মিষ্টি পাট শাকের চচ্চড়ি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো পাট শাকের রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
আমাদের এলাকায় মিষ্টি পাট শাক বলতে বোঝায় যে পাট থেকে সোনালী পাট পাই আমরা। এই মিষ্টি পাট শাক খাওয়া হয় না শখের বসে খাওয়া হয় শুধু এই পাটশাক। আমায় যে পাট শাক খাই সব সময় সেগুলোতে মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। আর এই মিষ্টি পাট শাক তেতো হয় না একটু পিচ্ছিল টাইপের খেতে হয় এই পাট শাক।
তবে বেশ ভালই লাগে আমার কাছে খেতে। মিষ্টি পাট শাক কিন্তু কিনতে পাওয়া যায় না। আমাদের এলাকায় কিনতে পাওয়া যায় তেতো স্বাদের পাট শাক।আর এই মিষ্টি পাট শাকগুলো অনেক বড় করা হয় পাট এবং পাট কাঠি পাওয়ার জন্য। তবে আমরা শখের বসে মাঝে মাঝে জমি থেকে তুলে এনে খেয়ে থাকি। এই সময় যেহেতু গাছ খুব বড় হয় নি এবং তরতাজা পাতা পাওয়া যায়। তাই উপযুক্ত সময় এটি পাট শাক খাওয়ার। পাশের বাড়ির জেঠি শাশুড়ি পাটশাক তুলে এনেছিল এবং আমাকেও দিয়ে গেছে। প্রতি বছর উনি এই পাট শাকগুলো তুলে এনে দিয়ে থাকেন। এই শাক খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের এলাকায় পাট শাকের গিট খাওয়ার প্রচলন। পাট শাকের পাতা বড়ো হলে তা গিট দিয়ে খাওয়া হয়। এই পাতার গিট আমি আবার খুব ভালো দিতে পারি।যদি পাট শাক গিট দেয়ার প্রতিযোগিতা দেয়া হয় তবে আমি প্রথম হবো।আর এই পাট শাকের গিট দিতে আমার খুব ভালো লাগে। কিভাবে গিট দিয়েছি তাও আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.পাট শাকের গিট |
---|
২.আলু কুচি |
৩.পেঁয়াজ কুচি |
৪.কাঁচা মরিচ |
৫.লবন |
৬.হলুদ |
৭.পাঁচফোড়ন |
৮.ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি পাট শাকের পাতা গুলো মুছে মুছে বিশেষ পদ্ধতিতে গিফট দিয়ে নিয়েছি। না ধুয়ে মুছে নিয়েছি কারণ ধুয়ে গিট দেওয়া সম্ভব হয় না গিট দেওয়া শাক গুলো রান্নার সময় ধুয়ে দিতে হবে
দ্বিতীয় ধাপ
এভাবে একে একে সবগুলো পাট শাকের পাতার গিট দিয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নিয়েছি শাকের গিট গুলো।
তৃতীয় ধাপ
আলু কুচি করে কেটে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
চুলায় করাই বসিয়েছি এবং পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছে তেল গরম হয়ে গেলে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়েছি। পেঁয়াজকুচি ও মরিচ দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন ভেজে নেয়া পেঁয়াজ মরিচে আগে থেকে কেটে ধুয়ে রাখা আলু কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং লবণ হলুদ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি ও একটু সময় ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
আলু গুলো একটু ভাজা ভাজা হয়ে গেলে সিদ্ধ করে নেয়ার জন্য অল্প পরিমাণ জল দিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন আধা সিদ্ধ আলু গুলোতে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পাট শাকের গিট গুলো দিয়ে দিয়েছি ও খুব ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন হাই হিটে জাল করে নিয়েছি এবং পাট শাকগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছ। শাকও আলু খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং চচ্চড়ি গুলো পুরোপুরি ভাবে হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিল আমার আজকের মজাদার পাট শাকের গিট চচ্চড়ি রেসিপি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
পাট শাক আমার খুবই প্রিয় একটি শাক।আর যদি হয় এরকম মিষ্টি পাট শাকের গিরো তৈরি করে রান্না তাহলে তো আর কথায় নেই।আজকের এই রেসিপিটি দেখে একটা মজার ঘটনা মনে পড়লো।আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম এরকম পাট শাকের ঘি রান্না করা হয়েছিলো তখন ছোট পিসি আর আমি দুজন মিলে এত পরিমানে ভাত খেয়েছিলাম যে শেষে আমরা দুজনে কেউ আর উঠতে পারছিলাম না।😁প্রিয় একটি জিনিস দেখে খুবই লোভ লেগে গেলো।😋লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
পাট শাকের ঘি খাওয়া হয়নি কখনো তবে নাম শুনেই তো মনে হচ্ছে অনেক লোভনীয়। এতটাই বেশি সুস্বাদু যে আপনারা ভাত খেতে খেতে আর উঠতেই পারছিলেন না। এই কথা পড়ে বেশ হাসি পেলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পাট শাক আমি এমনিতেই ভাজি করে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে গিট করে কখনো রান্না করা হয়নি। আপনি আলু দিয়ে অনেক মজা করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে। মিষ্টি পাট শাক রান্না প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
এমনিতেও আমরা খেয়ে থাকি তবে চচ্চড়িতে এভাবে গিট দিয়ে রান্না করে খাই।
দিদি আপনি আজ আমাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করে রেসিপিটি ছিল পাট শাকের চচ্চড়ি। গ্রাম অঞ্চলে এই পাট শাকগুলো খায় না বললেই চলে। তবে পাট শাকের রেসিপি আমি একবার ঢাকাতে খেয়েছিলাম এটি খেতে খুবই স্বাদ হয়। তাই আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে রেসিপিটি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঢাকায় এই রেসিপি খেয়েছিলেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
মিষ্টি পাট শাক কখনো খাওয়া হয়নি। যাই হোক আপনার রেসিপি টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। শাক ভাজি আমার ভীষণ পছন্দ। গরম গরম ভাতের সাথে খুবই ভালো লাগে খেতে। তবে এভাবে গিট মেরে কখনো শাক ভাজি খাওয়া হয়নি। সত্যিই ইউনিক একটা জিনিস দেখলাম আজ। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
গিট মেরে খেয়ে দেখবেন আপু দেখতে যেমন ভালো লাগবে খেতেও।গিট দিতে না পারলে আমাকে নিয়ে যাইয়েন 🙂।
তেতো পাট শাক খেয়েছি কিন্তু পাট শাক কখনো খাওয়া হয়নি আপু। আর এভাবে আলু দিয়ে যে পাট শাক রান্না করা যায় তা আগে জানতাম না। আপনার কাছে এই মজার একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। সত্যি আপু আপনার তৈরি করা এই রেসিপি আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে।
তেতো পাট শাকও এভাবে গিট দিয়ে খাওয়া যায় আপু।ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আপু দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু নিয়ে হয়েছে আপনার এই মিষ্টি পাট শাকের রেসিপিটা , আপনার এই রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে বিশেষ করে এই মিষ্টি পাট শাকের মধ্যে আলুর ব্যবহারটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আলু কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে প্রথমে আলুগুলি প্রস্তুত করে নেয়াটা। অনেক ভালো লাগলো এমন সুন্দর একটি রেসিপি দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার পার্ট শাক রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু এটা শাক জানতাম কিন্তু মিষ্টি পাটশাক তা জানাছিল না। যাইহোক অনেক দিন হলো পাটশাক খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি পাটশাক আমরা কাকে বলি তার বিবরণ আছে পোস্টে।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু মিষ্টি পাট শাক আমার ভীষণ পছন্দ। এই শাক এই সৃজনে আমাদের ঢাকায় বাজারে কিন্তে পাওয়া যায়। আমি প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি এই শাকটি খাওয়ার জন্য।এই শাক আমরা সবসময় ডাল বা ভাজি করে খেয়েছি। কিন্তু আপনার ভাজিটি আজ অনেক ইউনিক মনে হচ্ছে।দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি কিন্তু খুব সহজ করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।এবার পাট শাক এনে অবশ্যই আপনার মত করে রান্না করার ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপু মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে প্রতিটি ধাপে শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা শহরে এই শাক কিনতে পাওয়া যায় জেনে খুব ভালো লাগলো আপু কারণ আমাদের এলাকায় এই শাক কিনতে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি পাট শাককে আমরা নাচ্চার শাক বলে থাকি। আজকে আপনি মিষ্টি পাট শাকের চমৎকার রেসিপি করেছেন। তবে এই শাকগুলো খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে এই শাক রান্না করি। এবং আপনার রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আর শাক খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হয়। সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মিষ্টি পাট শাক কি আপনারা নাচ্চার শাক বলে থাকেন জেনে ভালো লাগলো আসলে একেক জায়গায় একেক নাম হয়ে থাকে শাক-সবজির।ঠিক বলেছেন স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী শাক।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। পাট শাকের চচ্চড়ি কখনো খাওয়া হয়নি। তাছাড়া আমি সবসময় পাট শাক ভাজি করে খেয়েছি। তবে আপনার মতো এভাবে কখনো পাট শাক চচ্চড়ি তৈরি করে খাওয়ানো হয়নি। রেসেপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আমাদের এলাকায় পাট শাক ভাজা খায় এবং এভাবে চচ্চড়ি করেও খায় ভাইয়া। একদিন খেয়ে দেখবেন এভাবে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।