দশমী পরবর্তী বাবার বাড়িতে বিশেষ খাওয়া দাওয়ার মুহুর্ত😍
হ্যালো,
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আমাদের সব থেকে বড়ো উৎসব দূর্গা উৎসব।দূর্গা পূজায় আমরা নিরামিষভোজী হয়ে যাই।তাই নিমন্ত্রণ খেতে পারি না কোথাও। প্রতিবার দশমীতে আমার বাপের বাড়িতে নিমন্ত্রণ থাকে এবং শ্বশুড়বাড়ির সবাই খেতে আসি আমরা।প্রতিবার দুপুরে খেয়ে এসে সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলা হয় কিন্তুু এবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন হবে তাই বিকেল চারটার আগেই সবার আরতিও সিঁদুর দোয়া পর্ব শেষ করতে হবে। আবার দশমীর পরের দিন একাদশী ছিলো তাই সেদিনও হবে না তাই বলে দিয়েছিলাম আমরা যেতে পারবো না।কিন্তুু আমার বাবা তো নাছোরবান্দা যেতেই হবে।তাই একাদশীর পর দিন আমরা যেতে রাজি হয়ে গেলাম।এবার আমরা গেলাম শুধু আমি,আমার মেয়ে,বর,দিদি,দিদির বর,দিদির ছেলে,দেওর,জা ওদের দুই ছেলে।বাচ্চারা তো মহাখুশি মামা বাড়িতে যাবে জন্য। আমার মেয়ে তো আগের দিনেই বায়না ধরচে যাবে মামা বাড়ি তাই ওর বাবা রেখে এসেছে।আমরা সবাই সকালের খাওয়া দাওয়া মিটিয়ে রেডি হয়ে চলে আসলাম একটা অটো ভ্যানে।বাবার বাড়িও শ্বশুর বাড়ি একই ইউনিয়ন তাই খুব একটা বেগ পেতে হয় না।
যাওর পর প্রথমে সবাই মিলে শরবত খেলাম।রোদ ছিলো অনেক ঠান্ডা আবহাওয়া হলেও রোদের কারণে সবাইকে বেশ পিপাশা লেগেছিল তাই শরবত খেয়ে সবাই শান্তি পেয়েছিলাম।
এরপর আমাদেরকে খেতে দিয়েছে ফুলমুল কারণ আমরা দূপুরের অনেকটা আগেই এসেছিলাম তাই এই ফলু খেতে দিয়েছিলো।সবাই খেয়েছিলাম মজা করে।
তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া,মেনুতে ছিলো খাসির মাংস,বুটের ডাল,ফুল কপির ডালনা,বাধাকপির ঘন্ট,রুই মাছের দোপেয়াজা,পাবদা মাছের পাতুরি,পাট ভাজা,পাপড় ভাজা,টক,দই মিষ্টি।
এরপর বিকেলে আমরা খেলাম, সন্দেশ,মিষ্টি, পায়েস,
পায়েস, চানাচুর, বিস্কিট,চা তবে চায়ের ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গেছিলাম 🥲
খেয়ে সবাই চলে গেছে কিন্তুু আমরা আছি। সারাদিনের সময়টা খুব ভালো ছিলো খাওয়ার উপরে খাওয়া।এতো কি খাওয়া যায় তবুও একটু একটু করে খাওয়া হয়েছিল। বেশ ভালো কেটেছিলো দিনটি।পূজো শেষ পূজোর সৃতি গুলো শুধু রয়ে যাবে আমৃত্যু এটাই তো ভালোবাসা।বাবা,মায়ের ভালোবাসার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না।নিঃস্বার্থ ভালোবাসা যদি পৃথিবীতে থেকে থাকে সেটা হলো বাবা,মায়ের ভালোবাস।তো এই ছিলো আমার দশমীর পরের বাবার বাড়ির খাওয়া দাওয়া।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোষ্ট | জেনারেল রাইটিং |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আহারে!! আপু, আপনার বাবার বাড়িতে দশমীর পরবর্তী সময়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন রকমের খাবার গুলো দেখে আমার তো মাথা ঘুরছে। এতো দেখছি খাওন আর খাওন। এত খাবার দাবারের আয়োজন ছিল তবু পূজোর দাওয়াত দিলেন না আপু। এটা কিন্তু মোটেই ঠিক হয়নি। আর হ্যাঁ আপু, আপনি ঠিকই বলেছেন, পৃথিবীতে বাবা, মায়ের ভালোবাসা হচ্ছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। যাইহোক আপু, দশমীর পরে বাবার বাড়ির খাবারের আয়োজন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পূজার নিমন্ত্রিণ দিতে ভুলে গেছি ব্যাস্ততার কারনে। আসছে বছর হবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পুজো মানে দারুন দারুন সব খাবার দাবার।আপনার বাবার বাড়িতে দারুন সব রান্নার আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। লোভনীয় সব খাবার গুলোর ছবি দেখে ভালো লাগলো।
এবারের খাওয়াটা মিস করে গেলাম।প্রতিবার এই দিনে সবাই মিলে একসাথে খেতে যাই,মাওয়াইমার হাতের রান্না সবাই খুব তৃপ্তি করে খাই।আর তাদের আন্তরিকতা সবাইকে মুগ্ধ করে।যদিওবা তাওয়াইমশা ফোন করে নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন শুধুমাত্র বাড়িতে না যাওয়ার কারনে এত্তো বড় খাওয়াটা মিস করলাম।যাইহোক আসছে বছর আবার হবে।😊সুন্দর করে গুছিয়ে খুশির মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।