বৃষ্টি স্নাত প্রকৃতি 🥰
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগের সব বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করি ভালো আছেন। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বৃষ্টি স্নাত প্রকৃতি নিয়ে কিছু কথা।আশা করছি ভালো লাগবে।
গতকাল দুপুর রান্না করছিলাম হঠাৎ ঝমঝম বৃষ্টি। রান্না ঘরে থাকার কারণে বৃষ্টি আসার আগে যে আকাশের একটি রুপ বদল হয় তা বুঝতে পারিনি।পুকুর পাড়ে রোদে কাপড়, কম্বল মেলানো ছিলো।ভাবছিলাম আর দরকার নেই কম্বলের ধুয়ে তুলে রাখতে হবে।তো বৃষ্টি পড়া দেখে ভোঁদৌড় গিয়ে কম্বল ও বাকি সব কাপড়চোপড় না আনতেই বৃষ্টি শেষ। তবে বৃষ্টি পড়েছে বেশ অল্প সময়েই।এর পর থেকে আর বৃষ্টির দেখা নেই তবে আকাশের মুখ গোমড়া।মনে হচ্ছে যেন রাগে টগবগ করছে।একটু সুযোগ পেলেই কান্না করে দেবে আর তা সস্তির বৃষ্টি হয়ে নামবে প্রকৃতির মাঝে। গাছপালা গুলো বিশ্রী রুপ নিলো এই অসমাপ্ত বৃষ্টির কারণে। বিশ্রী বলছি কারণ এতোদিন যে ধুলাবালিতে ভর্তি ছিলো গাছগাছালি সেগুলো অল্প বৃষ্টির কারণে কেমন একটা রুপ ধারণ করেছে গাছের পাতা গুলোতে।গাছগুলো যেন তৃষ্ণায় ছটফট করছে।স্নান করার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেছে। চারদিকের প্রকৃতি পরিবেশ খা খা করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ ব্যাকুল হয়ে আছে।কখনো কখনো কোকিলের কুহু কুহু ডাকে বসন্ত এসে গেছে বোঝা গেলোও অদূরে ফুটিকজল বলে চাতক পাখির আত্মচিৎকার চৈত্রের খা খা দুপুরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ভেবেছিলাম আর বৃষ্টি হবে না।প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়াদাওয়া শেষ ফোনে চোখ বুলাতে বুলাতে রাত একটা বেজে গেলো।ভাবলাম ঘুমানো দরকার।মেয়ের স্কুল আছে সকালে।দিলাম ঘুম।হঠাৎ মেঘের গর্জনে আঁতকে উঠলাম।ঝড়,তুফানে ভীষণ ভয় আমার।তরাতারি উঠে টিভির কাছে গিয়ে ডিসের লাইন খুলে দিলাম এবং দরজা খুলে তাকালাম বৃষ্টি না কি ঝড়।বিদুৎ চলে গেছে সোলারের লাইন জ্বালালাম এবং দেখলাম মুসল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এসে কম্বল মুড়িয়ে নিয়ে ফোনে সময় দেখলাম ৫টা বাজে।ভাবলাম যে বৃষ্টি স্কুল যাওয়া হবে না আর।ঘুমানো যাক আরাম করে।বৃষ্টি হচ্ছে ভালো হচ্ছে আমার ফুলের টবে জল দিতে হবে না ভেবে ভেবে আবার ঘুম।ঘুম থেকে জানালার পর্দা সরিয়ে প্রকৃতির দিকে তাকাতেই দেখলাম সব গুলো গাছ যেন হাসছে।ধুলো-বালি শরীরে আর নেই।নতুন পাতা স্নান করে যেন সব গাছ নতুন রুপে সেজেছে।
দেখে বেশ ভালো লাগলো।অনেক দিন থেকে গাছের পাতার দিকে তাকালেই ভাবতাম বৃষ্টি দরকার। বৃষ্টি হলে গাছ গুলো স্নান করতে পারবে এবং সুন্দর লাগবে দেখতে।বৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতি সেজেছ নতুন রুপে।তা আমাদের দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। এরকম বৃষ্টির খুব প্রয়োজন ছিলো।স্বস্তির বৃষ্টি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হবে এই ভাব ছিল তবে একদম মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল পরে। কিন্তু তার আগে সন্ধ্যাবেলায় টুপটাপ বৃষ্টি পড়েছিল। আর ঠিক বলেছেন বৃষ্টির পর গাছেরা যেন সতেজতা ফিরে পেয়েছে। আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো, খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
আমাদের এখানে প্রখর রোদ ছিলো বৃষ্টি হবে বুঝতে পারিনি।সত্যি গাছগুলো সতেজতা ফিরে পেয়েছে।
জি আপু একদম। 🌿
বৃষ্টির পরে প্রকৃতি দেখতে আসলে অনেক ভালো লাগে। তখন প্রকৃতি তার আপন রূপে সেজে ওঠে। বৃষ্টির পরে অপরূপ দৃশ্য দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। বৃষ্টিস্নাত কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টির পরে প্রকৃতি দেখতে অনেক ভালো লাগে।
বৃষ্টি স্নাত প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমন প্রকৃতির সবচেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগে। দারুন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকায় কাল অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আমি কাপড় ঘরে তুলিনি।ভেজাই ছিল কাপড়।আমাদের এখানে দুপুরের পর তুমুল বৃষ্টি হয়েছে।এটা ঠিক গাছের পাতাগুলো ধুলোতে সাদা হয়ে থাকে।বৃষ্টি পেলে গাছগুলো সতেজ হয়ে উঠে।আসলে বৃষ্টির পরের পরিবেশটা আমার ভীষণ পছন্দ। আর চারিপাশে গাছপালা থাকলে আরো বেশী ভালো লাগে।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে তা বেশ অনুমান করতে পারলাম।ধন্যবাদ দিদি, সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পোস্ট টা খুব সুন্দর লিখেছেন দিদি। আপনার পোস্ট পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল, যেন বৃষ্টি ভেজা একটি দিনের গল্প পড়ছি। তবে আমাদের এখানেও ওই একই ব্যাপার হয়েছিল। প্রথমে অল্প একটু বৃষ্টি হয়েছিল তারপর গতকাল রাতে দেখলাম সারারাত ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রকৃতি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আমার বাড়ির ছাদেও কিছু ফুলের গাছ রয়েছে, ওইগুলোতেও আর জল দিতে হলো না, বেঁচে গেলাম। হা হা হা...
সত্যি তাই দাদা বৃষ্টি হলে ফুলের গাছে জল দেয়া থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।
দিদি, বৃষ্টি হলে একটু ফাঁকিবাজি করা যায় আর কি!🤭🤭 নিয়মিতভাবে গাছে জল দেওয়া কিন্তু অনেকটাই কঠিন কাজ।
বাহ আমি তো পোষ্টের ভিতরে কবির মত কথা বলেন। আপনি কোকিল নিয়ে যে কথাটা বলেছেন এ কথাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং সেই সাথে আপনার পোস্টটাও খুব ভালো লেগেছে। আমাদের এদিকে খুব বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঠান্ডা পরিবেশ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে উৎসাহী হলাম।
আপনার সাথে আমার অভ্যাসের অনেকটাই মিল আছে বৃষ্টি হলে আমিও ঘরের দরজা বা জানালা খুলে কম্বল গায়ে দিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করি। এই অভ্যাসটা আমার অনেক আগে থেকেই যাই হোক বৃষ্টি ভেজা দিনের গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সাথে আমার মিল আছে বন্ধু বলে কথা🙂
কিছুদিন আগে রাস্তাঘাটে এবং গাছ পালাতে যে পরিমাণে ধুলা ছিল এতে করে বৃষ্টিটা এসে বেশ ভালোই হয়েছে। গাছ পালা গুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তের শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সত্যি গাছ গুলো প্রাণ ও সুন্দর্য় দুটোই ফিরে পেয়েছে বৃষ্টির কারণে।