চিনির নারিকেল নাড়ু রেসিপি
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
শারদীয় শুভেচ্ছা সবাইকে।নমস্কার আদাব।কেমন আছেন সবাই।আশা করছি সৃষ্টি কর্তার কৃপায় সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।হিন্দুদের সব চেয়ে বড়ো উৎসব এই দূর্গা পুজো।আর এই পূজোর দিনে সবাই নিজেকে রাঙ্গিয়ে তোলার চেষ্টা করে নতুন সাজে।সব কিছু পরিপাটি না হলে যেন পূজো অসম্পূর্ণ রইয়ে যায়।আর খাবারেও আনা হয় নতুনত্ব আর পুজো উপলক্ষে সব থেকে পছন্দের খাবার হিসেবে বানিয়ে নেয়া হয় নাড়ু মোয়া,মুড়ি,চিড়ে,নারকেলের নাড়ু,তিলের নাড়ু বাড়িতেই পাতানো দই,মিষ্টি,সন্দেশ এক কথায় সব কিছুই বাড়িতে তৈরি করা হয়।ছোট বেলায় দেখেছি দশমীর দিন আশেপাশের বাড়ির সবাই আমার দিদুকে প্রনাম করতে আসতো আর দিদু তাদের কে নাড়ু খাইয়ে দিতো।এক পট নাড়ু নিয়ে বসে থাকতো সকাল সকাল, যে আসতো তাদের কেই নাড়ু দিতো কেউ বা পাত পেরে বসে দই চিরা,নাড়ু,মুরকি এসব খেতো।তো দিদুকে নাড়ু বানাতে দেখতাম খুব সহজ পদ্ধতিতে আর সেখান থেকেই শেখা।
তো চলুন রেসিপিতে
নারিকেল কোড়া |
---|
চিনি |
সাদা এলাচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি বেশ কয়েকটি নারিকেলর খোসা ছড়িয়ে নিয়েছি। নারিকেলর খোসা ছড়িয়ে দিয়েছে আমার বাড়ির সব কাজের দায়িত্বে থাকা বুদা দাদা।দাদা কে দিয়ে পূজোর সব কাজ করে থাকি আমরা।আরও একজন আছে মহিলা তবে সে এসব কোন কাজ করতে পারেন না।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি বুদা দাদাকে দিয়ে নারকেল গুলো সব ফাটিয়ে নিয়েছি প্রথমে একটি কলাপাতা পেতে নিয়েছি তারপর একটি নারকেল কুরুনির সাহায্যে কুরুে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আমি একটি চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও
নারিকেল কোড়া গুলো দাদার কাছ থেকে চিনি দিয়ে সুন্দর করে মেখে নিয়েছি । ধীর আচে নারকেল গুলো নারাচারা করে করে ভেজে নিয়েছি ও তাতে সাদা এলাচ গুড়ো করে দিয়েছি ও নাড়ুর পাক না আসা অবদি ভালো করে নারাচারা করেই যাচ্ছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি অনবরত নারিকেল গুলো নারাচারা করতে করতে চিনির যখন আঠালো ভাব চলে এসেছে এবং নারকেল কোড়া থেকে তেল বেড়িয়ে এসেছে তখন নামিয়ে নিয়েছি। এই চিনির নারিকেল নাড়ু বানানো একটু কঠিন কারণ এর পাক একটু বেশি হলে আর গোল আকার করা সম্ভব হয় না।আবার নরম থাকলেও শক্ত হয় না। তাই খুব সতর্কতার সাথে নাড়ু করতে হয়।
পঞ্চম ধাপ
এখন আমি একটু একটু করে নারকেলের পুর হাতে নিয়ে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে দিয়ে নাড়ুর আকার মানে গোল গোল করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার একে একে সব গুলো নাড়ু করা শেষ হয়ে গেছে তাই একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি। এই ছিলো আমার আজকের নারকেল নাড়ুর রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এ পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন।
বাহ খুবই চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই নাড়ু খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক দিন হয়েছে বানানো হয় না। আপনার নাড়ু দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নাড়ু খেতে সাবার খুব ভালো লাগে।আমিও পূজো উপলক্ষে বানিয়েছি এক বছর পর।ধন্যবাদ সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।
নারিকেল নাড়ু তো অনেক পছন্দের একটি রেসিপি আমার।আপনি খুব দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নারিকেল নাড়ু সবার পছন্দের। ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
চিনির নারিকেল নাড়ু আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপি টা দেখেই টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপি দেখে আপনার জিভে জল এসেছে জেনে নাড়ু বানানো সার্থক মনে হচ্ছে। পাশাপাশি থাকলে টেষ্ট করাতাম নাড়ু আপনাকে।
পূজো মানেই মজার মজার খাবারের আয়োজন। আর নাড়ু ছাড়া পূজো অসম্পূর্ণই রয়ে যায়। সত্যি আপু আপনার শেয়ার করা রেসিপি দারুণ হয়েছে। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি পূজো মানেই নাড়ু। নাড়ু ছারা অসম্পূর্ণ থেকে যায় পূজো।আমার পোস্ট টি ভালো লেগেছে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
নাড়ু আমি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। দাওয়াত তো দিতে পারতেন আপু। চিনির নারিকেল নাড়ু রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলে। মনে হচ্ছে একটা তুলে খেয়ে ফেলি। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।
সরি ভাইয়া দাওয়াত না দেয়ার জন্য। পূজো শেষ হয়নি আর নাড়ুও শেষ হয়নি চলে আসুন গাইবান্ধায়।ধন্যবাদ।
নাড়ুর প্রধান উপাদান দুইটা নারিকেল এবং চিনি বা গুড়। যদিও গুড়ের তৈরি নাড়ু আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এবং ঐগুলো লাল হয়।কিন্তু চিনির তৈরি নাড়ু হয় সাদা। নাড়ু টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখেই লোভ লাগছে। দারুণ ছিল এটা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
ঠিক বেড়েছেন গুড়ের তৈরি সুস্বাদ বেশি। চিনির তৈরি দেখতে সুন্দর হয় সাদা জন্য। একদম ঠিক বলেছেন চিনি,গুড় বা নারিকেল প্রধান উপাদান।
নারকেলের নাড়ু খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আমরা সাধারণত গুড় দিয়ে নারকেলের নাড়ু তৈরি করি। চিনি দিয়ে ও মাঝে মাঝে তৈরি করি তবে বেশিরভাগ সময় গুড় ব্যবহার করা হয়। আপনার আজকের নারকেলের নাড়ু রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে আপু ধন্যবাদ।
আমরা বেশ কয়েক প্রকার নাড়ু বানাই,এখানে গুড়,চিনি,তিল ইত্যাদির নাড়ু বানিয়ে থাকি।সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
তাই নাকি পূজোর দিনে সবাই নিজেকে রাঙিয়ে তোলার চেষ্টা করে। নতুন সাজে। বাহ অসাধারণ।সেই উপলক্ষে আপনি চিনির নারকেল নারু রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেক ভালো লাগলো এবং নাড়ু খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে মুরকি দিয়ে খেতে তো অসাধারণ লাগে । প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছে এবং কিভাবে বানায় তার স্টেপ বাই স্টেপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
নাড়ু খেতে আমারও বেশ ভালোই লাগে।পুজো উপলক্ষে তো সবাই,নাড়ু,মুরকি বানায়। বেশ ভালো লাগে খেতে।ধন্যবাদ।
নাড়ু আমার খুব পছন্দের । বিশেষ করে আমাদের বাসায় শীতকালে নাড়ু বেশি তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনার নাড়ু দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। নাড়ু তৈরি করার প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। দেখে বুঝা যাচ্ছে চিনির নারিকেল নাড়ু বেশ অসাধারণ হয়েছে। নারিকেল দেওয়াতে খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমরা নাড়ু পূজায় বানাই। আর শীতে নারকেল দিয়ে নানান রকমের পিঠা,পুলি।আমার পোস্ট টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে।
আপনি একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন।নারিকেল নাড়ু আমার অনেক পছন্দের।বাসায় মেহমান আসলে এরকম নারিকেল দিয়ে নাড়ু বানানো হয়।আপনি দারুন ভাবে রেসিপির ধাপ গুলো শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।