মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর দ্বিতীয় পর্ব
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর দ্বিতীয় পর্ব।
পার্কে গিয়ে বসে থাকলাম মা মেয়ে দোলনা ফাঁকা হওয়ার অপেক্ষায়। পার্কে দোলনার খুব চাহিদা কারণ স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা ছুটির পর পার্কে ঘুরতে যায় এবং আমার মতো অনেকেই অপেক্ষায় থাকে ডাক্তারের কিংবা ঘুরতে আসে। পাশেই মার্কেট অনেকে শপিং করতে এসেও ঘুরতে আসে।যাই হোক মেয়েকে দোলনায় বসিয়ে কিছু সময় থাকার পর মেয়ে অসুস্থি অনুভব করলো আর দোলনায় থাকতে চায় না তাই দোলনা থেকে নেমে বসে রইলাম এবং মেয়ের হাত ধরে কিছু সময় বসলাম।
বসে বসে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তুু ওর শরীর খুব খারাপ তাই চোখ বন্ধ করে বসে রইলো।
আমিও বসে আছি হঠাৎ মাঝ বয়সি এক মহিলা ফুল হাতে নিয়ে বলছে ফুল নাও গো। আমি প্রথমে মেয়েকে বল্লাম মা ফুল নিবা মাথা নাড়িয়ে না সূচক জবাব দিলো।মহিলা দাড়িয়ে বলতে লাগলো ফুল বেচে সংসার চালাই। আমি বল্লাম দেন একটি ফুল তবে ফুলটা অহেতুক নিলাম। দাম কতো বল্লাম ২০টাকা বল্লো। ২০টাকা দিলাম চলে গেলো।
এখন ফুল নিয়ে মেয়েকে ফুল দেখিয়ে আনন্দ দেয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করছিলাম। আসলে শরীর ভালো না থাকে কিছু ভালো লাগে না।সুস্থ্য থাকলে কতোই না কথা বলতে কতো কি না নিতে চাইতো।আজ কিচ্ছু চায় না কিচ্ছু ওর ভালো লাগছে না।
বেশ কিছু সময় বসে থেকে চলে গেলাম রিপোর্ট গুলো আনার জন্য এসকেএস হাসপাতালে। রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে তাই রিপোর্ট গুলো নিয়ে হাসপাতালে বসে রইলাম কারণ ডাক্তার বসবে আরো দের ঘন্টা পর। হাতে নিয়ে রিপোর্ট গুলো বোঝার চেষ্টা করছিলাম এবং দেখলাম সব গুলো রিপোর্ট ঠিক থাকলেও হিমোগ্লোবিন কমে গেছে এবং ইউরিন ইনফেকশন। মেয়ের থ্যালাসেমিয়া আছে তাই খুব তারাতারি হিমোগ্লোবিন কমে যায়।ইউরিন ইনফেকশনের কারণে ধুম জ্বরও পেটে ব্যাথা।
ডাক্তার আসলেই এবং ওনাকে রিপোর্ট দেখালাম বল্লেন ইউরিন ইনফেকশনের কারণে পেটে ব্যাথা।ঔষধ দিলো লিখে প্রেসক্রিপশনে। বেশি বেশি জল,শরবত খেতে বল্লেন।ঔষধ গুলো কিনলাম। ঔষধের দোকানে জীবিকার তাগিদে কাজ করে।খেলা ধুলা করার বয়স কিন্তুু সে দোকানে কাজ করছে তবে ওর সব ঔষধের সাথে পরিচিতি দেখে খুব ভালো লাগলো।সব ঔষধ ওর মুখস্থ। খুব মিষ্টি ছেলেটা।
ঔষধ নিয়ে বাড়িতে আসলাম জোর করে একটু ভাত খাওয়ালাম এবং ঔষধ খাওয়ালাম। এন্টিবায়োটিক ঔষধ ছয় ঘন্টা পরপর দিতে হবে। আজ দুদিন হলো ঔষধ খাচ্ছে জ্বর একদমই কমছেই না।১০০,১০২,১০৩,১০৪ জ্বর।খুব টেনশনে আছি।কি করবো বুঝতে পারছি না।
সবাই আমার মেয়ের জন্য আশির্বাদ করবেন ও যেন তারাতাড়ি সুস্থ হতে পারে।
আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
শরীর ভালো না থাকলে বড়দেরই কিছু ভালো লাগে না, আর বাচ্চাদেরতো আরও ভালো লাগে না।হিমোগ্লোবিন কম হলে শরীর খুবই দুর্বল লাগে। তখন কোন কিছু করতেই ভালো লাগে। অসুখ যখন আইডেন্টিফাই হয়েছে তখন ঠিকভাবে ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে আশাকরি। আপনার মেয়ের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মেয়ের মন ভালো করার জন্য অনেক চেষ্টা করার পরও মন ভালো হয়নি। আসলে শরীর ভালো না থাকলে মন কিভাবে ভাল থাকবে।যাক অবশেষে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় চলে এসেছেন। ডাক্তার যেভাবে যেভাবে বলেছেন খেয়াল রাখবেন আপু। এমন অবস্থা আমারও হয়।প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তরল খাবার খেতে হয়। দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য।
যেহেতো এন্টিবাইটিক ঔষুধ দিয়েছে কোসর্টা শেষ করেন। তারপর ডাক্তারের সাথে রীতিমত যোগাযোগ রাখেন। ভালো মন্দ ডাক্তারকে অবগত করেন। আশা করি আপনার মেয়ে খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।