কাকাত ননদের প্রয়োজনে শপিং করতে যাওয়া❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কাকাত ননদ কে সাথে নিয়ে শপিং করার অনভুতি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেশ কিছু দিন থেকেই কাকাত ননদের আবদার সে গাইবান্ধায় শপিং করতে যাবে তো আজকে নিয়ে গিয়েছিলাম।আজ প্রচন্ড রুদ্র। যেমন রোদ তেমন গরম।সুবিধা ছিলো মার্কেট গুলোতে ঈদের আগের মতো উপচে পড়া ভীর নয়।তবে দোকানদার ক্লান্ত না কি অতিরিক্ত বেচাকেনা করে লাভে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে না কি বুঝলাম না।কারণ তাদের জামাকাপড় দেখানোর বিষয়ে উদাসীন ভাব দেখতে পেলাম। একদরের সব দোকান আজ বন্ধ দেখলাম দু একটা খোলা থাকলেও আমাদের পছন্দের জিনিস ছিলো না।প্রথমে তিশার নেইলপালিশ, কাকড়া, বেবি ক্লিপ নেয়া হলো।যদিও বা সে এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে তবুও বেবি ক্লিপের প্রতি টান লক্ষ্য করলাম।
এবার গেলাম রেডিমেড এক দোকানে সেখানে গিয়ে ওর পছন্দের ড্রেস পেয়ে গেলাম।যে কয়েকটা ড্রেস বের করেছে সব গুলো খুব সুন্দর ছিলো। তিশার ড্রেস নেয়ার পর আমার মেয়ের জন্য একটি ড্রেস দেখলাম অতিরিক্ত দাম চাওয়ার কারণে আর নিলাম না এবং অন্য কোন দোকানে ও আর পেলাম না ওই আফগান ড্রেসটি।
এরপর দুজনে পার্লারে গেলাম। উদ্দেশ্য তিশা চুল কাটাবে এবং আমি ভ্র প্লাক করবো। করলামও এবং এরপর আমি একটু মুখটা ম্যাসাজ করে নিলাম।
এরপর হালকা কিছু খাওয়ার জন্য বের হলাম ঠিক করলাম রসমালাই ও সিংগারা খাবো।যাওয়ার পথে ছোট ফ্যান দেখতে পেলাম এবং মেয়ের স্কুল ব্যাগে দেয়ার জন্য একটি ছোট ফ্যান কিনলাম। ওর ফ্যানটি নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্যান কিনে মিষ্টির দোকানে সিংগারা গিয়ে অর্ডার করতেই বল্লো সিংগাড়া নাই।তিশা বল্লো চলো অন্য কোথাও সেখান থেকে রিক্সায় করে গেলাম আর এক নামকরা মিষ্টির দোকানে ওখানে আমি খাই সব সময়।ওমা ওকানেও সিংগারা নেই মিষ্টির ছড়াছড়ি। পিকাপ ভর্তি মিষ্টি আসলো দোকানের সামনে।বল্লো ঈদ পরবর্তী দশদিন শুধুই মিষ্টি থাকবে দোকানে।কি আর করা এবার পায়ে হেটে মোটামুটি ভালো এক হোটেলে গেলাম এবং কাঙ্খিত সিংগাড়া পেলাম ও খেলাম।এর আগে এক কনফেকশনারিতে বিট লবন কিনতে গিয়ে দুজন দুটো আইসক্রিম খেয়েছি ও প্রচন্ড গরমে বেশ ভালোই লেগেছে।
এবার আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিও এসে খেয়ে শুয়ে শুয়ে পোস্ট লিখছিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুনও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কাকাতো বোনদের অনুরোধে শপিং করতে গিয়েছেন। শপিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে শেষে খাওয়া-দাওয়ার প্লান। অবশ্য ঈদের দিন আমি রসমালাই কেনার জন্য গাংনী বাজারে খুব ঘোরাঘুরি করছি কিন্তু পাইনি। কিন্তু আজকে আপনার এই পোষ্টের মাঝে জানতে পেরে আবারও সেই সময়ের কথা মনে পড়ল কোনদিন মিষ্টি কেনার জন্য এত ঘুরাঘুরি করতে হয়নি আমার। ইচ্ছে ছিল প্রিয়জনের সাথে ঐদিন রসমালাই খাব কিন্তু হয়নি। যাই হোক বেশি ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
সত্যি ভাইয়া বেশি ভাগ দোকানের মিষ্টি শেষ। পিক-আপে করে মিষ্টি দোকানে আনতেও দেখেছি।ঈদ পরবর্তী দশদিন না কি এমন হবে বলছিলো দোকানীরা।খারাপ লাগলো জেনে যে ইচ্ছে থাকলেও রসমালাই না পেয়ে ঈদে পরিবার নিয়ে রসমালাই খেতে পারেন নি।
কাকাতো ননদকে নিয়ে দেখি ভালই কেনাকাটা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্ত পড়ে।ঈদের মধ্যে এমনই হয় আপু একটা দোকানেও অন্যান্য খাবার পাওয়া যায় না শুধুমাত্র মিষ্টি আর দই ছাড়া। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ কাকাতো ননদকে নিয়ে কেনাকাটা সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একটু বাহির হতে পারলে কত কাজ করতে হয়। এমনকি পার্লার পর্যন্ত করে ফেললেন। তবে ছোট ফ্যানটার দাম কত নিয়েছে সেটা জানতে পারলাম না। দাম উল্লেখ করেন নি। আমার মেয়ের জন্য একটা কিনবো তাই। ধন্যবাদ।
আপনার কাকাত ননদের আবদার পূরণ করতে গিয়ে গাইবান্ধায় শপিং করতে গিয়েছেন, সেটা তো বেশ ভালো কথা দিদি। তবে গরমের ভিতরে আসলে শপিং করে খুব বেশি একটা মজা হয় না। তারপরও আপনারা টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করেছেন, টুকটাক খাওয়া দাওয়া করেছেন, যেগুলো জেনে খুব খুশি হলাম। ভালো লাগলো দিদি আপনার পোস্টটা পড়ে।