শুভ জন্মদিন ❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মেয়ে তাঁর বাবার জন্মদিন পালন করার কিছু কথা।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে আসেন প্রতি সপ্তাহে। খুব ব্যাস্ত মানুষ। প্রশিক্ষকদের ব্যাস্ততা অনেক বেশি। ক্লাস,নিতে হয় নব সৈনিক ও পুরানো সৈনিকদের। আমার বর আছেন সেন্টারে যেখানে পরিক্ষা দেয়ারর পর প্রমোশন হয় সৈনিক ও অফিসারদের।
গত সপ্তাহে বাড়িতে আসতে পারেন নি কারণ ক্যাপ্টেন টু মেজরের পরিক্ষা ছিলো এবং ভিজিট ছিলো তাই আসতে পারেনি।এদিকে জন্মদিন ছিলো ৩০শে এপ্রিল মঙ্গলবার। মেয়ে আশায় আশায় বসে আছে বৃহস্পতিবার বাবা আসবে আর সে বাবার জন্মদিন পালন করবে।
আশায় আশায় বসে ছিলো এদিকে বৃহস্পতিবার যখন ওর বাবা ভিডিও ফোন দিয়েছেন এবং মেয়ে বাবাকে তার রুমে শুয়ে থাকতে দেখেছে
তখন সে কি কান্না সে কি কান্না। কিছুতেই সামলাতে পারছিলাম না।অনেক কষ্টে প্রায় আধাঘন্টা কান্নাকাটি করার পর কান্না থামিয়েছে।
আবারও আশায় আছে পরের সপ্তাহে বাড়িতে আসবে বাবা।
আজ সেই কাঙ্ক্ষিত দিন যে মেয়ে তার বাবাকে কাছে পেয়েছে এবং বাবার জন্মদিনে কেক কাটতে না পারলেও লেটে জন্মদিন পালন করেছে।
যখন ফোন করে বলেছে সে রওনা দিয়েছে তখন থেকে ভীষণ আনন্দিত ছিলো।
বার বার আমাকে বলছিলো কখন আসবে কখন আসে।বাড়ির সামন দিয়ে কোন বাইক যেতে দেখলেই বলে উঠছিলো বাবা এসেছে। জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিয়ে নিশ্চিত হচ্ছিল যে বাবা এসেছে কিনা।
সন্ধ্যা সাতটায় বাইকের হর্ণ পেয়ে দৌড়ে গিয়ে গেট খুলে দিলো এবং বাবার কাছ থেকে কেকটি রুমে এনে একদম রেডি করে ফেল্লো বাবাকে নিয়ে কাটবে বলে।
বাবাকে সে আগেই বলে রেখেছিলো আসার সময় যাতে করে কেক নিয়ে আসে।
কেক রেডি করে বাবা মেয়ে মিলো কেক কাটলো এবং মেয়ে কেক কাটার সময় বলছিলেন হ্যাপি বার্থডে বাবা।
বাবা মেয়ে দুজন মিলে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করলো।
এটাই ভালোবাসা। এটাই রক্তের বন্ধন।মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম আর ফটোগ্রাফি করছিলাম।
আজকের দিনটি মেয়ের স্মৃতি হয়ে থাকবে।কোন একদিন স্মৃতিচারন করবে বন্ধুদের সাথে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কারো কোন জন্মদিন দেখলে আমার খুবই ভালো লাগে আর মনে পড়ে যায় ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো। ছোটবেলায় আমারও জন্মদিন পালন করতাম কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো কবে হারিয়ে গেছে। তবে যাই হোক বেশ ভালো লাগলো বাবুর আব্বুর এই জন্মদিন দেখে। আর পাশাপাশি জানতে পারলাম আপনার হাজব্যান্ড ডিফেন্সের চাকরি করে।
ঠিক বলেছেন কারো জন্মদিন দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়।
বেশ অজানা অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে। যেখানে এটা আমার জানা ছিল না আপনার হাজবেন্ড আর্মি চাকরি করে। এদিকে তার জন্মদিন। বাবুর এত সুন্দর অনুভূতি। সব মিলে অনেক সুন্দর একটা জন্মদিনের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট টি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।
আমাদের ভাইয়া একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে সেনাবাহিনীর চাকরি অনেক বেশি কঠিন।আর আপনার স্বামী একজন প্রশিক্ষক এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। বাবার জন্মদিন উপলক্ষে মেয়ে কেক কাটছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।আর বাবা মেয়ে কে একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগছে।
আসলে সেনাবাহিনীর মাঝে নিয়মানুবর্তিতা অনেক বেশি তাই কঠিন মনে হয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যারা সরকারি চাকরি করে, বিশেষ করে যারা আর্মিতে চাকরি করে তাদের ক্ষেত্রে আসলে সময় বের করা অনেক কঠিন। পরিবারকে তারা সময় দিতে পারে না বললেই চলে। তবে লেটে জন্মদিন পালন করলেও জন্মদিন তো পালন করতে পেরেছে, এটাই বড় কথা। যাইহোক, বাবা এবং মেয়ের সুন্দর সময় কাটানো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো দিদি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া লেটে হলেও জন্মদিন পালন করতে পেরেছেন এটাই অনেক বড়ো পাওয়া।
বাবা মেয়েকে একসাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। যাক আশায় আশায় থাকতে থাকতে অবশেষে মেয়েটা বাবাকে কাছে পেল। একদম ঠিক বলেছেন আপু আপনার মতো আমিও আমার সন্তান এবং তার বাবার এমন খুনসুটির মুহূর্ত গুলো মুগ্ধ হয়ে দেখি।আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।