটা আমি নিমু আর ওয়ো বলতেছে এটা আমি নিমু, আমি বলতেছি এটা আমি নিমু এখন বলেন কিভাবে ভাগ করবো। সে তখন মনে মনে ভাবে এটার মধ্যে কি আছে জানতে হবে তখন বুদ্ধি করে বসতে বল্লো তখন তারা তিন জন বল্লো নারে ভাই আমাদের মাতাব্বর কাছে যেতে হবে। এরপর সে চালাকি করে বল্লো এটা আমি সুন্দর ভাবে ভাগ করতে পারবো তখন তারা রাজি হলো এরপর বসে পড়লো সে তখন জিজ্ঞেস করলেন জিনিস তিনটি কয় তারা তখন বের করলো।সে আবার জিজ্ঞেস করলেন এই জিনিসটা সবাই নিতে চান কেন ওদের মধ্যে একজন বল্লো এই তিনটি জিনিস একটা গুন আছে তখন সে বল্লো কিসের গুন। গল্পের শুরুতে বলেছি ওরা কিন্তু খুব চালাক। তাই সে চালাকি করে জানতে চাচ্ছে তখন তারা বলা শুরু করলো। তিনটি জিনিস হলো : ১। জায়নামাজ ২। সুরমাদানী ৩। ছোট্ট একটা মানি বেগ, সেই বল্লো এগুলোর কাজ কি? তখন তারা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে শুরু করলো যে জায়নামাজ বিছিয়ে আপনি যে কোন জায়গায় যেতে পরবেন আর সুরমাদানির সুরমা চখে দিলে আপনাকে কেউ দেখতে পাবেনা।আর তিন নাম্বারটা টাকার বেগ আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন বালিশের নিচে মানি বেগ রেখে দিলে সকাল বেলা বালিশের নিচে অনেক গুলো টাকা দেখতে পাবেন । আমরা তিন জন মানি বেগ চায় তখন সে ভাবে অনেক দিন পরে আমি লোক পায়ছি তাদের বুকা বানি এই জিনিস গুলো নিয়ে চলে যামু। তখন মনে মনে বুদ্ধি করতে থাকে কি ভাবে বুকা বানানো যায় এমন সময় একটা বুদ্ধি বের করলো তখন তাদের বল্লো আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে যুদি মানো তাহলে বলবো। তাদের মধ্যে একজন বল্লো বুদ্ধি যদি ভালো হয় তাহলে মানবো তখন বল্লো আমি একটি তীর নিক্ষেপ করবো যে আগে আনবে সেই পাবে মানিবেগ তখন তারা রাজি হলো ভাবলো এটাতো ভালো বুদ্ধি। তখন সে বল্লো এই গুলি রাখো আমি তীর নিক্ষেপ করবো যে আগে আনবে সেই পাবে মানিবেগ। এরপর তীর নিক্ষেপ করলো তখন তারা তিন ভাই দোউরাতে সুরু করলো যখন তারা মাঝামাঝি চলে গেলো তখন সব কিছু নিয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে সে চলে গেলো তখন তা তীর নিয়ে এসে দেখে সে নাই। এই ভাবে সে ওদের ঠকিয়ে সব কিছু নিয়ে চলে গেলো। এই ভাবে কিছু দিন চলে গেলো সে এখন অনেক টাকার মালিক এবং একটা বাড়ি বানাইছে। একদিন ও-ই এলাকায় জমিদারের মেয়ে দেখতেছে এই ছেলেটি অনেক সুন্দর আর অনেক টাকা মালিক। মেয়েটি ছেলেটির কাছে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় ছেলেটি রাজি হয়। এই ভাবে প্রেম করে প্রেম করতে করতে অনেক দিন চলে যায় মেয়েটি ছেলেটির কাছে জিজ্ঞেস করে তুমি এত টাকা পাও কয় এর বিশ্বাস করে সব কিছু বলে দিলো এগুলো শুনে মেয়েটি অনেক অবাগ একদিন মেয়েটি ছলনা করে সেও সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। আজকে এই পযন্তই সবাই ভালোথাকবেন।
পরো গল্পটি কাল্পনিক কেউ সত্যি মনে করবেন। গল্পটি যদি সবার ভালো লাগে তহলে কমেন্ট করবেন তাহলে আমি পরের পাঠ নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনার এই পোস্টে প্রচুর বানান ভুল আছে। তাছাড়া আপনার ভাষাগত দক্ষতায় বেশ দুর্বলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কমিউনিটিতে ভালো সাপোর্ট পেতে গেলে অবশ্যই আপনার ভাষাগত দক্ষতার উন্নতি ঘটাতে হবে।