ছোট আলুর দম রেসিপি ❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
গতকাল রাত থেকে একদমই শরীর ভালো নেই।প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা। আসলে টেনশনে এরকম অবস্থা হয়েছে তা বুঝতে বাকি নেই।সারাক্ষণ শুধু টিভিতে খবর দেখে দেখে টেনশনে এই অবস্থা। আমাদের দেশে বন্যায় সব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।অনাহারে জীবন পার করছে কতো পরিবারে। দূর্গম এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছে না মানুষ। ভাবছি যখন অচমকা বন্যা এসেছে কতো বাচ্চা সাঁতার জানে না হয়তো বাইরে খেলছিলো কিন্তুু আচমকা বন্যার জলের স্রোত ভেসে নিয়ে গেছে। যেখানে সাঁতার জানা বড়ো মানুষ হিমশিম খায় জীবন বাঁচাতে সেখামে ছোট বাচ্চাদের কি হাল হয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মানসিক ও শাররীক ভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি।সারাদিন চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম প্রায় ও ঘুমিয়ে একটু ভালো মনে হচ্ছে শরীরটা তাই আপনাদের সাথে একদমই ছোট আলুর দম রেসিপি ভাগ করে নিতে আসলাম।
তো চলুন দেখা যাক কেমন ছিলো রেসিপি টি।
ছোট আলু |
---|
আদা বাটা |
জিরা বাটা |
পেঁয়াজ কুচি |
,পেঁয়াজ বাটা |
শুকনা মরিচের গুড়া |
লবন |
হলুদ |
গরম মসলা |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একদমই ছোট গুড়ি গুড়ি আলু সিদ্ধ করে ছিলে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে গোটা জিরাও তেজপাতা পেঁয়াজ কুচি ফোঁড়ন দিয়েছি কিছু সময় ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন ভেজে নেয়া পেঁয়াজে আগে থেকে ছিলে রাখা আলু দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখম আলুতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে ভেজে নিয়েছি কিছু সময়।
পঞ্চম ধাপ
এখন ভেজে নেয়া আলুতে বাটা উপকরণ গুলো দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
অল্প পরিমাণ জল দিয়ে কষিয়ে নিয়েছিও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুঁটিয়ে নিয়েছি। ঝোল কমে এসে আলুর গা মাখা হয়ে আসলে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের ছোট আলুর দম রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু আপনি ছোট আলু দিয়ে খুবই মজাদার দম রেসিপি তৈরি করেছেন। দেশি লাল আলু খেতে খুব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই বিকালের নাস্তায় এই রেসিপি তৈরি করি। ছোট আলুর দম খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া এভাবে তৈরি করে গরম ভাত দিয়ে খেতেও খুব ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ছোট লাল আলু এভাবে দম করে খেতে খুব ভালো লাগে।মাঝে মাঝে বিকেলের নাস্তায় এই রেসিপিটি করে থাকেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু নিউজ দেখলেই চিন্তা বেড়ে যায়। বন্যা দুর্গত মানুষদের কষ্ট দেখলে আরো বেশি খারাপ লাগে। আলুর দম রেসিপি খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। গরম গরম পরোটার সাথে খেতে দারুন লাগবে।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু গরম গরম পরোটা বা ফুলকো লুচির সাথে দারুণ লাগে খেতে।
এটাতেও রেসিপি গুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে আপু। বেশ দারুণভাবে আপনি রান্নার কাজে কোন সম্পন্ন করে আমাদের দেখিয়েছেন। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপনার আলুর দম রেসিপি। আশা করি বেস্ট টেস্ট হয়েছে।
হ্যাঁ অনেক টেষ্ট হয়েছিল রেসিপিটি।
আসলেই আপু। ছোট বাচ্চারা এই বন্যাতে বেশি কষ্ট পেয়েছে। আমিও দেখেছি বন্যার পানির তীব্র স্রোতে একজন পরিপূর্ণ বয়সের মানুষ এরই ভারসাম্য রক্ষা করতে কষ্ট হয়। সেখানে শিশুদের কি অবস্থা। যাক আপনার এই আলুরদম রেসিপি আমার খুব পছন্দের। আমাদের গ্রামে এটাকে বলে আলুর চক। এটি খেতে দারুণ হয়।
আসলে সৃষ্টি কর্তা ছারা কেউ বাঁচাতে পারবে না এই দুর্যোগ থেকে।আলুর দম কে আপনাদের এলাকায় আলুর চক বলে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। এভাবে কোনদিন ছোট আলুর রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তবে দেখে বেশ ইউনিক মনে হলো আমার কাছে। চেষ্টা করলে আমার সুন্দর রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। জানিনা কতটা সুস্বাদু ছিল তবে আপনার হাতের রান্না অবশ্যই সুস্বাদু হওয়ার কথা।
ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপিটির প্রসংশা করার জন্য। সত্যি অনেক সুস্বাদু ছিলো রেসিপি টি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন নিউজ দেখে আর ভালো লাগে না। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আলুর দম খেতে অনেক মজা লাগে। তবে এগুলো তৈরি করা হয় না বলেই চলে। রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট আলুর দম কখনো খাওয়া হয়নি। বড় আলুর দম খেয়েছি।আলু গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে ।আর আপনার রান্না দেখেও মনে হচ্ছে খেতে দারুন ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ছোট আলুর দম খেতে বেশি ভালো লাগে আপু কিন্তু সিদ্ধ করার পর খোসা ছড়াতে খুব কষ্ট হয় অনেক সময় লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট আলুর দম রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে, আপনি খুবই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সর্বপ্রথম সকল টেনশন দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন সেই কামনাই করছি। যাইহোক আপনার ছোট আলুর দম কিন্তুু দেখতে অনেক ভাল লেগেছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। তবে এই ছোট আলুর দম গরম গরম পরোটার সাথে খেতে কিন্তুু অনেক সুস্বাদু হয়। সবশেষে আপনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া আমিও চাই দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে।সত্যি আলুর দম অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলুর দম আমার অনেক পছন্দের। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে আলুর দম রান্না করছেন।এইরকম ভাবে আলুর দম রান্না করলে সেটা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।রান্নার প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।