চড়ুইভাতি 😊❤️

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

হ্যালো,

আমার বাংলা ব্লগবাসী, বন্ধুরা নমস্কার, আদাব, কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও মহান সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো গ্রামের বাচ্চাদের চড়ুইভাতির একটি সুন্দর পোস্ট।
PhotoCollage_1702201123497.jpg
বর্তমানে ধান কাটা হয়ে গেছে আর ধান কাটা হয়ে গেলে মাঠের পর মাঠ ফাকা হয়ে যায়।যতদুর চোখ যায় শুধু ধুধু করছে।আর এমন ফাকা মাঠে সবার চড়ুইভাতি খাওয়ার ধুৃম পড়েছে।মেয়ের পরীক্ষা শেষ তাই সে বায়না ধরেছে মামার বাড়িতে যাবে। তাই রওনা দিলাম মেয়েকে নিয়ে।যেহেতু কাছাকাছি বাড়ি তাই খুব তারাতারি আসা সম্ভব। একটি ভ্যান নিয়ে আসছিলাম মেঠোপথে। কাছাকাছি আসতেই মেয়ে উঁকিঝুঁকি দিয়ে বলছে ওখানে কি হচ্ছে। মেয়ের কথা শুনে তাকাতেই দেখতে পেলাম মাঠে বাচ্চাদের জটলা।ধোঁয়া উরছে।বুঝতে বাকি রইলো না যে বাচ্চারা চড়ুইভাতিতে মেতেছে। মেয়েকে আশ্বস্ত করলাম যে কাল তুমিও খেও বাড়িতে বৃত্ত ও সৃষ্টির সাথে। বৃত্ত কাকাত ভাই।সৃষ্টি কাকাত বোন আমার।মেয়ে খুশি হলো কিছুটা। এসে নামতে না নামতেই মা বললো মনার জন্য ওদের কাছে সব দিয়েছি সাথে সৃষ্টি ও বৃত্তের। জানতাম মনা মন খারাপ করবে ওদের খাওয়া দেখলে।এটা শুনে মেয়ে তো মহা খুশি দিলো এক ভোঁদৌড়। আমিও পিছু পিছু গেলামও গিয়ে দেখলাম রান্না হচ্ছে। কেউবা জল আনছে কেউবা, ডিমের খোসা ছরাচ্ছে,কেউবা বাটনা বাটছে।রেসিপিতে রেখেছে মসুর ডালের খিচুড়ি। ডিম ভুনা,বেগুন ভাজা।

PhotoCollage_1702209011585.jpg
মেয়ে আমার খুব খুশি।গ্রামে থাকলেও এরকম আনন্দ কমে পায় সে।মেয়েকে পেয়ে সবাই মহাখুশি। সব বাচ্চারা আনন্দ করছে দেখে ভালোই লাগলো।তাই মেয়েকে ওদের কাছে রেখে চলে আসলাম বাড়িতে।আবার খাওয়ার সময় গেলাম সন্ধ্যার পর লক্ষ্য কয়েকটি ফটোগ্রাফি করা।

IMG20231209170510.jpg

এই তো সব বাচ্চা খেতে বসে গেছে মেয়ে খাবে না ওখানে অনেক কষ্টে রাজি করলাম তবুও বল্লো পরে খাবো।তাই আমি খেতে বসা বাচ্চাদের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে চলে আসলাম।খাবার গুলো কিন্তুু বেশ সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে খেতে।সবাই বেশ মজা করেই খেয়েছে।আসলে ছোট মানুষরা অল্পতেই অনেক বেশি সন্তুষ্ট হয়।তাদের চাহিদা আকাশ চুর্ণ থাকে না।সাবাই এতো মজা করলো এই চড়ুইভাতিতে যে আমি অবাক দৃষ্টিতে দেখলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

টাটা

PhotoCollage_1702209489873.jpg

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmR3C8Fg3QT9iRz7mwVsTZZpendjwKtuitxb6QVkhPwUVPETtkbK9A1G2NvA6...RMpTFJLvJ7w6PW1mZRE4xdXYXbGuQF7WQcww2Q9T16rvfJfpiZcXc9PGXArrnWUNJr6i8aLdWniXsJpaif15ZaevRxhxsAotaSWnfbbrLnoKrAB7oGKW9P7kSZ.gif

Sort:  
 9 months ago 

চড়াই ভাজি, আপনার চড়াই ভাজি দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। একদিন আমাদের উঠানের উপর অনেক গুলো চড়াই এসেছিল আমার ছোট চাচা জাল দিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টা চড়াই ধরছিল এবং সেগুলো ভাজি করে খেয়েছিলাম সেগুলো ভীষণ সুস্বাদু ছিল। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

চড়ুই পাখি খাওয়া যায় জানতাম না।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

 9 months ago 

শীতকাল পড়লেই চড়ুই ভাতি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। ফাঁকা মাঠে এমন ছোটবেলায় অনেক চড়ুই ভাতি খেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে বাচ্চারা খুব আনন্দ করেছে। আর ডিম ভুনা খিচুড়ি বেশ লোভনীয় লাগছে। বাচ্চারা অনেক মজা করে খেয়েছে নিশ্চয়ই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চড়ুই ভাতির সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

হ্যাঁ খুব আনন্দ করে খেয়েছে বাচ্চারা।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্ট টি করার জন্য।

 9 months ago 

এ সময়ে ধান কাটা শেষ হয়ে যায় আর ধান কাটা শেষ হয়ে গেলে পুরো মাঠ ফাঁকা হয়ে যায় আর এ সময়ে ই গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা চড়ুইভাতীতে মেতে ওঠে। ছোটবেলায় আমরাও মাঝে মাঝে চড়ুইভাতের মেতে উঠতাম আপনার এই পোস্টটা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। মেয়ের পরীক্ষা শেষ হয় মামা বাড়িতে গিয়ে এরকম একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে জেনে ভালো লাগলো। চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন এই রকম সময়ে বাচ্চারা চড়ুইভাতিতে মেতে ওঠে।ধন্যবাদ সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।

 9 months ago 

এজাতীয় চড়ুইভাতীগুলো সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ এগুলো বাংলার সুন্দর ঐতিহ্য আজও বহন করে চলে। তবে খুব কম সংখ্যক এখন দেখা যায়। সুন্দর একটি মুহূর্ত দারুন আয়োজন আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুবই খুশি হলাম সুন্দর এই চড়ুই ভাতির পোস্ট দেখতে পেরে।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন খুব কম সংখ্যাক দেখা যায়।সত্যি তাই ঐতিহ্য এগুলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60007.10
ETH 2415.95
USDT 1.00
SBD 2.41