জিরা বাটায় দুধ পটল❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আসলে আমরা বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রতিটি সদস্যই গভীর শোকাহত। আমরা দাদার বাবার আত্মার শান্তিকামনা করছি ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আজ প্রচন্ড গরম ছিলো। আবহাওয়া টা কেমন জানি শত্রুতে পরিনত হয়ে গেছে। রোদ উঠলেই প্রচন্ড অস্থির গরম আর বৃষ্টি হলে এক ঘেয়ামি বৃষ্টিতে জনজীবনের অতিষ্ঠ । আজ আমি রেসিপি করতে রান্না ঘরে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছি কারণ প্রচন্ড গরম।এতো গরম যে আমি ঘেমে একদম ঝোলা। আমিও গরমেই অনেকে সময় নিয়ে এই নিরামিষ রেসিপি জিরা বাটায় দুধ পটলটি করে ফেলেছি।পুরা রান্নাটি সরিষার তেলেই করতে হবে। রেসিপিটি সাধারণ হলেও অনেক সময় লেগেছে কারণ এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ করতে হয় লো হিটে।অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি। যারা সব সময় নিরামিষ খেয়ে থাকেন তাদের বেশি ভালো লাগবে এই জিরা বাটায় দুধ পটল রেসিপিটি।এই রেসিপিটি অনেক খেয়েছি তবে দুধ ছারা আজ দুধ নিয়ে মজাদার করে বানিয়ে ফেল্লাম চমৎকার রেসিপিটি।
তো চালুন দেখা যাক রেসিপিতে কেমন
| ১.পটল | দশটি |
|---|---|
| ২.ঘন দুধ | এক পোয়া |
| ৩.জিরাবাটা | পরিমাণ মত |
| ৪.কাঁচা মরিচ বাটা | পরিমাণ মতো |
| ৫.শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
| ৬.হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
| ৭.চিনি | দুই টেবিল চামুচ |
| ৮.গোটা জিরা | অল্প পরিমাণে |
| ৯.তেজপাত | তিনটি |
| ১০.সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কিছু কচি পটল নিয়ে তা খুব ভালো করে খোসা ছড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
কাঁচা মরিচ ও জিরা বেটে নিয়েছি শিল পাটায়।
তৃতীয় ধাপ
এখন খোসা ছারানো পটল গুলোতে লব হলুদ মেখে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তেল গরম হয়ে গেলে নুন হলুদ মাখানো পটল গুলো তেলে দিয়ে লো হিটে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন পটল ভাজা তেলেই গোটা জিরা, তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন তেলে মরিচের গুড়া ও বাটা মসলা গুলো দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে তাতে মসলা বাটা জল দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
মসলা গুলো কষিয়ে নিয়েছি ও যখন তেল ভেসেছে তখন ভেজে রাখা পটল গুলো দিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
মিনিট দুই নাড়িয়ে নিয়ে তাতে ঘট দুধ দিয়েছি।এক পর্যায়ে কটা চেরা কাঁচা মরিচ দিয়েছি।দুধ দেয়ার পর একদম কম আঁচে রান্না করতে হবে।
নবম ধাপ
পটল আগে থেকে ভেজে নেয়ার কারণে খুব তারাতারি নরম হয়ে এসেছে। এখন স্বাদমতো চিনি দিয়েছি এই রান্নায় একটু চিনি বেশি দিলে ভালো লাগে।আপনারা চাইলে চিনি এড়িয়ে যেতে পারেন।
দশম ধাপ
গ্রেভি মাখা মাখা ভাব চলে আসলেই নামিয়ে নেবো।
পরিবেশন
খুব সুন্দর ও সুস্বাদু একটি রান্না। অত্যান্ত সহজ এবং সুস্বাদু। অবশ্যই বানাবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
| পোস্ট | বিবরণ |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
| শ্রেণী | রেসিপি |
| ডিভাইস | OppoA95 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বাটা জিরার যে কোনো রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি জিরা বাটা দিয়ে দুধ পটলের রেসিপি তৈরি করেছেন সেটা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। পটলের নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম। অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করব। দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মজাদার জিরা বাটায় দুধ পটলের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জিরা বারটায় দুধ পটল সুস্বাদু একটি রেসিপি। অবশ্যই বানিয়ে খাবেন বেশ ভালো লাগবে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু আমরা মানুষ কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারি না। কারণ বৃষ্টি হলেও সমস্যা একটানা রোদ হলেও সমস্যা। যাইহোক জিরা বাটায় দুধ পটল এটা খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। খেতেও ভীষণ সুস্বাদু লাগে। এত চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রোদ হলে বৃষ্টি চাই বৃষ্টি হলে রোদ চাই।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রেসিপিটা আমার কাছে পুরোপুরি ইউনিক লেগেছে। আসলে ঝালের সাথে দুধের সংমিশ্রণটা কেমন হবে সেটা বলতে পারবো না তবে দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আর ভিন্ন উপায়ে তৈরি করেছেন তাই খাওয়ার প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ রয়ে গেল।
খেলেই বুঝতে পারবেন ঝালের সাথে দুধের সংমিশ্রণ টা কেমন। আমার তো খেতে অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
রান্না করতে গেলে সত্যি অনেক গরম লাগে। তবে বর্তমানে আবহাওয়াটা আবার বদলে গেছে। এখন আগের তুলনায় গরম বেড়ে যাচ্ছে। দুধ পটল রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে খাবারটি খেতেও দারুন হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই রেসিপি। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাইয়া রান্না করতে গেলে অনেক গরম লাগে। মতি রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি চমৎকার একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন। জিরা বাটায় দুধ পটল আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রন্ধন প্রণালী দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আশাকরি এই রেসিপি আপনি পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিবারের সবাই কে নিয়ে জমিয়ে খেয়েছি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি।
এই ধরনের রেসিপির কথা আগে শোনা হয়নি। পটলের ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। যদিও পটল সবজিটা তেমন একটা পছন্দ না আমার তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অপছন্দের সবজিটি এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জিরা বাটায় দুধ পটল এই রেসিপি আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। আর নামটাও আমার কাছে নতুন লেগেছে। আপনার রেসিপি দেখে তাই শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করার চেষ্টা করবে ইনশাআল্লাহ।
অবশ্যই বানিয়ে খাবেন ভাইয়। ধন্যবাদ
আসলে পটল দিয়ে এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে জিরা বাটায় দুধ পটল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর আপনার মাধ্যমে আজকে একটি নতুন রেসিপি তৈরি করার নিয়ম জানতে পারলাম।
পটল দিয়ে চমৎকার চমৎকার রেসিপি করা যায় ভাইয়া। আমার আজকের এই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যেকোন রান্নাতে জিরা বাটা দিলে আমার এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। জিরা বাটা ভালো একটি ফ্লেভার আনতে পারে এবং খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়। যেহেতু আপনি দুধ পটল রান্না করলেন কিন্তু খুবই সুস্বাদু হবে। একদিকে জিরা বাটা অন্যদিকে দুধ সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি। আর সরিষা দেওয়ার কারণে খেতে অনেক ভালো লাগবে।
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন রান্নাতে জিরা বাটা দিলে ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি একটি ভিন্ন ধর্মীয় রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনার তৈরিকৃত রেসিপিটি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য ও চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।