প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ -৬১ হোমমেইড মাছের পাকোড়া স্নাকস রেসিপি।
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
প্রথমেই আমার বাংলাদেশের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ মূলক রেসিপি স্ন্যাকস রেসিপি প্রতিযোগিতা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ সকল মডারেটর ও ফাউন্ডার দাদাকে।আসলে গততে পাকোড়া বা চপ রেসিপির প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তুু করতে পারিনি পারিপার্শ্বিক সমস্যার কারনে। এই রেসিপিটির সব কিছু রেডি করেছিলাম কিন্তুু রেসিপিটি করা হয়নি।গত দিনে করেছি রেসিপিটি তবে জানতাম না যে আগের রেসিপির সাথে মিল রেখেই আবারও প্রতিযোগিতার রেসিপি দেয়া হবে।যখন নওরিন আপু হ্যাংআউটে বলেছেন ক্লিয়ার করে তখন খুব ভালো লাগলো কারণ আমার পছন্দের রেসিপিটি শেয়ার করতে পারবো বলে।
মাছের পাকোড়া করেছি আর এই পাকোড়া রেসিপিটি ভীষণ সুস্বাদু। বিকেলের নাস্তা হিসেবে অসাধারণ একটি জলখাবার এটি।এই মাছের স্ন্যাকস ও এক কাপ ঘন দুধের চা হলে আর কি চাই।এভাবে মাছের পাকোড়া তৈরি করে বক্সে ভরিয়ে ফ্রিজে রেখে এক মাস অবদি সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। বাড়িতে অতিথি
আসলে বের করে ঝটপট ভেজে জলখাবারে দিলে সত্যি অসাধারণ সুন্দর হয়।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.তেলাপিয়া মাছের পিস | ছয় পিস |
---|---|
২.পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
৩.রসুন বাটা | দুই চা চামুচ |
৪.কাঁচা মরিচ কুচি | পরিমাণ মতো |
৫.আদা বাটা | দুই টেবিল চামুচ |
৬.জিরা বাটা | তিন টেবিল চামুচ |
৭.লবঙ্গ গুড়া | এক টেবিল চামুচ |
৮.সাদা গোল মরিচ গুড়া | এক টেবিল চামুচ |
৯.আলু | পরিমাণ মতো |
১০.গরম মসলা | এক টেবিল চামুচ |
১১.লবন | পরিমাণ মতো |
১২.হলুদ | পরিমাণ মতো |
১৩.টোষ্ট বিস্কুট | চার পিস |
প্রথম ধাপ
প্রথমে মাছের পিস গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন টোষ্ট বিস্কট গুড়া করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন সিদ্ধ মাছ গুলো কাটা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
আলু সিদ্ধ ভেঙ্গে মাছে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি।তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়েছি।বাদামী করে কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ ভেজে নেয়ার পর তাতে কাঁটা বেছে রাখা মাছ ও আলু সিদ্ধ দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আলু সিদ্ধ ও মাছ গুলোতে লবন হলুদ ও গুড়া মসলা এবং বাটা সব মসলা উপকরণ দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন মাছ আলু ও সব মসলা উপকরণ গুলো নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি ও মাছের পাকোড়ার জন্য পুর তৈরি করেছি।
অষ্টম ধাপ
পুর হয়ে গেছে নেমিয়ে নিয়েছি ও হাতের সাহায্যে গোল করে নিয়েছি ও চ্যাপটা করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
পরিমাণ মতো ময়দা জল দিয়ে গুলিয়ে রেখেছি মাছের পাকোড়া বানানোর জন্য।
দশম ধাপ
এখন বানিয়ে রাখা মাছের চপ গুলো আগে থেকে গুলিয়ে রাখা ময়দায় ভিজিয়ে গুড়ো করে রাখা টোষ্টে এমপি ওপিঠ মেখে নিয়েছি।
একাদশ ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেছে তাই আগে থেকে বানিয়ে রাখা পাকোড়া গুলো একে একে ভেজে নিয়েছি। আমি এখানে পরিমাণ মতো তেলে ভেজেছি আপনারা চাইলে ডুবা তেলে ভাজতে পারেন।
দাদ্বশ ধাপ
খুব ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার ফিস স্ন্যাকস রেসিপি। এই রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু। আশা করছি রেসিপিটি ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা মার্জনীয়।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
হোমমেইড মাছের পাকোড়া স্নাকস রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম আপু। নতুন একটি ইউনিক রেসিপি শিখে নিলাম। বাসার তৈরি খাবার গুলো স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন বাসায় তৈরি খাবার গুলো সাস্থ্যকর হয়।
প্রথমে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার তৈরি হোমমেইড মাছের পাকোড়া স্নাকস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। আসলে আপনার তৈরি রেসিপি দেখতে আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্য প্রথমে অনেক অনেক অভিনন্দন রইল। আমাদের এই প্রিয় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করার জন। মাছের চপ গরম গরম খেতে কিন্তু বেশ মজা। আমিও তাই মাঝে মাঝে মাছের চপ করি। এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন বিকালের নাস্তায় এই মজাদার ইউনিক চপের আইটেম হলে ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে আপনি পাকোড়া স্নাকস রেসিপিটি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। আবারও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই শুভেচ্ছা হোম-মেইড পাকোরা দেখে অনেক ভালো লাগলো দারুন ইউনিক রেসিপি করেছেন আপনি। মাছের পাকোরা সচারাচর দেখিনা আমাদের এদিকে।ধন্যবাদ আপনাকে দারুন রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাছের পাকোড়া করা একটু ঝামেলার তাই সচারাচর করে না কেউ।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ অবশেষে দেখে ফেললাম হোমমেইড মাছের পাকোড়া স্নাকস রেসিপি। আসলে এগুলো দেখলে খেতে মন চাই খুব। কারন এগুলো হলো লোভনীয় খাবার। যে রেসিপি দিলেন না খেয়ে তো স্বাদ বলা যাবে না,হা হা হা। ধন্যবাদ।
রেসিপি দিয়েছি বানিয়ে খেয়ে নিন😊😊
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনার রেসিপি টা তো দারুন হয়েছে। তেলাপিয়া মাছ দিয়ে এভাবে কখনো পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
যে কোন মাছের পাকোড়া এভাবে করলে ভীষণ সুস্বাদু হয় আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুব মজার একটা পাকোড়া আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। মাছের পাকোড়া খেতে আসলেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি আপু। মাছের পাকোড়া স্নাকস রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো আপু।দেখে লোভ হচ্ছে কিন্তু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
মজা লাগার মতো রেসিপিটি আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করায় শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। সত্যি বিকেলের নাস্তার জন্য একদম পারফেক্ট রেসিপি।দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। মনে হচ্ছে খেতেও বেশ সুস্বাদুই হবে।ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় সফলভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য। অনেক সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তাছাড়া আপনার রেসিপির ধাপ গুলো ছিল অনেক সুন্দর পরিষ্কার যা দেখে যে কেউ এ রেসিপিটা সহজে তৈরি করতে পারবে। সবশেষে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।