"আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৬৪" || দই কাতলা রেসিপি||
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
প্রথমেই আমার বাংলা কমিটির ফাউন্ডার দাদা,মডারেটর কে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটি রেসিপি প্রতিযোগিতায় আয়োজন করার জন্য।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় আয়োজিত -৬৪ শেয়ার করো তোমার সেরা মাছের রেসিপি। আর এই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার জন্য আমি বেছে নিয়েছি মজাদার দই কাতলা রেসিপিটি।
দই কাতলা রেসিপিটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে কারণ বাঙ্গালি মানেই দই কাতলা।বাঙ্গালির উৎসব মানেই দই কাতলা।অথিতি অপ্যায়নে দই কাতলার কোন জুড়ি নেই।বিয়ে বাড়িতে দই কাতলা না হলে যেন খাবারের অপূর্ণতা রয়ে যায়।
দুই কাতলা পোলাও, সাদা ভাত সবার সাথেই খেতে ভালো লাগে।দই কাতলা খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি রেসিপি।
তো চলুন দেখা যাক সুস্বাদু দই কাতলা রেসিপিটি কি ভাবে তৈরি করলাম।
১.কাতলা মাছের পিস | ৬ পিস |
---|---|
২.টক দই | ৫০০গ্রাম |
৩.রসুন বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
৪.আদা বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
৫.কাজু বাদাম বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
৬.জিরা বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
৭.ধনিয়া বাটা দুই টেবিল চামুচ | |
৮.ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
৯.দারুচিনি | চার পিস |
১০.লবঙ্গ | ছয় পিস |
১১.এলাচ | পাঁচ পিস |
১২.লবন | স্বাদ মতো |
১৩.হলুদ | অল্প পরিমাণ |
১১.কাঁচা মরিচ | পাঁচ টি |
১২.কাঁচা মরিচ বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কাতলা মাছ কেটে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি ও লবন ও হলুদ দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখেছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো ভোজ্য তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও আগে থেকে লবন হলুদ দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখা কাতলা মাছের পিস গুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন মাছ ভাজা তেলেই দারুচিনি, সাদা এলাচ,এলাচ,লবঙ্গ,তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ফোঁড়ন দেয়া তেলে পেঁয়াজ বাটা দিয়েছিও তাতে সব গুলো উপকরণ দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন সব গুলো উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি ও ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন কাজু বাদাম বাটা দিয়েছি ও মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি। ততক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি যতোক্ষণ তেল উপরে না উঠেছে।
সপ্তম ধাপ
এখন কষানো মসলায় আগে থেকে ফ্যাটিয়ে রাখা টক দই দিয়েছি ও খুব ভালো করে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিয়েছি। টক দুই খুব ভালো করে ফ্যাটিয়ে নিতে হবে নইলে দুই কেটে যাবে।
অষ্টম ধাপ
এখন কাতলা মাছের পিস গুলো দিয়েছি ও তা ভালো করে ফুরিয়ে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন কাঁচা মরিচ দিয়েছি ও আরো কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি। দই কাতলা গুলে মাখা মাখা হয়ে গেছে নামানোর আগে একটু চিনি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার বাংলা ব্লগের আয়োজিত শেয়ার করো তোমার সেরা মাছের রেসিপি। আশা করছি খুব ভালো লাগবে আপনাদের। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | প্রতিযোগিতার রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
প্রতিযোগিতার জন্য আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আপু। আপনার রেসিপিটা দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু, খুবই ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আসলে এ ধরনের রেসিপি দিয়ে ভাত খেতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেসিপি দিয়ে ভাত খেতেই বেশি ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দই কাতলা রেসিপি রেসিপি তৈরির মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার তৈরি করা দই দিয়ে তৈরি করা কাতলা মাছের রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি বেশ দারুন ভাবে প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ দারুন হয়েছে আপনার তৈরি করা রেসিপি টি।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে মাছের রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার লোভনীয় এই রেসিপি দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার এই রেসিপি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জীবনে অনেক ধরনের রেসিপি খেয়েছি তবে দই কাতলা রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনার তৈরি রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। আপনার জন্য এই প্রতিযোগিতায় অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
খেয়ে দেখবেন দাদা খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার প্রস্তুত করা দই কাতলার রেসিপিটি কিন্তু অত্যন্ত আঙুল চেটে খাওয়ার মতো রান্না হয়েছে। বেশ রিচ, হাই ফ্লেভার্ড রান্না৷
রান্নায় কাজু বাটা আলাদাই স্বাদ এনে দেয়৷ সাথে গোটা গরম মশলা দিয়েছেন৷
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে শুভকামনা জানাই।
সত্যি আঙ্গুল চেটে খাওয়ার মতো রেসিপি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুস্বাদু একটা রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। দই কাতলা কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটা রেসিপি দেখতে পারলাম। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপু এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি আপু কখনো বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে বেশ।
দই কাতলা রেসিপি চমৎকার হয়েছে। আপনি চমৎকারভাবে মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কারণেই এই লোভনীয় রেসিপি দেখার সুযোগ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
টক দই দিয়ে বড় কাতলা মাছের দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার রেসিপিটা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। খুবই নিখুঁত ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দই কাতলার লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই রেসিপিটা যে খেতে আমার কাছে কতটা বেশি ভালো লাগে তা বলে বোঝাতে পারবো। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে কাতলা মাছের রেসিপি খাওয়া হয় না।
কাতলা মাছের যে কোন রেসিপি খেতে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।