খেজুরের গুড়ের স্পেশাল চা রেসিপি
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো খেজুর গুড়ের স্পেশাল চা রেসিপি।
বর্তমানে চা কমবেশি সবার ভীষণ প্রিয়। আমি চা খাইনা।একদমই খাইনা বল্লে ভুল হবে।আজ ভাবছিলাম খেজুর গুড়ের চা বানাবো। খেজুরের গুড় ভীষণ পছন্দের। খেজুরে গুড় দিয়ে চা খেতে খুব ভালো লাগে আমার। তাই আজকে খেজুরের গুড় দিয়ে চা বানাবো ঠিক করলাম।চা বানাতে গিয়ে ভাবলাম রেসিপি করে ফেলি।চা বানাতে খুব বেশি সময় লাগে না কিন্তু আজকে আমার এই স্পেশাল চা বানাতে আধা ঘন্টা সময় লেগেছে সব মিলিয়ে।
।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
১.চা পাতা |
---|
২.খেজুরের গুড় |
৩.দুধ |
৪.সাদা এলাচ |
৫.তেজপাতা |
৬.জল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে খেজুরের গুড়ের ক্যারামেল তৈরি করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় পরিমাণ মতো চায়ের জল বসিয়েছি এবং খুব ভালো করে ফুরিয়ে নিয়েছি। যেমন দশ কাপ জল ফুটিয়ে পাঁচ কাপে কমিয়ে এনেছি সাদা এলাচ ও তেজপাত দিয়ে।
তৃতীয় ধাপ
এখন দুধ জ্বাল করে ঘন করে নিয়েছি ও নামিয়ে রেখেছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন ফুটানো দুধে চাপাতি দিয়ে ফুটিয়ে লিকার বের করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আগে থেকে তেজপাতাও সাদা এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে রাখা জল গুলো লিকার বের করে নেয়া চায়ের মধ্যে দিয়েছি ও আবারও জ্বাল করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আগে থেকে ক্যারামেল করে রাখা খেজুরের গুড় গুলো দিয়েছি চায়ে এবং আবারো ফুটিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
খুব ভালো করে ফুটিয়ে নেয়ার জন্য পুরাপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেলো আমার স্পেশাল চা। এবার কাপে ঢেলে সবার মাঝে পরিবেশ করেছি।চায়ের সাথে কেউ কিচ্ছু খায়নি কারণ চা খাওয়ার আগে সবাই পেটপুরে ইফতারি খেয়েছে আর চা খেয়েছে শুধু শুধু।
পরিবেশন
পরিবেশনের ফেনা কাটানো চায়ের কাপের চায়ে খুব ভালো করে খেয়াল করলে একটি জিনিস দেখতে পারবেন। কি তা বলবো না আমি জানতে চাই আমি যা দেখছি আপনারাও কি তাই দেখতে পারছেন জানাবেন কিন্তুু কমেন্টে।চা টি কিন্তুু ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। এরকম এককাপ চা খেলে মন প্রাণ সতেজে হয়ে যায়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
অনেক রকম ভাবেই চা খাওয়া হয়েছে তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো খেজুরের গুড়ের চা খাওয়া হয়নি, এছাড়া এই প্রথমবার এরকম খেজুরের গুড়ের চা রেসিপিটা দেখলাম। চা ছোট বড় অনেকেই খেতে খুবই পছন্দ করে এবং ভালোবাসা। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটা চা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
খেয়ে দেখবেন ভাইয়া এভাবে চা বানিয়ে ভীষণ ভালো লাগবে খেতে।
খেজুরের গুড় দিয়ে চা তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগে আপু। আমি খেয়েছি আমাদের বাড়িতে এই গুড় রয়েছে তো। বেশ ভালো লাগে খেতে। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি তৈরি করে দেখিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন খেজুরের গুড় দিয়ে চা তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগে।
খেজুরের গুড়ের চা তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম খেজুরের গুড়ের মাধ্যমে চা তৈরি করা যায়। আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম ইউনিক রেসিপি গুলো দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
যায় তো ভাইয়া খেজুরে গুড় দিয়ে চা বানানো।খুব সুস্বাদু হয় এই খেজুরের গুড়ের চা খেতে।
এটা ঠিক বলেছেন বর্তমান যুগের মানুষ চা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তবে একেক জন মানুষ একেক রকম চা খেতে পছন্দ করে। যেমন আমি চিনি বাদে চা খেতে পছন্দ করি। আবার অনেকে আছে দুধ দিয়ে কিংবা খেজুরের গুড় দিয়া চা তৈরি করে খায়। তবে খেজুরের গুড় দিয়ে চা তৈরি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। খেজুরে গুড়ে যে ফ্লেভারটা এটা আরও বেশি আকর্ষণে করে তোলে খাওয়ার জন্য। খুব চমৎকার একটি স্পেশাল চায়ের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার তো দরুন অভ্যাস ভাইয়া চিনি ছারা চা ভীষণ উপকারী। ঠিক বলেছেন একেক জন একেক রকমের চা খেতে ভালোবাসেন।
খেজুরের গুড়ের চা নাকি অনেক বেশি সুস্বাদু হয় তবে এখন পর্যন্ত আমার খাওয়া সৌভাগ্য হয়নি। আপনার চা বানানোর রেসিপিটা দেখে খুব সহজেই বানিয়ে খেতে পারব দেখছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয় খেয়ে দেখবেন বানিয়ে।
চায়ের কাপের ফেনা সরানোর পর আমি লাভ শেপ দেখতে পারছি 🤓
যাইহোক এভাবে গুড় দিয়ে তেমন চা খাওয়া হয়নি। তবে আপনি যেভাবে চা তৈরি করছ দেখালেন এটা নিঃসন্দেহে খেতে দারুন হবে এবং শরীরের জন্য উপকারী বটে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।আমি যখন চা মগে ঢেলেছি তারপর ফটোগ্রাফি করার পর লক্ষ করলাম লাভ সেভটি। আসলে ভালোবাসা দিয়ে করেছিলাম চা টি বরের জন্য সেজন্য অটো লাভ সেভ চলে এসেছে।
হা হা 😄
দারুন 😍
আপনাদের দুজনের জন্য দোয়া রইল, এই ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক।
আমিও চা তেমন খাই না। বেশির ভাগ সময় কফি খাওয়া হয়। তবে আজকে ভিন্ন ধরনের একটি চায়ের রেসিপি দেখলাম। ইউনিক একটি চায়ের রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুস্বাদু ও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেজুরের গুড় দিয়েও যে চা তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বিষয়টা আমি প্রথমবারের মতো জানতে পারলাম। খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা দেখে খেতে মন চাইছে।
খেজুরের গুড় দিয়ে এভাবে চা তৈরি করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি চায়ের মধ্যে তেজপাতা সহ গরম মশলা ব্যবহার করার কারণে হয়তোবা এর গন্ধটা অনেক সুন্দর হয়েছিল। আমিও এভাবে একদিন খেজুরের গুড় দিয়ে চা তৈরি করেছিলাম খেতে ভীষণ মজা হয়েছিল। আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যা আপু তেজপাত ও সাদা এলাচি ব্যাবহারের ফলে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হয়েছিল চা টি।
আসলে আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু তৈরি কিছু রেসিপি দেখতে পেয়ে সত্যিই মুগ্ধ হই। আপনি আজকে খেজুরের রস দিয়ে খুব সুন্দর চা রেসিপি করেছেন দারুণ ছিল। আগে কখনো এই ধরনের চা রেসিপি খাওয়া হয়নি ভালো লাগলো। নিজে তৈরি করার চেষ্টা করব । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।