দাদির বাড়ি ঘুরে আসার কিছু স্মৃতিচারন মূলক পোস্ট
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আজ আমি আমার দাদুবাড়ি সম্পর্কে কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে।
আজ আমি প্রায় পনেরো বছর পর আমার দাদুবাড়ি গিয়েছি। যদিও আমার নিজের দাদু নেই।জন্মের পর দেখিনি দাদু দাদি কাউকেই।তবে আজ ঘুরে এলাম আমার বাবার মামাবাড়ি। নিজের দাদু দাদি নেই কিন্তু আজ যে দাদিবাড়ি গিয়েছি তারাও কম কিছু নয়।
আমার দাদিবাড়ি সৈয়দপুর, বেনিরহাট।আমি শুধু দাদি বলছি কারন আমার দাদু বেঁচে নেই। এখানে প্রথম গিয়েছিলাম দাদু যেদিন মারা যায় সেই দিন। তখন আমি ক্লাস ওয়ান এ পড়তাম। আজ প্রায় পনেরো বছর পরে আবার গেলাম। দাদি বাড়ি পৌঁছাতে প্রায় বারটা বেজেছে। আমি, আম্মু, আব্বু, নানি, আমার বড় বোন ও দুলাভাই এবং আমার একমাত্র আদরের ভাগ্নে গিয়েছি দাদুবাড়ি। অনেক দিন পরে দাদিকে সুস্থ দেখে অনেক ভালো লাগলো।দাদিও এতোদিন পরে আমাদের দেখে অনেক খুশি। হাতমুখ ধুয়ে হালকা নাস্তা করলাম। দাদির সাথে অনেক গল্প করলাম। দাদির কথা গুলো অনেক সুন্দর। দাদি অনেক আগের মানুষ।সে সময়ে দাদি পড়াশোনা শেষ করেছে। তার কথার মাঝে সেই শিক্ষার ছোঁয়া বোঝা যায়। দাদি গল্পের মাঝে আামাদের সাথে শেয়ার করলো দাদু দাদির প্রথম দেখা, যেটা আমাদের গল্পটাকে আরও জমজমাট করে তুললো। দাদির সাথে গল্প শেষে বাড়ির আসেপাশে একটু ঘুরে দেখলাম। আমার ভাগনে ঢাকায় থাকে। অনেক দিন পরে খোলা মাঠ পেয়ে সেও অনেক মজা করেছে। দাদি অনেক মজার মজার পিঠা বানিয়েছিলো।নোনাস পিঠা,রুটি পিঠা, মাছ পিঠা,পাতা পিঠা আরও নাম না জানা অনেক পিঠা। খেতে দারুণ মজা লেগেছে।
ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার পালা। দাদিকে ছেরে আসতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু কি করার আসতে তো হবেই।আাসার সময় সেই মায়াবী মুখ এখনো চোখে ভেসে উঠছে।
আসার সময় বাসে উঠার সময় বাসের কন্টেকটর বলেছে বাসে সিট আছে কিন্তু বাসে উঠে দেখি সিট নেই।একদম শেষে জায়গা ছিল। ওভাবে এসে নীলফামারী চৌরঙ্গী তে নামবো ঠিক সেই সময় কন্টেকটর বাস ভারা বেশি চায় । এটা নিয়ে অনেক তর্ক হয়েছে বাস কন্টেকটরের সাথে। বাস থেকে নেমে অটোতে উঠার সময় সেই একই ঘটনা ভারা বেশি চায়। আজকের দিনে এই বিষয়টি দূর্নীতিতে পরিনত হয়েছে। আমাদের এই বিষয়টি সমাজের চোখে তুলে ধরা উচিত এবং এই দূর্নীতি রোধ করা উচিত।
বন্ধুরা আজ এখানেই । পরবর্তীতে আবার নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো আপনাদের সামনে।
বাহ দারুন ছিল ঘটনাটা আসলে দাদা দাদির আদর হয়তো সবার কপালে জোটে না। যেমনটা আপনি সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু আপনার বাবার মামার বাড়িতে গিয়ে সেই আদর পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে
দাদিরা থাকলে এমন অনেক ধরনের পিঠা বানায়, এবং তাদের সঙ্গে গল্প করতে খুব ভাল লাগে। আমার দাদু ও বাড়িতে গেলে এমন অনেক মজার মজার পিঠা বানিয়ে খাওয়ায়, বেশ ভালো লাগে ।তবে আপনার কাছে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পিঠার নাম শুনলাম। যেহেতু আপনার ভাগ্নে ঢাকায় থাকে তাই সেই গ্রামের খোলামেলা প্রকৃতিতে খুব ভালো ঘুরে বেড়িয়ে গেছে উপভোগ করেছে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই খুব ইনজয় করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকবেন