গাজরের হালুয়া
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লা ভলো আছি। আমি ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসি💞।তাই বার বার আামার নিজের আঁকা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করি🥰।আজ তার ব্যতিক্রম।আজ আমি আপনাদের সাথে আরও একটি রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
আজ আমি একটি গাজরের হালুয়া রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গাজরের হালুয়া অনেকেই অনেক রকম ভাবে রান্না করে।তবে আমি আজ একটু ইউনিক করার চেষ্টা করেছি।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দেই আমার রেসিপিটি।
রেসিপিটি তৈরি করতে আমার যা যা উপকরণ লেগেছে তা হল :
১গাজর.
২.আলো চাল
৩.দুধ
৪.গুরা দুধ
৫.কাজুবাদাম
৬.কাঠবাদাম
৭.চিনাবাদাম
৮. চিনি
৯. লবন
১০.দারুচিনি
১১.সাদা এলাজ
১২.তেজপাতা
১৩.খেজুর
১৪.নারকেল
১৫.কিসমিস
এবার আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমি কিভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছি উপকরণগুলো ব্যবহার করে:
প্রথমে আমি গাজর গুলোকে একটি কাটারের সাহায্যে চিকন করে কেটে নিয়েছি।
এবং আলো চাল গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি আমি এখানে অল্প পরিমাণে আলো চাল ব্যবহার করেছি।
এরপর ধুয়ে রাখা আলো চাল ও কেটে রাখা গাজ আমি প্রেসার কুকারের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
আমি এরপর আরও কিছু ইনগ্রিডিয়েন্স এর সাথে এড করেছি যেমন সামান্য পরিমাণে লবণ, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, চীনা বাদাম, নারকেল কুরো, কিসমিস,বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন সাদা এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, খেজুর, চিনি এড করেছি।
এরপর সবকিছু দিয়ে মেখে প্রেসার কুকারে ঢাকনা বন্ধ করে সিদ্ধ করতে দিয়েছি। প্রায় দশ মিনিটের মতো সিদ্ধ করে নিয়েছি। পর আমি দুধ এড করেছি। আমি এখানে দু'রকমের দুধ এড করেছি। একটি হল লিকুইড দুধ অপরটি হল গুঁড়া দুধ। আমি মূলত স্বাদ বাড়ানোর জন্য অ্যাড করেছি গুর দুধ।
এরপর পাঁচ মিনিটের মতো জ্বাল করে নিয়ে আমি নামিয়ে নিয়েছি হটপটে গরম গরম। এবং রেসিপিটি সুন্দর দেখানোর জন্য আমি কিছু খেজুর কেটে উপরে ছিটিয়ে দিয়েছি এতে রেসিপিটি দেখতে আরো সুন্দর হয়েছে এবং খেতেও দারুন হয়েছে।
আপনারা হয়তো অনেকেই এরকম ভাবে গাজরের হালুয়া তৈরি করেছেন। আমি আমার মতো করে একটি বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার রেসিপিটি কেমন হয়েছে আপনারা বাড়িতে বানিয়ে খেয়ে দেখলেই বুঝবেন। আমার কাছে অনেক সুস্বাদু লেগেছে।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। আমার রেসিপি টি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
hr>
আমি তাইয়্যেবা সরকার শ্যামা। আমি বাঙ্গালী। বাঙ্গালী হিসেবে আমি গর্ব বোধ করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। সময় পেলে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ঘুরি। আমি ছবি আঁকতে এবং নতুন কিছু তৈরি করতে ভালোবাসি। বই পড়তেও ভালো লাগে। এছাড়াও আমি অন্যের মতামতকে সম্মান করি। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পছন্দ করি। সবসময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করি এবং নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো আমার ভালো লাগে।
বিষয়:গাজরের হালুয়া রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ....
গাজরের হালুয়া এই রেসিপিটি আমি কমিউনিটিতে এর আগেও অনেকবার দেখেছি। আপনার এই গাজরের হালুয়া রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকার ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।আসলে এক এক জনের রেসিপি এক এক রকম হয়। যদিও বা যে পোস্টের কথা আপনি বলছেন সেটা আমার চোখে পরেনি এখন অবদি। তবে আমি কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি চাল দিয়ে।
গাজরের হালুয়া যেটা দারুন একটা রেসিপি। আমাদের প্রতি বছর গাজর চাষ রয়েছে কিন্তু কখনো এভাবে হালুয়া রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। গাজরের হালুয়া রেসিপি নাকি খুবই টেস্টি । যেটা আপনার রেসিপি তৈরি দেখে খেতে ইচ্ছে করলো। ভালো লেগেছে এত সুন্দর করে গাজরের হালুয়া রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। খেয়ে দেখবেন।
খুব সুন্দর একটা রেসিপি আপনি আজকে শেয়ার করেছেন আপু। গাজরের হালুয়া আমার খুবই পছন্দ। আপনার গাজরের হালুয়া করার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমন একটা রেসিপি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গাজরের হালুয়া খেতে বেশ ভালোই লাগে।যদিও আমি কোন চালেই ব্যবহার করিনি,আমি শুধু গাজর দিয়ে রান্না করি।আপনার কাছে একটু ভিন্ন রকম রেসিপি দেখলাম।ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে। চাল দিয়ে বানিয়ে দেখবেন। খেতে দারুণ মজাদার
আপনি তো দেখছি বেশ ইউনিক ভাবে হালুয়া তৈরি করেছেন। গাজরের হালুয়া আমার আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। গাজরের হালুয়া আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। কিন্তু আমি অনেকবার অনেকের কাছে এটা দেখেছিলাম। আর আজকে দেখছি আপনিও অনেক সুন্দর করে এটা তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখে আমি গাজরের হালুয়া তৈরি করার পদ্ধতি সহজেই শিখে নিতে পেরেছি, ভাবতেছি কখনো পারলে আমি এই হালুয়া তৈরি করব। নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলেন এই রেসিপিটা।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট দেখে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আর আামার তৈরি বলে বলছি না। খেতে সত্যি অনেক মজার হয়েছে।
গাজরের হালুয়া খেতে অসাধারণ সুস্বাদু লাগে। আর আপনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে গাজরের হালুয়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গাজরের হালুয়া তৈরিতে গুঁড়ো দুধের ব্যবহারটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে এবং ধাপে ধাপে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। গাজরের হালুয়া অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি এটি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গাজরের হালুয়া দেখেই তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না একেবারে। গাজরের হালুয়া যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি, আপনার মাধ্যমে দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে প্রচুর পরিমাণে। অনেক মজাদার ভাবে দেখছি আপনি এই গাজরের হালুয়া তৈরি করেছিলেন। কেউ চাইলেই কিন্তু শিখে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে এটা তৈরি করার পদ্ধতি। আমার তো এখন ইচ্ছে করতেছে এটা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলতে। টেস্ট নিশ্চয়ই ভারি মজার ছিল এটা।
বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আসলেই এটি অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।